শেখ রাজিয়া নাসের ছাত্রীনিবাসের কক্ষ দখলের প্রতিবাদে শরণখোলায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ
বাগেরহাটের শরণখোলায় সরকারি অনার্স কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ছাব্বির আহমেদ মুক্তা কর্তৃক শেখ রাজিয়া নাসের ছাত্রীনিবাসের একটি কক্ষ দখল করে রাখার প্রতিবাদে ক্লাস বর্জন ও বিক্ষোভ করেছেন কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে কলেজ চত্বরে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রীদের আবাসিক সংকট নিরসনে ২০১৭ সালে শিক্ষক পরিষদের এক সভায় কলেজ কর্তৃপক্ষ শিক্ষকদের বসবাসরত কয়েকটি কোয়ার্টারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসনার চাচি বেগম রাজিয়া নাসেরের নামে ছাত্রীনিবাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সিদ্ধান্তেন পর অন্য শিক্ষকরা কোয়ার্টার ছেড়ে দিলেও ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাব্বির আহমেদ মুক্তা কোয়ার্টারটি ছাড়তে অপারগতা প্রকাশ করেন। কলেজের পক্ষ থেকে তাকে দুবার নোটিস করা হলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে ছাত্রীনিবাসের কক্ষটি দখল করে রাখেন তিনি।
পরে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপেও ছাত্রীনিবাসের কক্ষটি দখলমুক্ত করা সম্ভব হয়নি। এর প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার ছাত্রীনিবাসের কক্ষ ছাড়ার জন্য বিক্ষোভ মিছিল করে শরণখোলা উপজেলা ছাত্রলীগ। বিক্ষোভ সমাবেশে আগামী তিন দিনের মধ্যে ওই শিক্ষককে ছাত্রীনিবাস ছেড়ে দেয়ার আল্টিমেটাম দেয়া হয়, অন্যথায় শনিবার থেকে ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়। এর অংশ হিসেেআজ সকাল ১০টা থেকে ওই কলেজের সকল ছাত্র-ছাত্রী ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রীবাসে বসবাসরত শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার শান্তা বলেন, আমরা মেয়েরা হোস্টেলে থাকি। পাশের রুমে মুক্তা স্যার থাকেন। এতে আমরা সাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারছি না। এ কারণে ছাত্রীনিবাসে বসবাসরত শিক্ষার্থীরা বিব্রতকর ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাকে সরিয়ে মেয়েদের অভিবাবক হিসেবে একজন নারী শিক্ষিকাকে দায়িত্ব দেয়ারও দাবী জানান এ শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক মো. সাব্বির আহমেদ মুক্তা বলেন, ক্লাস বর্জনের নামে যা হচ্ছে তা তার সুনাম ক্ষুণ্ন করার ষড়যন্ত্র। তার বাড়িতে নির্মাণকাজ চলছে, তাই মালামাল রাখার জায়গা সংকট। আগামী ১০-১১ দিনের মধ্যে তিনি ওই কক্ষটি ছেড়ে দেবেন।
এ ব্যাপরে কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আলম ফকির জানান, শেখ রাজিয়া নাসের ছাত্রীনিবাসের জন্য বরাদ্ধকৃত কক্ষটি ছেড়ে দেয়ার জন্য একাধিকবার নোটিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও তা আমলে নেননি শিক্ষক সাব্বির আহমেদ মুক্তা।
এমএসএম / জামান