বিপাকে পাবনা অঞ্চলের কৃষকরা

ইতিমধ্যেই খরা-সদৃশ পরিস্থিতি এবং সারের ক্রমবর্ধমান হারের দ্বারা কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্থ, পাবনা অঞ্চলের কৃষকরা আরও একটি গুরুতর আঘাতের মুখোমুখি হয়েছেন এবারে দেশে সাম্প্রতিক জ্বালানীর আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ সংকট ও সারের অস্বাভাবিক মূল্য।কৃষকরা বলেছেন যে তাদের কৃষি ক্ষেতগুলো অপর্যাপ্ত বৃষ্টিপাতের কারণে শুকিয়ে গেছে এবং ডিজেল চালিত পাম্প ব্যবহার করে ক্রমাগত সেচ দিতে অক্ষমতার কারণে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির কারণে একটি বিশাল ব্যয় বহন করে চাষাবাদ করতে চরমভাবে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এছাড়া গত এক বছর থেকে দিন দিন সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের লোকসান বেড়েছে বহুগুণ।পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের বাসিদ হোসেন এ বছর ৭/৮ বিঘা জমির মধ্যে মাত্র চার বিঘা জমিতে রোপা আমন চাষ করতে গিয়ে নাকানিচুবানি অবস্থা। তিনি বলেন, জ্বালানি ও সারের ঊর্ধ্বগতি আমাকে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
ধান রোপনের জন্য মাঠে তার মহিষ জোড়া দিয়ে মই দিয়ে বিশ্রাম নেয়ার সময় শনিবার দুপুরে রাস্তার পাশে বাসিদ হোসেন এ প্রতিনিধিকে আবাদের উপর অনেক কথাই বললেন। তিনি বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়িয়ে কৃষকের সর্বনাশ করা হচ্ছে। বিশেষ করে সার, ডিজেল, বিভিন্ন ফসলের বীজের দাম এতো বেশি বেড়েছে যে তাতে করে চাষবাস আর করার মত পরিস্থিতি নেই। তিনি বলেন, গত ১৫দিন আগেও ইউরিয়া সার ছিল ১৮ টাকা কেজি, এখন তা ২৫ টাকা কেজি। পটাশ সার ছিল ২৪ টাকা কেজি এখন তা ৩৮ টাকা এবং বাংলাদেশি ড্যাব ছিল ৩৪ টাকা বর্তমান সেটি ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খোলামেলা আলাপকালে তিনি আরো জানান, বর্তমান প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণ করতে ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকার সার, ২ হাজার ২শ’ টাকার কামলা,মই দিতে ৪ শ’ টাকা, পাওয়ার টিলার ১,২০০ থেকে ১,৪০০ টাকা, বীজ, কাটা মাড়াই ও অন্যান্য সব মিলে ১৭/১৮ হাজার থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ। এ ধরণের খরচ করে কয়জন চাষীর পক্ষে চাষ করা সম্ভব বলে তিনি জানান।
এ কৃষক আফসোস করে বলেন, সরকার যে সার দেয় কৃষক সে সার পায় না। যাদের এক ছটাক জমি নেই-তারা তা রাতের আঁধারে ভাগযোগ করে নিয়ে অধিক দামে বিক্রি করে লাভবান হন তারা। এ ব্যাপারে কথা বললে হুমকি আসে। সরকারের দেয়া গভীর নলকূপটি বন্ধ থাকায় আমরা আল্লাহর উপর ভরসা করে এক সিজেন ধান আবাদ করছি। তাও বৃষ্টি না হলে ধান রোপণ করা সম্ভব হয় না। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় গভীর নলকূপ বন্ধ থাকায় মালিগাছা অঞ্চলে ধান আবাদ চরম হুমকির মধ্যে পড়েছে। কৃষক বাসিদ হোসেন সাম্প্রতিক জ্বালানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, ‘জ্বালানির দাম না কমালে এ বছর চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় আমাদের ব্যাপক লোকসান গুনতে হবে।
আমন ধানের জন্য প্রচুর বৃষ্টিপাতের প্ররয়াজন ছিল। তিনি বলেন, ‘এ বছর অল্প বৃষ্টির কারণে সেচের জন্য কৃষকদের প্রতি বিঘা বাড়ি ১,২০০ টাকা থেকে ১,৫০০ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমাতে না পারলে কৃষি কার্ডের মাধ্যমে কম দামে ডিজেল সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন এ কৃষক। ‘কৃষিনির্ভর এ দেশে এভাবে সার, জ্বালানি ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলে এক সময় কৃষকরা চাষাবাদ ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে তিনি অঙ্ককা প্রকাশ করেণ।
উল্লেখ্য, ডিজেলের দাম লিটার প্রতি ৩৪ টাকা বেড়ে ১১৪ টাকা, অকটেন ৪৬ টাকা বেড়ে ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ৪৪ টাকা বেড়ে ১৩০ টাকা হয়েছে। দেশে চলমান জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় সরকার সম্প্রতি বিদ্যুতের রেশনিংও শুরু করেছে।
এমএসএম / এমএসএম

কুয়াকাটায় পরিচ্ছন্নতা ও পর্যটকবান্ধব সেবা নিশ্চিতকরণে রেস্তোরাঁ কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা

রামুর বাঁকখালী নদীতে ভাসলো ঐতিহ্যবাহী কল্পজাহাজ

দোহারে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

নওগাঁয় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ; ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা

ক্ষুদে ক্রিকেটার ঈসার পাশে কুড়িগ্রাম জেলা ক্রীড়া অফিস

সাংবাদিকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজশাহীতে মানববন্ধন

কোনাবাড়ী থেকে নিখোঁজ গৃহবধূ নাটোর থেকে উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে অসহায় দরিদ্র উদ্যোক্তা মহিলাদের সেলাই বিষয়ক প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে জয়পুরহাটে সংবর্ধনা

নরসিংদীতে নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৬ জন, হাসপাতালে ভর্তি ৩৮ জন

মেহেরপুরে ৩৫তম আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

টঙ্গীতে শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার পরিদর্শন
