শরণখোলায় জাতীয় পার্টির নেতাকে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের এডিবির বরাদ্ধকৃত অর্থ হরিলুটের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের জেরে বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা কামালকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২৮ আগস্ট) সকালে শরণখোলা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এডিবির বরাদ্ধকৃত অর্থ হরিলুটের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন শরণখোলা শাখার পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের মধ্যে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ২৫ আগস্ট রাত ৯টার দিকে উপজেলার রাজৈর খেয়াঘাট এলাকার দেলোয়ার কাজীর চায়ের দোকানে সঙ্গীয় গোলবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা ও দৈনিক জনতা পত্রিকার শরণখোলা প্রতিনিধি মেহেদী হাসাকে নিয়ে চা পান করার সময় খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকির হোসেন খাঁন মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক তাইজুল ইসলাম ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৯নং দক্ষিণ আমড়াগাছিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রেজাউল করিমসহ ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ একটি দল ওই দোকানে প্রবেশ করে তাদের দুজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম উত্তেজিত হয়ে আমাকে ও মেহেদীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে দোকান থেকে বের করে দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন জড়ো হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নাম প্রকাশে না করার শর্তে বলেন, ঘটনাস্থলে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তবে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম সাংবাদিক মেহেদীকে চড়-থাপ্পড় মারলেও মোস্তফা কামালকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য রেজাউল করিম বলেন, তাদের সাথে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হয়েছে। তবে মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মহিউদ্দিন বলেন, সাংবাদিক মেহেদী হাসান গত বছর ও চলতি বছরের এডিবি প্রকল্প নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় তার সাথে কিছুটা তর্ক হয়েছে। তবে কামাল ও মেহেদীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেনি।
এমএসএম / জামান