শরণখোলায় অগ্নিকাণ্ডে গুদামঘরসহ ৯ দোকান পুড়ে ছাই
বাগেরহাটের শরণখোলায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুটি গুদামঘরসহ ৯টি দোকান পুড়ে সম্পূর্ণ ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে সৌদি প্রবাসী জামাল হোসেন নুরের সাততলা ভবনের সামনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা জানান, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
জানা গেছে, শরণখোলা ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দোকানগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর শুনে শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার রায়েন্দা বাজার হাসপাতাল সড়কের মক্কা টাওয়ারের সামনে টিনশেড মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মো. জাহাঙ্গীর শাহর কাপড়ের দোকান, মো. অলিউল্লাহর পাখি ঘর, মো. মোস্তফা ও অহিদুজ্জামান লিটনের ফার্নিচারের দোকান, অলিউর রহমানের থাইগ্লাস ওয়ার্কশপ ও আ. সালাম হাওলাদারের গুদামঘরে বহুতল ভবনের লিফটসামগ্রী সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়।
দোকান ও ঘর মালিকদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা শেখ ফিরোজ আলী জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে ভোর ৫টা ২০ মিনিটের দিকে আমরা সংবাদ পাই। আমাদের অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই দোকানগুলোর অধিকাংশ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের দক্ষতায় আশপাশের পরিবার ও দোকান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ের জন্য প্রকল্প কর্মকর্তা মো. আ. আলীমকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা আবেদন করলে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়, উপজেলা প্রসাশন ও উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
এমএসএম / জামান