ঢাকা শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফুলছড়িতে পাটের বাম্পার ফলনেও দাম নিয়ে হতাশ কৃষক


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ৩-৯-২০২২ দুপুর ৪:২৫
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পাটের চাষ ও বাম্পার ফলন হলেও পাটের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা পড়েছেন হতাশায়। লাভের আশায় অধিক খরচ করে পাট চাষ করে কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় দিশেহারা তারা।
 
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া,কঞ্চিপাড়া,গজারিয়া, ফজলুপুরও  এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা কেউ কেউ জমি থেকে পাট কাটছেন, জাগ দিচ্ছেন আবার কেউ কেউ জাগ দেয়া পাঠকাঠি থেকে সোনালী আঁশ ছাড়াচ্ছেন। অনেকে আবার পাটকাঠি থেকে ছাড়ানো সোনালী আঁশ শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ সময় পুরুষের পাশাপাশি নারী-শিশুদেরও হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করতে দেখা যায়।
 
এ বিষয়ে উড়িয়ার ভূশির ভিটা এলাকার  পাটচাষি আব্দুর রহমানের সাথে কথা বলে জানা যায়, এক বিঘা জমি তৈরিতে তিনবার চাষ করেছি। বীজ-সার ও কীটনাশক, নিড়ানি-পরিচর্যা, পাট কাটা ও জাগ দিতে পুকুর ভাড়া, আঁশ ছাড়ানো, পরিবহন ও অন্যান্য খরচসহ এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে মোট ১৯ হাজার ৫০০  টাকা খরচ হয়েছে।
 
পাটের আঁশ ছাড়ানোর শ্রমিক কাশেম আলী জানান, প্রতিদিন ৩৫০- ৪০০ টাকা মজুরিতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩-৪টা পর্যন্ত কাজ করেন। এতে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও তাদের মজুরি বাড়েনি। আবার কৃষকদের লোকসান দেখে তাদেরও কিছু বলতে পারছেন না তারা। 
 
কাবিলপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বছর বর্ষা মৌসুমে পর্যাপ্ত বৃষ্টির না হওয়ায় খাল-বিলে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে বিপাকে পড়েন তারা। এ বছর পাটের উৎপাদন খরচ বেড়ে বিঘাপ্রতি হয়েছে ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা হয়েছে। ফলন হয়েছে ৭ থেকে ৮ মণ। বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে প্রায় ১৮ হাজার থেকে ২১ হাজার টাকায়। চাষিদের বিঘাপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর যারা জমি লিজ নিয়ে পাট চাষ করছে তাদের অবস্থা আরো করুণ।  বিঘাপ্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার বেশি লোকসান গুনতে হচ্ছে বর্গাচাষিদের। 
 
কালির বাজারের স্থানীয় পাট ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান ও মিন্টু মিয়া বলেন, এ বছর এলাকায় ভালোমানের পাটের উৎপাদন খুবই কম হয়েছে। তাই জুট মিলে চাহিদা কম থাকায় দাম কম পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি মণ পাট মান অনুপাতে ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬০০ টাকায় কিনছেন তারা।
 
এ বিষয়ে ফজলুপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হানিফ প্রামাণিক বলেন, এ বছর কৃষকরা পাট চাষ করে বিপদে পড়েছেন। ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় সোনালী আঁশে আগ্রহ হারাচ্ছেন তারা। সেই সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকদের জীবনযাপনে নাভিশ্বাস উঠেছে। এক্ষেত্রে পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।
 
এ বিষয়ে ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মিন্টু মিয়া সকালের সময় প্রতিনিধিকে জানান, এ বছর অধিক খরা আর অনাবৃষ্টিতে পাটের উৎপাদন খরচ তুলনামূলক বেশি পড়েছে। পুকুর-ডোবা-নালায় পানি সংকটের কারণে যত্রতত্র শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে পানি তুলে জলাবদ্ধ সৃষ্টি করে পাট জাগ দেয়ায় পাটের গুণগতমান ও রং ভালো না হওয়ায় কৃষকেরা দাম পাচ্ছেন না।

এমএসএম / জামান

হাদি’র হত্যার প্রতিবাদে বেনাপোলে বিক্ষোভ মিছিল

শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: পাঁচ ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ, জরিমানা ১৭ লাখ টাকা

চাঁদপুরে মাদকবিরোধী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু

রাঙ্গামাটিতে বিএনপি প্রার্থী দীপেন দেওয়ানের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

ওসমান হাদির মৃত্যুতে গোবিপ্রবি উপাচার্যের শোক

রাণীশংকৈলে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত ওসির মতবিনিময়

টিকটক ভিডিওকে কেন্দ্র করে গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী আটক

হান্নান মাসউদের ৩ সমর্থককে কুপিয়ে জখম, মামলা দায়ের

সাতগাঁও হাইওয়ে থানা বাৎসরিক পরিদর্শন করেন সিলেট রিজিয়ন পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভুয়া চিকিৎসক আটক

কুমিল্লায় তিন বাস টার্মিনালে কর্মবিরতি ৪০ সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপির কাজী সালিমুল হক কামাল

তানোরে বাড়তি দামে সার বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা