শরণখোলায় স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও নির্যাতনের অভিযোগ
বাগেরহাটের শরণখোলায় স্ত্রীর কাছে যৌতুকের টাকা চেয়ে না পেয়ে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে শারীরীক নির্যাতন করে ২ দিন ধরে ঘরে আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে। ২দিন পরে মেয়ের পরিবার খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ২৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধু মীম (১৮) এর পিতা উপজেলার রতিয়া রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মালেক ব্যাপারী জানায়, উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের উত্তর রাজাপুর গ্রামের সুলতান আকনের পুত্র ইয়াসিন আকনের সাথে গত তিন বছর আগে পরিবারের অমতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় মীম। বিয়ের প্রথম দুই বছর সূখে শান্তিতে সংসার করলেও গত এক বছর আগে মীমের বিয়ের জন্য ব্যাংকে দুই লাখ টাকা জমা আছে এমন খবর জানার পর থেকেই বিভিন্ন অজুহাতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে ইয়াসিন। এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে বিদেশ যাবার কথা বলে আরো তিন লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মীমকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে। ঘটনার দুই দিন পর ইয়াসিনের এক প্রতিবেশীর কাছ থেকে মেয়েকে নির্যাতনের ঘটনা জানতে পেরে তাকে উদ্ধার হাসপাতালে ভর্তি করি।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন গৃহবধু মীম জানায়, বাবার কাছে বলার পরেও আমার নামে জমানো টাকা ব্যাংক থেকে তুলে না দেয়ায় গত ২০ সেপ্টেম্বর রাত তিনটার দিকে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করে ইয়াসিন আমাকে লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। পরে আমাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে আমার সাথে অন্য কারো পরকীয়া সম্পর্ক আছে তা বলার জন্য বাধ্য করে। পরে দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে আহত করে এবং ওই বাড়িতে আটকে রাখে।এ ব্যাপারে ইয়াসিন আকন তার স্ত্রী মীমকে মারধরের ঘটনা স্বীকার করলেও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে, তিনি স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডেকেল অফিসার ডাক্তার ববি সাহা জানান, তার শরীরের বেশ কিছু যায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। শরণখোলা থানার ডিউটি অফিসার মো. আনিসুজ্জামান জানান, চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম