ঢাকা রবিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫

হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারে কাপাসিয়ায় ব্যাপক কার্পাস তুলা চাষ


মাসুদ পারভেজ, কাপাসিয়া photo মাসুদ পারভেজ, কাপাসিয়া
প্রকাশিত: ১৪-১০-২০২২ দুপুর ৩:৪৬
ফুটি কার্পাস থেকে জগৎবিখ্যাত মসলিন কাপড়ের তুলার নাম কার্পাস। এক সময় ইতিহাস বিখ্যাত মসলিন কাপড়ের মূল উপাদান কার্পাস তুলার তীর্থভূমি ছিল ভাওয়াল পরগনা তথা আজকের গাজীপুরের কাপাসিয়া অঞ্চল। নদীবেষ্টিত কাপাসিয়ায় প্রচুর কার্পাস তুলা উৎপাদিত হতো। কাপাসিয়ায় ব্যাপক কার্পাস তুলা চাষ হতো বলে এ এলাকার নামকরণ হয়েছে কাপাসিয়া। মূলত কার্পাস থেকেই কাপাসিয়া উপজেলার নামকরণ হয়েছে বলে অনেক ঐতিহাসিক মত প্রকাশ করেছেন।
 
মসলিন কাপড় উৎপাদন ও বিক্রয়ের অন্যতম বৃহৎ বাণিজ্য কেন্দ্র ছিল কাপাসিয়ার এই জনপদ। কাপাসিয়ায় উৎপাদিত কার্পাস তুলার অতি মিহিম কাপড় আরব ও ইউরোপে রপ্তানি হতো। কালের পরিক্রমায় কাপাসিয়া তার এই ঐতিহ্যটিকে হারিয়ে ফেলেছিল। দীর্ঘদিন পর হলেও কাপাসিয়া উপজেলার হারিয়ে যাওয়া সেই কার্পাসের ঐতিহ্যটিকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কাপাসিয়ার সংসদ সদস্য সিমিন হোসেন রিমির ঐকান্তিক ইচ্ছা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোর্শেদ খানের প্রচেষ্টায় কাপাসিয়া উপজেলায় কার্পাস তুলা চাষকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম গোলাম মোরশেদ খান বলেন, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নামটি এসেছে মূলত কার্পাস নামক তুলা থেকে। হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধারকল্পে মাননীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা প্রশাসন, তুলা উন্নয়ন বোর্ড ও চাষিদের সমন্বিত উদ্যোগে কার্পাস তুলা চাষে উপজেলায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে কাপাসিয়ার চারটি ইউনিয়নে ১১০ বিঘা জমিতে কার্পাস তুলা চাষ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে তা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে চাষ করা হবে। এক সময়ের অনাবাদি ও পতিত জমিতে তুলা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।
 
প্রচীন রাজা-বাদশাদের আমলের বিখ্যাত কাপড় মসলিন তৈরির মূল উপাদান তুলার উৎপাদনটা শুরু হয়েছিল মূলত কাপাসিয়ায়। তবে সময়ের পরিক্রমায় কাপাসিয়া থেকে হারিয়ে যাচ্ছে তুলার চাষ। ঐতিহ্যবাহী মসলিন কাপড় তৈরির মূল উপাদান ছিল কার্পাস তুলা। শুরুতে এ অঞ্চলে তুলার চাষ কিছুটা ধীরে হলেও বর্তমানে তুলা চাষের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে।
 
রায়েদ ইউনিয়নের আমরাইদ এলাকার মো. মফিজ মোল্লাহ বলেন, প্রমবারের মতো দুই বিঘা জমিতে তুলার চাষ করেছি। তুলা চাষে খরচ সর্ম্পকে তিনি জানান, ৩ মাসের ব্যবধানে ১ বিঘা জমিতে তুলা চাষের জন্য ন্যূনতম ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে তুলা চাষের জন্য সার, বীজ, কীটনাশকসহ যাবতীয় খরচ কৃষি অফিস বহন করে। আমাদের শুধুমাত্র পরিশ্রমটুকুই যায়। এজন্যই মূলত তুলা চাষে লাভের পরিমাণটা অনেক বেশি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যতীত অন্য কোনোভাবে ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা একবারেই নেই। এছাড়া ধান এবং কলা চাষের চেয়ে তুলা চাষে লাভের পরিমাণ অনেক বেশি।

এমএসএম / জামান

আশুলিয়ায় নিষিদ্ধ আওয়ামী পুনর্বাসন চক্রে সক্রিয় গাজী নাছরিন

নাগরিক সেবায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে তথ্য ডেক্স গঠনের ঘোষণা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের

নালিতাবাড়ী মুক্ত দিবস পালিত

রামু প্রেস ক্লাবের নবগঠিত কমিটির অভিষেক ও প্রতিষ্ঠাতাদের সংবর্ধনা সম্পন্ন

কুমিল্লায় প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ ২০২৫–২০২৬ এর উদ্বোধন

বোদায় জেলা প্রশাসকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

রাজস্থলীতে ২১লক্ষ টাকা বিদেশি সিগারেট অবধৈ পাচারকালে ইউপি সদস্য সহ আটক ৪

কালিয়ায় বিজয় দিবস ও শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

শ্রীমঙ্গলে ইনার হুইল ক্লাবের মেগা জয়েন্ট প্রজেক্টে উন্নয়ন উপকরণ বিতরণ

রায়গঞ্জের সাবেক ওসির বিরুদ্ধে ২৩ লাখ টাকার পাম অয়েল আত্মসাতের অভিযোগ

লোহাগড়ায় কিশোরের লাশের পাশে ‘চার কাঁধি সুপারি’: রহস্যে ঘেরা মৃত্যু তদন্তে পুলিশ

টাঙ্গাইল-আরিচা আঞ্চলিক সড়কের কাজ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন

জয়পুরহাট জাতীয় ছাত্রশক্তির ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন