শেকৃবিতে দেশীয় প্রযুক্তিতে কম খরচে অধিক উৎপাদশীল 'রাস' প্রযুক্তি উদ্ভাবন
বাংলাদেশে এই প্রথম শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একোয়াকালচার বিভাগ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কম খরচে অধিক উৎপাদশীল রিসারকুলেটিং একোয়াকালচার সিস্টেম (রাস) পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। বিশ্ববিদ্যলয়ে পর্যায়ে এধরনের আধুনিক মাছ চাষ প্রযুক্তি নিয়ে এটিই প্রথম গবেষণা যেখানে গবেষকগণ আগামি শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশিয় প্রযুক্তিতে যন্ত্রাংশ তৈরি করে কম খরচে আধুনিক মাছ চাষ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন।
কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর অর্থোয়নে নির্মিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে স্থাপিত এস এ ইউ-রাস (SAU RAS) নামক নতুন প্রযুক্তিটির শুভ উদ্বোধন ও প্রকল্পটি উদ্দোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার ও মেরিন সাইন্স অনুষদের ডীন কনফারেন্স হলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্স সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক প্রফেসর ড. মো: অব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এ বিষয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকালচার ও মেরিন সাইন্স অনুষদের ডীন ও প্রকল্পের পিআই প্রফেসর ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন ।
মাছ চাষের যান্ত্রিকিকরণ জন্য আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশিয় প্রযুক্তিতে বিদ্যমান সম্পদ ব্যবহার করে কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তি উদ্ভাবনের উপর বক্তারা আলোচনা করেন।
উক্ত প্রযুক্তি উদ্ভাবন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধীদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (পরিকল্পনা ও জরিপ) মোহাঃ আতাউর রহমান খাঁন, কিজিএফ এর নির্বাহি পরিচলাক ড. নাথুরাম সরকার ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম ।
অনুষ্ঠানে দেশের বিদ্যমান আধুনিক প্রযুক্তি মাছ উৎপাদনকারী উদ্দোগ্তা, মৎস্য অধীদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকবৃন্দ ও গনমাধ্যম কর্মিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । প্রকল্পে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট সহযোগী সংস্থা হিসেবে সৌর চালিত পাম্প এবং সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহার করে মাছ চায়ের খরচ কমানোর বিষয়ে কাজ করছে ।
অধিবেশনে প্রধান অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য, প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূইয়া।
প্রকল্পের পিআই প্রফেসর ড. এ. এম. সাহাবউদ্দিন জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে টেকশই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্যনের জন্য মাছ চাষের আধুনিকায়ন ও যান্ত্রিকিকরণ এখন সময়ের দাবি। আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর মাছ চাষে জৈব নিরাপত্তা সঠিক ভাবে রক্ষা করা যায় এবং বিদ্যমান মাছ চাষের চেয়ে ৮০-১০০ গুন বেশি মাছ উৎপাদন সম্ভব। তাছাড়াও দেশিয় সম্পদ ও কারিগরে দক্ষতা ব্যবহার করে উৎপাদিত প্রযুক্তি অমদানিকৃত প্রযুক্তির অর্ধেকের ও কম মূল্যে পাওয়া সম্ভব।
প্রধান অতিথীর বক্তব্যে প্রফেসর ড. মোঃ শহিদুর রশিদ ভূইয়া বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চত করার জন্য কৃষি ক্ষেত্রে নতুন নতুন গবেষণা ও আধুনিকায়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি বলেন বাংলাদেশ মাছ চাষে বর্তমানে সয়ংসম্পুর্ন এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে গবেষণার মাধ্যমে মাছ চাষের খরচ কমিয়ে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্দোক্তাদের হাতে তুলে দিতে হবে।
এমএসএম / এমএসএম