ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

লকডাউনে দিশাহারা সিলেটের নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা, বাসা-দোকান ভাড়া নিয়ে বিপাকে ভাড়াটিয়ারা


ফারুক সৈয়দ, ডেনমার্ক  photo ফারুক সৈয়দ, ডেনমার্ক
প্রকাশিত: ১০-৭-২০২১ দুপুর ২:৭

দেশে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত ১৪ জুলাই পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউনে সিলেটের ব্যবসায়ীরা ও মধ্যম ও নিম্নআয়ের সাধারণ মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। গত ১ জুলাই সাত দিনব্যাপী কঠোর লকডাউন শুরুর ভেতরেই করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে গত সোমবার নতুন প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সময়সীমা আরো সাত দিন বাড়ানো হয়। 

এটা যদিও জনস্বার্থে মহামারী থেকে জনগণকে রক্ষা করার জন্য একটা প্রদক্ষেপ কিন্তু এই বিধিনিষেধ বা লকডাউনের কারণে বিপদে পড়েছেন সিলেটের বড় বড় শপিংমহলের ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তাছাড়া ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা নানা দৈন্যদশায় দিন কাটাচ্ছেন। দিনমজুর মানুষের দোকানপাট ও দৈনিক হাজিরার কাজ না থাকায় নুন আন্তে পান্তা ফুরাচ্ছে।

বারবার লকডাউনের কারণে চাপে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ঘরে বসে কাটছে সময়। উপার্জন না থাকায় নিম্নবিত্তরা চিন্তিত, মাস শেষে বাড়িভাড়া আসবে কোথা থেকে? সিলেট মহানগরসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে স্বল্প আয়ের যারা ঘরভাড়া নিয়ে বসবাস করছেন, এই অবস্থায় বাসা ভাড়া দেয়া তাদের পক্ষে শুধু কষ্টসাধ্যই নয়; অসম্ভবও বটে।

ভাড়াটিয়ারা বলছেন, লকডাউনের ফলে দেশের নিম্ন-মধ্যবিত্ত শ্রেণি কাজ হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর এই শ্রেণির কথা কেউ ভাবছে না। এ অবস্থায় ভাড়াটিয়ারা চাচ্ছেন সরকার লকডাউন চলাকালীন সময়ে বাড়ি ভাড়ার বিষয়টি বিবেচনা করে প্রজ্ঞাপন জারি করুক।

করোনায় কেউ কাজ হারিয়ে আবার কেউ ব্যবসার পুঁজি হারিয়ে ছাড়ছেন প্রাণের শহর সিলেট। কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে সে নিশ্চয়তা না থাকায় অনেকেই ফিরছেন গ্রামে। স্বপ্ন সাজাতে অনেকেই গ্রামের মায়া কাটিয়ে এসেছিলেন তিলোত্তমা নগর সিলেটে। তবে বিশ্বব্যাপী করোনার তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় সব। অনেকের চাকরি হারিয়ে পরিবারের জন্য খাবার যোগাড় করাই এখন কষ্টের।

ওসমানী হাসপাতাল রোডের আশিক আলী নামে এক দিনমজুর জানান, আজ ৬ দিন ধরে কোথাও কাজকর্ম নেই। বৌ-বাচ্চাদের নিয়ে বড় কষ্টে দিন কাটাচ্ছি, ঘরে নেই চাল-ডাল।

জালাল উদ্দিন নামে এক সিএনজি ড্রাইভার জানান, লকডাউন আসার পর থেকে বৃদ্ধ মা-বাবাকে নিয়ে বড় কষ্টে দিনযাপন করছি। ঠিকমতো কোনো খরচপাতি ঘরে নিয়ে আসতে পারছি না।

এদিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া অযৌক্তিক কারণে বের হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছে। কিন্তু করোনা থেকে বাঁচতে হলে আগে সচেতন হতে হবে বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার আশরাফ উল্যাহ তাহের। তিনি বলেন, পুলিশের ‍একার পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এটা একটি কঠিন কাজ। তবুও পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য। নিজেরা সচেতন হলেই কঠিন এই সময়ে বেঁচে থাকা সম্ভব। পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক দল লকডাউন বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এমএসএম / জামান

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী

নাসা গ্রুপের কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যৌথ আলোচনা সভা

অ্যাকুয়াকালচার নীতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোরেলগঞ্জে চার লাখ মানুষের সুপেয় খাবার পানির অভাব

রৌমারী উপজেল্ াস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ছের গাছের কি দোশ

দুর্গাপূজায় কোন ঝুকি নাই, নিরাপত্তা আমরা দিব, দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির সম্প্রীতি ও মহোৎসব

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বিশ্ব পর্যটন দিবসে পরিচ্ছন্ন অষ্টগ্রাম গড়ার শপথ

কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৪, আহত-৩

কেশবপুরের সাংবাদিক কন্যা সোনালী মল্লিক পেলেন ইয়েস কার্ড'

আত্রাইয়ে রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন