সাভারে দুই ভাইয়ের ৩০ বছরের শত্রুতা, অবসান করলেন কাউন্সিলর
সাভারে চলাচলের রাস্তা নিয়ে দুই ভাইয়ের ত্রিশ বছরের শত্রুতা চলে আসছিল। এই ত্রিশ বছর আগে আপন দুই ভাই একে অপরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। তবে এতো বছর পরে হলেও তাদের শত্রুতার অবসান ঘটালেন সাভার পৌর ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রমজান আহমেদ। এতোদিন পরে দুই ভাইয়ের মধ্যে আবারো ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করলেন তিনি।
শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সাভার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের জামসিং এলাকার আব্দুর রহমান মোল্লা (৯৫) ও আলাউদ্দিন মোল্লার (৮০) মধ্যে দীর্ঘ দিনের চলে আসা বিরোধের নিষ্পত্তি হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ত্রিশ বছর আগে ওই এলাকার মৃত জালাল উদ্দিন মুন্সি দুই ছেলের মধ্যে বাড়ির পাশের চলাচলের রাস্তা নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেসময় বড় ভাই আব্দুর রহমান ছোট ভাই আলাউদ্দিনের চলাচলের রাস্তা বাউন্ডারি করে বন্ধ করে দেয়। এই বিরোধের জেরে একে অপরের সাথে কথা বলা বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘ ত্রিশ বছর পর গত ১২ অক্টোবর দুই ভাইয়ের পরিবার মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এসময় বড় ভাই আব্দুর রহমান জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চান। পরে সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মাহবুব পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। একই সাথে দুই পক্ষকে কাগজপত্র নিয়ে থানায় ডাকেন। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে স্থানীয় কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত অফিসে বসার পরামর্শ দেন। পরে কাউন্সিলের অফিসে স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ ও থানা পুলিশসহ বসা হলে কাউন্সিলর রমজান তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে বিরোধের নিষ্পত্তি করেন। একই সাথে ছোট ভাই আলাউদ্দিনের রাস্তা বের করে দেন তিনি। এভাবেই দুই ভাইয়ের সম্পর্ক মজবুত করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন কাউন্সিলর। এর আগে গত ৩০ বছরে অসংখ্যবার সমাধানের জন্য বসা হলেও কোন সুরাহা দিতে পারে নি কেউ।
এব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর রমজান আহমেদ বলেন, আসলে আপন দুই ভাই গত ত্রিশ বছর ধরে একে অপরের সাথে বিরোধ করে আসছিল। আজ দুই জনের মধ্যে বিরোধের অবসান হলো। এধরনের একটি ব্যাপার আমি জীবনের প্রথম সমাধান করলাম। এসব কাজে আসলে আত্মতৃপ্তি আছে। দুই ভাই আজ হাস্যোজ্জল। তাদের সাথে আমরাও অনেক আনন্দিত।
এমএসএম / এমএসএম