শরণখোলায় তিন ভাই পেটালেন বোনকে, পুলিশের মাধ্যমে উদ্ধার
জমিজমা সংক্রান্তের বিরোধের জের ধরে তিন ভাই মিলে আপন ছোট বোন সালমা আক্তার (৪০)কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে বাগানে ফেলে রাখার অভিযোগের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করেছে তাফালবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল। পরে তার আত্মীয় স্বজনরা শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। গত ২২ অক্টোবর রাত সাতটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলার রায়েন্দা ইউনিয়নের চালিতাবুনিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত শাহজাহান মৌলভীর কন্যা সালমা আক্তারের স্বামী পাশর্^বর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলার হরিনণপালা সিদ্দিকিয়া নেছারিয়া মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মোঃ আব্দুল হালিম জানায়, ২০১৬ সালে তার শ^শুর মারা যাবার আগে সকল স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সন্তানদেও মাঝে ভাগ বাটোয়ারা করে দেন। শনিবার সন্ধ্যার আগে স্ত্রী সালমা আক্তার তার প্রাপ্ত জমির মধ্য থেকে সুপারী পাড়তে গেলে তার ভাই আব্দুল মালেক মুন্সী, আলী আহম্মেদ মুন্সী ও আব্দুল লতিফ মুন্সী মিলে আমার বোনকে এলাপাথাড়ি কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে তিনি ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে তারা বাঁধা দেয়। পরে তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির ব্যবস্থা করেন।
এ ব্যাপারে সালমার বড়ভাই আলী আহমেদ মুন্সী ও ছোট ভাই আ. মালেক মুন্সী বলেন, বোনের সাথে হাতা হাতির ঘটনার সময় তিনি পড়ে গিয়ে আহত হন।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার সৌরভ জানান, আহতের চোখের নিচে সহ শরীরের কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সুব্রত কুমার সরকার জানান, আহত সালমার স্বামীর মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম