নিষেধাজ্ঞার মাসেও রেস্টুরেন্টগুলোতে মিলছে ডিমওয়ালা ইলিশ
চলছে ইলিশের প্রজনন মৌসুম। উৎপাদন বাড়াতে গত ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ ধরা বন্ধ রয়েছে। এ সময়ে ইলিশ পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, মজুত ও বিনিময় নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। কিন্তু নিষিদ্ধ থাকলেও থেমে নেই ইলিশ ধরা। চট্টগ্রামের দামি রেস্টুরেন্টগুলোতে রান্না করা ডিমওয়ালা ইলিশের চাহিদা রয়েছে । আর এ চাহিদার যোগান দিতে এবং ডিমওয়ালা ইলিশের বাড়তি দাম পাওয়ায় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অপেক্ষা করে মাঝিরা ছুঁটছেন সাগরে। ধরছেন ডিমওয়ালা ইলিশ।
একাধিক নামি রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ও স্টাফরা জানান, তাদের পরিচালকরা অক্টোবর মাসে প্রজনন মৌসুমে জেলেদের অগ্রিম টাকা দিয়ে বড় ডিমওয়ালা মাছের অর্ডার দিয়ে থাকেন। ভোজন রসিকরা এসময় দামি রেস্টুরেন্টগুলোতে সপরিবারে এবং বন্ধু-বান্ধবীকে নিয়ে ডিমওয়ালা বড় ইলিশের স্বাদ নিতে আসে। অক্টোবর মাসে ডিমওয়ালা ইলিশের চাহিদাও রয়েছে সবচেয়ে বেশি। এ সুযোগে হোটেল মালিকরা চড়া দামে বিক্রি করে ডিমওয়ালা ইলিশ।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর কোতোয়ালী থানার ষ্টেডিয়াম এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে রান্না করা ডিমওয়ালা ইলিশ। এছাড়া জিইসি মোড়, মুরাদপুর, চকবাজার, আগ্রাবাদ, ষোলশহর, নাসিরাবাদ, বহদ্দরহাট, বন্দর, বন্দর, হালিশহর, পাহাড়তলী, বায়োজিদ বোস্তামী,পতেঙ্গা এলাকার প্রায় দামি হোটেলগুলোতে রান্না করা ডিমওয়ালা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রজনন মৌসুমে।
বেশ কয়েকজন ইলিশ ব্যবসায়ীর সঙ্গে পরিচয় গোপন রেখে কথা বললে তারা জানান, ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা শুরুর কয়েকদিন আগ থেকেই প্রভাবশালীদের অর্ধ শতাধিক ট্রলার সাগর মোহনায় অবস্থান নেয়। ডিম ছাড়তে সাগর থেকে মা ইলিশ ঝাঁক বেঁধে বিভিন্ন চ্যানেলের মিঠা পানিতে ছুটে আসে। সাগরের ওই সব পথেই বসানো হয়েছে বেড়জাল ও ইলিশজাল। ১০ থেকে ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এসব জালে ধরা পড়ছে ইলিশ।
এদিকে ৭ অক্টোবরের পর থেকে জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তারা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর পাহাড়তলী বাজার, কর্ণফুলী বাজার, কাজির দেউড়ি বাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজারসহ আরও কয়েকটি কাঁচাবাজারে অভিযান চালায়। তবে ওইসব বাজারে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়নি।
এদিকে সাধারণ মাছ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২২ দিন ব্যাপী মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলেও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীদের সাগরে অবস্থান বন্ধ করা যায়নি। এদের কারণেই মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা ব্যর্থ হচ্ছে।
কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছে, বেশির ভাগ রাতের বেলায় ইলিশ শিকারে নামছে মৌসুমি জেলেরা। তাদের আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, মৎস্য আইনে ট্রলার ও নৌকা জব্দ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। ফলে ইলিশের প্রজনন সময়ে প্রচুর মা ইলিশ ধরা হচ্ছে। এসব ডিমওয়ালা ইলিশ নামি দামি হোটেলে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।
এমএসএম / এমএসএম
ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কেটে এক ব্যক্তির মর্মান্তিক মৃত্যু
মসজিদের খতিব–ইমাম–মুয়াজ্জিনদের সুরক্ষায় নীতিমালা চূড়ান্তঃ কুমিল্লায় ধর্ম উপদেষ্টা
মেহেরপুর-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পুনঃবিবেচনার দাবিতে গণজমায়েত
চর ওয়াশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর করেন জাতীয় বীর আমান উল্লাহ আমান
গাজীপুরের রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ইরাদ সিদ্দিকী
ধুনটে বালুবাহী দুই ট্রাকের চাপে অটোরিকশাচালক নিহত
পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের হীরক জয়ন্তী পালন
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চিলমারী মডেল থানার এসআই আসাদুজ্জামানের আকস্মিক মৃত্যু
কোম্পানীগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ও সহায়তা প্রদান
দুমকিতে সশস্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
দুমকিতে গাভী লুটপাটের অভিযোগ 'মিথ্যা', দাবি করে সংবাদ সম্মেলন
ভূমিকম্পকে আল্লাহর সতর্কবার্তা হিসেবে দেখার আহ্বান – মাওলানা আব্দুল ওয়াহাব (বড় হুজুর, কাছাইট)