ঢাকা শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

কাপাসিয়ায় কৃষি জমিতে ড্রেজিংয়ের মাটি, বিপাকে স্থানীয় কৃষকরা


মাসুদ পারভেজ, কাপাসিয়া photo মাসুদ পারভেজ, কাপাসিয়া
প্রকাশিত: ৩১-১০-২০২২ দুপুর ১২:৫৬

গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ব্রহ্মপুত্র নদের ড্রেজিংয়ের মাটি ও বালি তীরবর্তী কৃষি জমিতে স্তুপাকারে ফেলে রাখায় কয়েক শত একর কৃষি জমি অনাবাদী পড়ে আছে। স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনের কাছে মাটি সরানো এবং ভূমি আবাদের অনুমতির আবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। বরং এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞার কারণে কৃষকরা নিরূপায় হয়ে পড়েছেন।

সরেজমিনে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত প্রায় তিন বছর আগে নরসিংদী পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদী খনন প্রকল্পের আওতায় গাজীপুরের কাপাসিয়ার ব্রহ্মপুত্র নদের খনন কাজ করা হয়। ড্রেজিংয়ের ফলে উপজেলার টোক ইউনিয়নের আড়ালিয়া থেকে সনমানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার নদে নব্যতা ফিরে এলেও জনগণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে ড্রেজিং করা বালি ও মাটি। 

ঠিকাধারী প্রতিষ্ঠান ব্রহ্মপুত্র নদের খননকৃত বালি ও মাটি নদীর তীরবর্তী উভয় পাশেই স্তুপাকারে রেখে দিয়েছেন। এসব বালি ও মাটি পরবর্তী সময়ে সড়িয়ে নেওয়া বা ওই এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গিকার থাকলেও তা আর সরানো বা সমান করে দেওয়া হয় নাই।

উপজেলার সনমানিয়া ইউনিয়নের চর সনমানিয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত  কৃষক মোঃ কাশেম মিয়া জানান, তাদের জোত জমিতে চাষাবাদের জন্য নদী খননের মাটি ও বালি সরানোর আবেদন করেও অনুমতি পাচ্ছি না। বরং প্রশাসন এসব জমিতে কৃষি কাজ না করতে বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। একই এলাকার স্থানীয় কৃষক আকরাম হোসেন, মনির হোসেন ও মোঃ শাহজাহান মিয়া প্রমুখ জানান, নদীর খননকৃত মাটি ও বালি তাদের নিজস্ব জোত জমির উপর উচুঁ নিচু অবস্থায় রাখা হয়েছে। এসব নিচু জমিতে নদী খননের বালি ও মাটি রাখার আগে বুরো ধানসহ নানা রবি শস্য আবাদ হতো। নদীর বালি ও মাটি তাদের জমিতে রাখার কারণে এবং প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞায় বর্তমানে সেসব জমিতে কোনো ফসল আবাদ করতে পারছেন না। 

অথচ এসব জমিতে মাটি সমান করে তিন ফসল উপযোগী করা সম্ভব। বর্তমান বিশ্ব মন্দা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেখানে প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে শত শত একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এসব জমি থেকে মাটি ও বালি সরিয়ে চাষাবাদ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশিস্নষ্ট উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ  চেয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খান জানান, ব্রহ্মপুত্র নদী খননের মাটি ও বালি উভয় তীরে রাখা হয়েছে। খননকৃত মাটি উচু নিচুর কারণে কৃষকরা যদি ফসল করতে না পারে তাহলে এসব মাটি সরিয়ে কৃষকরা যাতে ফসল করতে পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

প্রীতি / প্রীতি

রাণীশংকৈলে শিক্ষক সমিতির সম্মেলন অনুষ্ঠিত

নড়াইলে তারুণ্যের উৎসব অনুষ্ঠিত

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ভেঙে শহীদ আবু সাঈদের ছবি প্রতিস্থাপন

শিবগঞ্জে বকেয়া টাকা চাওয়ায় দোকানীকে কুপিয়ে জখম

দুমকিতে শিক্ষকদের বন্ধনে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

আ.লীগের মাস ব্যাপী কর্মসূচির প্রতিবাদে কোনাবাড়ি থানা ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল

এস আলম গ্রুপের শ্রমিক দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি কমিটির বিরুদ্ধে মানববন্ধন

বাঁশখালীতে সাজা-পরোয়ানার পলাতক আসামী জ্যাকর গ্রেফতার

অপহৃত কাঠুরিদের মুক্তিপণ দাবি,আতঙ্কের হাজারো মানুষ

ছাত্রলীগের বিচার চেয়ে নাগরপুরে ছাত্রদলের স্মারকলিপি

শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় ভাংচুর

ইসলাম ধর্ম কটুক্তি কারী সেই বিএনপি নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার