দোহারে পদ্মার তীরে ড্রেজিং : ঝুঁকিতে বাঁধ, ঘর-বসতি ও আবাদি জমি

এতদিন শুনেছেন খাল কেটে কুমির আনা। এখন দোহারের মাহমুদপুর ইউনিয়নবাসী দেখছে ড্রেজিং করে পদ্মা নদীকে কাছে আনা। দোহার উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ইটভাটার দক্ষিণ পাশে পদ্মা নদীর ১০০ মিটারের মধ্যে কৃষিজমি কেটে নিয়ে এখন বিশাল পুকুর বানিয়ে ফেলেছে। যে কোনো সময় পদ্মা নদীর পাড় ভেঙে যেতে পারে এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক মেরিন ড্রাইভ ও বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে স্থানটি ঝুকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া নদীর তীরঘেঁষে রয়েছে বালু উত্তোলনের জন্য ৩টি বলগেট।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চরমাহমুদপুর গ্রামে পদ্মা নদীর পাড় থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে ড্রেজিং করা হচ্ছে আবাদি জমিতে। এর অতিসন্নিকটেই রয়েছে মাহমুদপুর ইউনিয়ন অফিস। আবার পদ্মা নদীর পাড় থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়েছে একটি খাল, যে খালে পদ্মা নদী থেকে সরাসরি পানি প্রবাহিত হয়। পদ্মার পাড়ের পাশেই রয়েছে বিস্তীর্ণ আবাদি জমি। কৃষিজমিতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে সেখান থেকে মাটি ও ভিটা বালু উত্তোলন করায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অনেক ফসলি জমি, যেখানে চাষ হতো বাদাম ও আমন ধান। এছাড়াও ভাঙনের হুমকিতে পড়ছে মেরিন ড্রাইভ ও বাঁধ।
স্থানীয় বাদশা শেখ জানান, দীর্ঘদিন ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হয়েছে। সে সময়ে ড্রেজার বন্ধের জন্য পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ এসে ড্রেজারের মেশিন ও পাইপ ভেঙে দিয়ে বালু উত্তোলন করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তার পরদিনই পুণরায় বালু উত্তোলন শুরু হয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চলে। এভাবেই ঘটনা হয়ে আসছে।
এ ব্যাপারে ড্রেজার ব্যবসায়ী নিজাম উদ্দিন বলেন, ইয়াকুব দেওয়ান আমার কাছ থেকে ড্রেজার ভাড়া নিয়ে মাটি কাটছে। তারা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে কি-না সে বিষয় আমি কিছু জানি না।
এ বিষয়ে ইয়াকুব দেওয়ানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি আমার নিজের জমি থেকে মাটি কাটছি। নিজের জায়গা থেকে মাটি কাটতে আবার কোনো অনুমতি লাগে? আর কর্তৃপক্ষ বিবেচনায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনকে বলেছি। তিনি আমার কাছের লোক, প্রতিবেশী।
মাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। তাদের আমি কখনই এসব বিষয়ে অনুমতি দেইনি। এতে পাড় ভেঙে নদী ভেতরে ঢুকে যাবে। সাংবাদিক ভাইদের নিকট আবেদন, আপনারাও বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যানকে অবহিত করুন।
সরকারের বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০-এর ধারা ৫-এর ১ উপধারা অনুযায়ী পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ। আইন অমান্যকারী দুই বছরের কারাদণ্ড ও সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। সরকারি বিধিমোতাবেক কৃষিজমিতে পুকুর খননও করা যাবে না। ক্ষেত্রবিশেষে পুকুর খননের প্রয়োজনীয়তা থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিসাপেক্ষে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করে পুকুর খনন করা যাবে।
দোহার উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা লুতফুন্নাহার জানান, আবাদি জমি কেটে পুকুর তৈরির জন্য কেউ আমাদের কাছে থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।
দোহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরোজ মাহমুদ নাঈম বলেন, আপনাদের মাধ্যমে আমি বিষয়টি অবহিত হলাম। প্রশাসন দ্রুত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে। কোনো অবৈধ ড্রেজার বা বালুর ব্যবসা করতে দেয়া হবে না।
এমএসএম / জামান

সিডিএ'র কাজ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের বাধার মুখে ঠিকাদার

পটুয়াখালীতে কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শত শত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি পেশ

বেনাপোল বন্দরে পাল্টাপাল্টি নিষেধাজ্ঞায় বাণিজ্যে স্থবিরতা

রাণীনগরে বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

অবসরে যাওয়া পুলিশ কনস্টেবলদের বিদায় সংবর্ধনা

সম্প্রীতি বিনিষ্টকারীদের ছাড় নেই: গোপালগঞ্জে সম্মেলনে ডিসি

পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির টানায় শক লেগে ৫ শিশু হাসপাতালে

আমন চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে হাটহাজারীর কৃষকরা

রৌমারীতে আশ্রয়ণ কেন্দ্রের ঘর সংস্কারের অভাবে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে

ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা মৃত্যুকে ভয় পায় না বলেই আন্দোলন মুছতে পারেনি : এটিএম আজহারুল

বোদায় ১৩৫০ টাকার সার ১৮০০ টাকায় বিক্রি, যৌথ বাহিনীর অভিযান

সমাজ উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই : জহুরুল আলম
