মান্দায় পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি : ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি
নওগাঁর মান্দা উপজেলার পরানপুর ইউনিয়নে পুলিশের এসআই পরিচয়ে চাঁদাবাজির করতে গিয়ে কথিত তিন সাংবাদিক মাহাবুবুজ্জামান সেতু, আব্দুর রাজ্জাক ও হাবিবুর রহমান স্থানীয় গোপালপুর বাজারে লাঞ্ছিত হন। এ নিয়ে ওই ইউনিয়নসহ পুরো উপজেলাজুড়ে ব্যাপক গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে এ ঘটনার ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের গড়িমসি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে।
জানা গেছে, এ ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে স্থানীয় কিছু সিনিয়র সাংবাদিক তাদের হয়ে তদবির করছেন। এজন্য পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ না করে যে সকল সাংবাদিক ভিডিও ডকুমেন্টসহ নিউজ প্রকাশ করেছেন উল্টো তাদের বিরুদ্ধে কতিপয় সাংবাদিক অভিযোগ এনে মূলধারার সাংবাদিকদের কোণঠাসা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। মূলধারার সাংবাদিকরা পুলিশকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সহযোগিতা করলেও তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে গড়িমসি করা হচ্ছে। নিউজ প্রকাশ করার অপরাধে চাঁদাবাজ সাংবাদিকদের অভিযোগ গ্রহণ করেছে থানা পুলিশ । আর এতে বিব্রত হচ্ছেন মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীরা।
সচেতন মহল বলছে, প্রশাসনের পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি মূলধারার সাংবাদিকতা হতে পারে না। অবিলম্বে এদের আশ্রয়দাতা ও অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের ইমেজ ধরে রাখা জরুরি।
পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন এমন কয়েকজন ভুক্তভোগী সাংবাদিক বলেন, ভুক্তভোগী হাজেরা বেগমের ভাই মোসলেম উদ্দীন মাস্টার আমাদের ডেকে পুলিশের এসআই পরিচয়ে চাঁদাবাজি করেছে এমন তথ্য জানান। ওই ভিডিও পুলিশকে দিয়ে সহযোগিতা করেছি । এরপরও আমাদের কোণঠাসা করতে উল্টো অভিযোগ গ্রহণ করেছে পুলিশ। যদি সঠিক সংবাদ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী হতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করবে বলে অনেকের ধারণা। আগেও আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে, যা স্থানীয় সচেতন মহলসহ প্রশাসন অবগত।
এ বিষয়ে আরো তথ্য সংগ্রহ করতে গোপালপুর বাজারে গেলে স্থানীয় যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের কাছে মেলে এ ঘটনার সত্যতা। স্থানীয়রা আরো জানান, তারা ওই মহিলার কাছে সাংবাদিক পরিচয় দিতে পারত কিন্তু তা না করে টাকার জন্য তারা পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়েছেন। সেই সাথে টাকার দাবি করে কিছু টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সেতু ও রাজ্জাক চাঁদাবাজির টাকা ফেরত দিয়ে ক্ষমা চান আমাদের কাছে এবং ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না করার একটি মৌখিক স্বীকারোক্তি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, যারা ঘটনাটির নিউজ করেছেন সেসব সাংবাদিকদের নামে একটি অভিযোগ পেয়েছি।
এমএসএম / জামান