শীত মৌসুমে পানি কমে যাওয়া কিছু কিছু নৌপথ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে

শুষ্ক মৌসুম এসেছে, অথচ গণমাধ্যমে দেশের নদ-নদীগুলোর নাব্যতা সংকটের খবর আসেনি, এমনটা খুব কমই দেখা গেছে। প্রতি বছরই শুষ্ক মৌসুম আসতে না আসতেই নদ-নদীতে নাব্যতা-সংকটের খবর প্রকাশিত হয়। মূলত খনন না করার কারণে নদ-নদীতে এই নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি একটু সচেতন থাকে তাহলে আর এ সংকটের সৃষ্টি হয় না।
শীত মৌসুমে পানি কমে যাওয়ার পাশাপাশি অসংখ্য ডুবোচরের কারণে দুই-তিন কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা, লঞ্চসহ বিভিন্ন নৌযানে চলাচল করছেন চরাঞ্চলের দুই লক্ষাধিক মানুষ। কিছু কিছু নৌপথ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পরিবর্তন হচ্ছে না ব্রহ্মপুত্রের উন্নয়ন। প্রতি বছর মন্ত্রী আসছেন নৌবন্দর পরিদর্শনে। তাদের বক্তব্যে দিয়ে যাচ্ছে আশ্বাস- দ্রুত ব্রহ্মপুত্র নদী খননের কাজ হচ্ছে, কিন্তু হচ্ছে ঢিলেঢালাভাবে।
এদিকে খরস্রোতা ব্রহ্মপুত্র নদ এখন নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় পলিমাটি জমে ভরাট হয়ে যাচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নদের বুকে জেগে উঠছে চর। আর বর্ষা মৌসুমে চরাঞ্চলের এসব গ্রাম থাকছে বন্যার চরম ঝুঁকিতে।
বর্তমানে ফুলছড়ি উপজেলা ঘেঁষা নৌবন্দর তিস্তা মুখ ঘাট ও বালাসি ঘাট প্রবাহমান ব্রহ্মপুত্র নদটি নাব্যতা হারিয়েছে মরাখালে পরিণত হয়েছে। অধিকাংশ লোকজনই পায়ে হেঁটে ব্রহ্মপুত্র নদের চর পাড়ি দিচ্ছে। গলনার চর,কাবিল পুর চর,বাজে তেলকুপির চর,ফুলছড়ি চর সহ বিভিন্ন স্থানের লোকজন এবার ব্রহ্মপুত্র নদে ইরি-বোরো চাষের প্রতিযোগীতায় নেমেছেন। নদে চর জেগে উঠায় বন্ধ হয়ে গেছে দুই শতাধিক পরিবারের মাছধরা ও নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহের একমাত্র পথ।
বিশাল নদটিতে চর জেগে পরিণত হয়ে ছোট্ট একটি খালে। নৌকার মাঝি পাশান আলী জানান, শুকনো নদী, অনেক দুর ঘুরে ঘুরে যাইতে হয় তাই সময় ও তেল খরচ বেশি পরে। নৌকায় পারাপারের যাত্রী নেই। ইঞ্জিন চালিত প্রায় সব যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।তাই খুবই কষ্টে দিনযাপন করছি। কৃষক মনু মিয়া বলেন,দীর্ঘদিন আগে নদী ভাঙ্গনে জমি চলে গেছে। এবার আমার তিন বিঘা জমি জেগে উঠেছে নদের বুকে থেকে সেখানে আমি সামান্য বোরো আবাদ করছি।
মনোহরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাজিমউদ্দীন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নদীর উপরও পড়ছে। তাই গ্রীষ্ম মৌসুমে শুকিয়ে যাচ্ছে আর বর্ষা মৌসুমে বন্যা ও নদী ভাংগনের সৃষ্টি হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করা না হলে ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়ন ও পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের অনেক গ্রাম বর্ষা মৌসুমে বন্যায় কবলিত হয়।
ব্রহ্মপুত্র নদ শুকিয়ে যাওয়ায় এসব গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন হচ্ছে।ব্রহ্মপুত্র নদে পানি না থাকায় গাছপালা ও কৃষি উৎপাদনের প্রভাব পড়ছে। বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি আবাদ হলেও কমে যাচ্ছে উৎপাদন। ব্রহ্মপুত্র নদের সংস্কার না হলে বর্ষা মৌসুমে চরম হুমকির শিকার হবে উপজেলার চরাঞ্চলের গ্রামগুলো । জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে বেকার হয়ে যাবে নদীতে নৌকা চালিয়ে জীবন যুদ্ধ করা নৌকার মাঝিরা।
ফুলছড়ি উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিক সাহিম রেজা বলেন,বিআইডব্লিউটিএকে অনেক বেশি তৎপর হতে হবে। কারণ, নদী খনন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব মূলত তাদেরই। তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার ভিত্তিতে নদ-নদীগুলো নিয়মিত খনন করতে হবে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, অপসারিত পলি পরবর্তী সময় আবার নদীতেই ফিরে আসে। অপসারিত পলি যেন আর কখনোই নদীতে ফিরে না আসে, সে ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এমএসএম / জামান

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন

লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ
Link Copied