ঢাকা সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

খাল-বিলে পানি কমায় ফুলছড়িতে চলছে বৈথ উৎসব


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১০-১১-২০২২ দুপুর ২:৩৯

‘মৎস্য মারিব, খাইব সুখে’  সুখী ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ প্রাচীন বাংলার লোকমুখে বহুল প্রচলিত প্রবাদ। বাঙালি ও মাছ তাই একে অন্যের পরিপূরক। মাছ নিয়ে বাঙালির মনের কোণে আছে তীব্র আবেগ ও ভালোবাসা। একজন বাঙালি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, মাছ তাকে কাছে টেনে নেবেই। তাই তো ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ যেন বাঙালি জীবনের ঐতিহ্য বহন করে।

বন্যার পর গাইবান্ধাসহ ফুলছড়ি উপজেলার খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে চলছে মাছ ধরার মৌসুম। সেই সাথে শুরু হয়েছে এলাকার ঐতিহ্যবাহী দলবদ্ধ মাছ শিকার, বৈদ বা বৈত। তাদের হাতে, কাঁধে  নানা ধরনের মাছ ধরার উপকরণ পলো, হ্যাংগা জালি, পলো জালি, হ্যাগা, মুঠো জাল, কোঁচা, ক্যাটা, তৌরা জাল, ঝাঁকি জাল।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের চিথলিয়ার বিলে দেখা যায় বৈদ নামে দলবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার করছেন। কর্মব্যস্ত মানুষের জীবন থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাওয়া এই উৎসবে অংশ নেন তিন-চার শতাধিক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা একত্রিত হয়ে মাছ শিকার করেন।

স্থানীয়রা জানান, কেউবা মাছ মারে কেউবা মাছ মারা দেখে, অনেকে এই মাছ শিকার করা দেখতে ভিড় করেন। তাদের অনেক ভালো লাগে তাই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসে এই বৈত মারা দেখেন।

ঘাগোয়া থেকে মাছ শিকার বা বৈথে আসা গিয়াস উদ্দিন বলেন,জেলার ৭টি উপজেলাতেই পৃথক পৃথক সৌখিন এই মাছশিকারির দল রয়েছে। বৈদ দলের আলোচনার মাধ্যমে মাছ শিকারের জন্য নির্দিষ্ট জলাশয়, তারিখ, সময়, যাত্রার স্থান নির্ধারণ করে জানিয়ে দেয়া হয়। এই বৈদের দলের একজন দলনেতা থাকে। আমরা আনন্দ উল্লাস করে সবাই একত্রিত হয়ে বৈথে মাছ ধরতে আশি।

মাছ শিকরীরা আব্বাস আলী (৫২) জানায়,অনেকেই ২০-২৫ বছর থেকে এই বৈত মারে আবার অনেকেই শখের বসে এসেছে।এখানে এসে সকলেই কমবেশি মাছ পায়,কেউ বেশি পায় কেউ কম পায়, আবার কেউবা পাই না,তারপরও এইটি একটি নেশা তাদের।

নির্দিষ্ট এলাকায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে এই বৈত মারার আহ্বানে নিজ নিজ পছন্দমতো মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে সমবেত হতে থাকে মৎস্য শিকারিরা। পূর্বনির্ধারিত বিল জলাশয়ে দলবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার চলে দিনভর। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, যে কেউ এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। বৈদে মাছ মারা চলে সকাল থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। আনন্দর হৈ হুল্লোড় করে চলে এক জলাশয় থেকে অন্য জলাশয়ে বৈথে মাছ শিকার।

মৎস্য শিকার (ইংরেজিতে : Fishing) কোন ব্যক্তি কর্তৃক মাছ ধরার জন্য চেষ্টাবিশেষ। সাধারণতঃ মাছ প্রকৃতি প্রদত্ত নদী-নালার মুক্ত জলাশয় থেকে ধরা হয়।

উল্লেখ্য বিশ্বের আনুমানিক ৩৮ মিলিয়ন লোক বাণিজ্যভাবে জেলে এবং মৎস্য খামারীর পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এ পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছে ৫০০ মিলিয়নেরও অধিক জনগোষ্ঠী।২০০৫ সালে বৈশ্বিকভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত উন্মুক্ত জলাশয় ক্ষেত্র থেকে মাথা পিছু ১৪.৪ কিলোগ্রাম মাছ আহরণ করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ৪.৩ কিলোগ্রাম মাছ আবদ্ধ জলাশয় থেকে চাষাবাদের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য খাদ্য সংগ্রহসহ আধুনিককালে মৎস্য শিকার অবসরকালীন বিনোদনে সময়।

এমএসএম / জামান

সাভারে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

শীর্ষ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক

বাকেরগঞ্জে কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না, উঠতে হয় মই দিয়ে!

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান, ১০ জেলে গ্রেফতার

নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার; পলাতক স্বামী

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ১১ জেলে আটক, ৮ জনের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীতে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ