খাল-বিলে পানি কমায় ফুলছড়িতে চলছে বৈথ উৎসব

‘মৎস্য মারিব, খাইব সুখে’ সুখী ও প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ প্রাচীন বাংলার লোকমুখে বহুল প্রচলিত প্রবাদ। বাঙালি ও মাছ তাই একে অন্যের পরিপূরক। মাছ নিয়ে বাঙালির মনের কোণে আছে তীব্র আবেগ ও ভালোবাসা। একজন বাঙালি পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকুক না কেন, মাছ তাকে কাছে টেনে নেবেই। তাই তো ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ যেন বাঙালি জীবনের ঐতিহ্য বহন করে।
বন্যার পর গাইবান্ধাসহ ফুলছড়ি উপজেলার খাল-বিল ও জলাশয়গুলোতে চলছে মাছ ধরার মৌসুম। সেই সাথে শুরু হয়েছে এলাকার ঐতিহ্যবাহী দলবদ্ধ মাছ শিকার, বৈদ বা বৈত। তাদের হাতে, কাঁধে নানা ধরনের মাছ ধরার উপকরণ পলো, হ্যাংগা জালি, পলো জালি, হ্যাগা, মুঠো জাল, কোঁচা, ক্যাটা, তৌরা জাল, ঝাঁকি জাল।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার ভরতখালী ইউনিয়নের চিথলিয়ার বিলে দেখা যায় বৈদ নামে দলবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার করছেন। কর্মব্যস্ত মানুষের জীবন থেকে ক্রমাগত হারিয়ে যাওয়া এই উৎসবে অংশ নেন তিন-চার শতাধিক নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তারা একত্রিত হয়ে মাছ শিকার করেন।
স্থানীয়রা জানান, কেউবা মাছ মারে কেউবা মাছ মারা দেখে, অনেকে এই মাছ শিকার করা দেখতে ভিড় করেন। তাদের অনেক ভালো লাগে তাই অনেক দূর-দূরান্ত থেকে এসে এই বৈত মারা দেখেন।
ঘাগোয়া থেকে মাছ শিকার বা বৈথে আসা গিয়াস উদ্দিন বলেন,জেলার ৭টি উপজেলাতেই পৃথক পৃথক সৌখিন এই মাছশিকারির দল রয়েছে। বৈদ দলের আলোচনার মাধ্যমে মাছ শিকারের জন্য নির্দিষ্ট জলাশয়, তারিখ, সময়, যাত্রার স্থান নির্ধারণ করে জানিয়ে দেয়া হয়। এই বৈদের দলের একজন দলনেতা থাকে। আমরা আনন্দ উল্লাস করে সবাই একত্রিত হয়ে বৈথে মাছ ধরতে আশি।
মাছ শিকরীরা আব্বাস আলী (৫২) জানায়,অনেকেই ২০-২৫ বছর থেকে এই বৈত মারে আবার অনেকেই শখের বসে এসেছে।এখানে এসে সকলেই কমবেশি মাছ পায়,কেউ বেশি পায় কেউ কম পায়, আবার কেউবা পাই না,তারপরও এইটি একটি নেশা তাদের।
নির্দিষ্ট এলাকায় এবং নির্দিষ্ট সময়ে এই বৈত মারার আহ্বানে নিজ নিজ পছন্দমতো মাছ ধরার নানা সরঞ্জাম নিয়ে সমবেত হতে থাকে মৎস্য শিকারিরা। পূর্বনির্ধারিত বিল জলাশয়ে দলবদ্ধ হয়ে মাছ শিকার চলে দিনভর। এতে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই, যে কেউ এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। বৈদে মাছ মারা চলে সকাল থেকে বিকেল ৩টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত। আনন্দর হৈ হুল্লোড় করে চলে এক জলাশয় থেকে অন্য জলাশয়ে বৈথে মাছ শিকার।
মৎস্য শিকার (ইংরেজিতে : Fishing) কোন ব্যক্তি কর্তৃক মাছ ধরার জন্য চেষ্টাবিশেষ। সাধারণতঃ মাছ প্রকৃতি প্রদত্ত নদী-নালার মুক্ত জলাশয় থেকে ধরা হয়।
উল্লেখ্য বিশ্বের আনুমানিক ৩৮ মিলিয়ন লোক বাণিজ্যভাবে জেলে এবং মৎস্য খামারীর পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এ পেশায় সম্পৃক্ত রয়েছে ৫০০ মিলিয়নেরও অধিক জনগোষ্ঠী।২০০৫ সালে বৈশ্বিকভাবে প্রকৃতি প্রদত্ত উন্মুক্ত জলাশয় ক্ষেত্র থেকে মাথা পিছু ১৪.৪ কিলোগ্রাম মাছ আহরণ করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত ৪.৩ কিলোগ্রাম মাছ আবদ্ধ জলাশয় থেকে চাষাবাদের মাধ্যমে সংগৃহীত হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য খাদ্য সংগ্রহসহ আধুনিককালে মৎস্য শিকার অবসরকালীন বিনোদনে সময়।
এমএসএম / জামান

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন
