ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় শিক্ষকদের দুশলেন অভিভাবক


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১১-১১-২০২২ দুপুর ১২:৩

ইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল এলাকায় স্থাপিত জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। ৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী পাস করেছে। পাসের হার ১৮ শতাংশের নিচে। ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে যা উদ্বেগজনক। তবে অভিভাবকদের চাপের মুখে পরবর্তীতে বিশেষ বিবেচনায় সকল শিক্ষার্থীকে পাস দেখিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।উপজেলার চরাঞ্চলীয় এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষা ২০ অক্টোবর শুরু হয়ে ২ নভেম্বর শেষ হয়। পরীক্ষার্থীদের খাতা মূল্যায়ন করে গত মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত ফলাফলে ৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাস করে ১১ জন। ৫১ জন শিক্ষার্থী ফেল করে। পাস করে ১৮ শতাংশ ও ফেল করে ৮২ শতাংশ শিক্ষার্থী। বিকেলে টেস্ট পরীক্ষার ফলাফলের তালিকা বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডে লাগিয়ে দেয়। নিজেদের ফলাফল খারাপ দেখে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক ফলাফল তালিকা ছিড়ে ফেলে। গত বুধবার সকালে অভিভাবকদের চাপের মুখে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের নিয়ে সভা করেন।  

টেস্ট পরীক্ষায় পাস করা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন,পরীক্ষার প্রশ্ন তুলনামূলক একটু কঠিন হয়েছিল। যারা নিয়মিত পড়ালেখা করেছে তারা পাস করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন,পরীক্ষার প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। তাছাড়া খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও স্যাররা কঠোর হয়েছে। একারণে অনেকে ফেল করেছে।টেস্ট পরীক্ষায় ফেল করা বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন,এসএসসি পরীক্ষায় ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার জন্য হেড স্যারের নির্দেশে আমাদের পরিকল্পিতভাবে ফেল করে দেওয়া হয়েছে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে আমরা নোটিশ বোর্ডের ফলাফল তালিকা ছিড়ে ফেলেছি।

স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হাসান রতন বলেন,বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পাস করে। কিন্তু এ বিদ্যালয়ের চিত্র উল্টে গেছে,৮২ শতাংশ পরীক্ষার্থী ফেল করেছে। শিক্ষার এ অবনতির জন্য শিক্ষকরা কখনো দায় এড়াতে পারেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীর এক অভিভাবক হতাশা প্রকাশ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কৌশল হিসেবে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে ফেল করে দিয়েছেন। তাছাড়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সত্যিই যদি এমন ফলাফল হয়ে থাকে তাহলে বিষয়টি অনেক হতাশাজনক।

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফলাফল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে জিগাবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রথমে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল এখনও ঘোষণা করা হয়নি বলে দাবী করেন। শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে প্রতিবেদন তৈরি করা হচ্ছে একথা জানার পর তিনি বলেন,ফলাফল ঘোষণা হয়েছে একথা সত্য। তবে বিশেষ বিবেচনায় সকল শিক্ষার্থীকে পাস করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।পরীক্ষার্থীদের ফেল করিয়ে ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কৌশল কিনা এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি ফোন কেটে দেন।

এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন

লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ