বংশ পরস্পরায় ডালের বড়া পেশাকে টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন কারিগররা

ডালের বড়া তৈরিতে ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন গাইবান্ধার খামার বোয়ালী গ্রামের কারিগররা। খোসা ছাড়ানো মাষকলাই ডালের গুড়োর সাথে আতব চালের গুড়ো মিশিয়ে সুস্বাদু এই বড়া তৈরি করা হয়। গ্রামটিতে বছরের অন্যান্য সময়ে বড়া তৈরি হলেও শীতকালে দাহিদা বেশি থাকায় দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে এখানকার তৈরি ডালের বড়া।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের খামার বোয়ালী গ্রামের গিয়ে দেখা মেলে রাস্তার দুই ধার দিয়ে সারি সারি বড়া শুকানোর চালি। গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধীক পরিবার ভোর থেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ছোট-বড়, ছেলে-মেয়ে পবিরারের সবাই কাজে লেগে পড়েছেন বড়া তৈরিতে। কেউ মেশিনে ভেজানো ডাল তুলে দিচ্ছেন। কেউ বড়া গুটি গুটি করছেন। কেউবা চাল ও ডালের গুড়ো দিয়ে তৈরি বড়া শুকানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ডালের বড়ির চাহিদা ভালো থাকলেও ডালসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম বাড়ায় লাভ কম হয়। এরপরও বংশ পরস্পরায় পেশাকে টিকিয়ে রাখার কথা জানান কারিগররা।
বড়া তৈরি কাজ করতেছিলেন খামার বোয়ালী গ্রামের হৃদয় চন্দ্র মহন্ত (৬৫)। তিনি বলেন, বংশ পরস্পরায় পেশাকে টিকিয়ে রেখেছেন তারা। শীতকালে এর চাহিদা বেশি। তাই এই সময় ব্যাস্ততাও বেশি তাদের। তিনি সকালের সময়ে'র প্রতিনিধি কে বলেন, বাপ-দাদাদের দেখে আসছি বড়া তৈরি করতে। ছোট বেলা থেকে আমরাও কাজে নেমে পড়তাম। এখন আমাদের কাজ দেখে নাতি-পুতিরা লেগে পড়ে বড়া তৈরির কাজে। তবে জিনিস পত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ কম হয়।
কথা হয় আরেক পরিবারের সন্ধ্যা রানি সাহার (৬৪) সঙ্গে। ৭জনের পরিবার তাদের। প্রতিদিন ত্রিশ কেজি থেকে ১মন বড়া তৈরি করেন তিনি বলেন, পেটের দায়ে বড়া তৈরী করি। আগে খুব কষ্ট করা লাগছে। চাল বাটতে হতো, ডাল বাটতে হতো এখন আর সেটা করতে হয় না। এবার মেশিন কেনায় অনেকটা সুবিধা হয়েছে। কম সময়ে বেশি পরিমানে বড়া তৈরি করা যায়।
অখিল চন্দ্র সাহা (৪৮) যিনি বড়া তৈরির কাজে ব্যস্ত ছিলেন, তিনি বলেন, এখন খোসা ছাড়ানো মাষকলাই ডাল কিনতে হয় ৬৫০ টাকা ধরা। তবে বড়া তৈরির করে তা কেজি প্রতি ২৫০-৩০০ টাকা বিক্রি করি। তবে লাভ যা হয় তা সংসারের খরচ চালিয়েও টেকে কিছু।
ওই গ্রামের তপন চন্দ্র মহন্ত (৫৫) বলেন, শীতের তিন মাস খুব ভালো চলে। বছরের বাকি সয়ম অন্য কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। তিনি জানান, আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করলে এ পেশাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হতো। তিনি আক্ষেপ করে বলেন,অফিস থাকি নাম টাম লেখি নিয়ে লোন দিবে কয়য়্যা গেলো। এক মাস হয়য়্যা গেলো আর কোন খবরই নাই।
বড়া তৈরির কারিগরদের স্বল্প সুদে ঋণ দেয়া হবে আশ্বাস দিয়ে জেলা বিসিকের সহকারি মহাব্যবস্থাপক রবীন চন্দ্র রায় বলেন, যদি কেউ আগ্রহী হয় গাইবান্ধা বিসিক তার পাশে থাকবে এবং এই শিল্পকে ছড়িয়ে দিতে সার্বিক সহযোগীতাও করা হবে।
বিশেষ প্রক্রিয়ায় বানানো সুস্বাদু এই বড়া রফতানী করা সম্ভব বলেও জানান স্থানীয়রা।
প্রস্তুত প্রনালী: খোসা ছাড়ানো মাষকলাইয়ের ডাল সারা রাত ভিজিয়ে রেখে ভালো করে ধুয়ে নিতে হয়। ডালগুলো আগে পাটায় বেটে নেওয়া হলেও এখন বিদ্যুৎ চালিত মেশিনে করা হয়। আধা ঘণ্টা ধরে ব্লেন্ড করতে হয়। একটি বাঁশের ডালায় বা নেটে ছোট ছোট করে সাজিয়ে কড়া রোদে বড়িগুলো শুকাতে হয়।
এমএসএম / এমএসএম

সাভারে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

শীর্ষ মানবপাচার চক্রের মূল হোতা আটক

বাকেরগঞ্জে কোটি টাকার সেতু কাজে আসছে না, উঠতে হয় মই দিয়ে!

মা ইলিশ রক্ষায় মেঘনা নদীতে অভিযান, ১০ জেলে গ্রেফতার

নালিতাবাড়ীতে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

তালাবদ্ধ দোকানঘর থেকে এক নারীর বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার; পলাতক স্বামী

মেঘনায় মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে ১১ জেলে আটক, ৮ জনের কারাদণ্ড

পটুয়াখালীতে ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনি ও পুরস্কার বিতরণ

চট্টগ্রামে রাস্তায় ৫০ হাজার অনিবন্ধিত সিএনজি, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

কসবায় টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ
Link Copied