ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ভেঙ্গে পড়েছে খুলনা ট্রাফিক ব্যবস্থা, নগরবাসী নাজেহাল


আরিফুর রহমান photo আরিফুর রহমান
প্রকাশিত: ৩০-১১-২০২২ দুপুর ৩:২০

খুলনা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থা চরম নাজুক হয়ে পড়েছে। তীব্র জ্যাম এবং যানজটে নাজেহাল নগরবাসী। এতে তীব্র কষ্ট ও দূর্ভোগ পোহাচ্ছে অফিস-আদালত ও ব্যবসাসহ দৈনন্দিন কাজে চলাচলকারী নগরীর সাধারন মানুষ। রেহাই পাচ্ছে না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও। 

এছাড়া নগরীর অলিগলি ও ছোট রাস্তায় বড় যানবাহন পিক আওয়ারে বাধাহীনভাবে প্রবেশ করে নগরবাসীর দূর্ভোগ আরো অসহনীয় করে তুলছে। নগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থার এই দু:সহ বেহাল দশা থেকে পরিত্রান পেতে পুলিশ,প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে সাধারন মানুষ ও নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ।

খুলনা মেট্রো এরিয়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন আদালত, সরকারী দপ্তর, ব্যাংক, স্কুল-কলেজ,হাসপাতাল,মার্কেটসহ বেসরকরী অনেক অফিস অবস্থিত। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী প্রতিদিন ৯টার মধ্যে এসকল অফিসের দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হলে মূল সড়ক গুলোতে যানবাহনের প্রচুর চাপ বেড়ে যায়। 

এই সময়টায় নগরীর গল্লামারি মোড়,সোনাডাঙ্গা মোড় , ফেরিঘাট মোড় , ময়লাপোতা মোড়, পাওয়ার হাউজ মোড়, শিববারি মোড়, ডাক- বাংলা মোড়, পিটিআই মোড় ও রুপসা ট্রাফিক মোড়সহ বিকল্প পথসহ ক্রস রোডগুলোতেও তীব্র ট্রাফিক জ্যাম সৃষ্টি হয়। 

এই ট্রাফিক পয়েন্টগুলো গুরুত্বপূর্ন হলেও যান-জটের নিরসনে খুলনা ট্রাফিক বিভাগ লক্ষ্যনীয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায় নি। খুলনার নাগরিক আন্দোলন নেতা বাবুল হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, ট্রাফিক জ্যামের অন্যতম কারন উন্নয়ন কাজে রাস্তা খোরাখুরির কাজ, প্রয়োজনের তুলনায় নগরীতে অনেক ইজিবাইক, নগরীতে কোন গন পরিবহন নাই। বাস-ষ্ট্যান্ড গুলোতে টার্মিনাল বাদ দিয়ে মেইন রাস্তায় এসে বাসে যাত্রী উঠায়, পর্যাপ্ত পরিমানে ট্রাফিক পুলিশ নেই এবং বাজার এলাকাগুলোতে বড় দোকানদাররা রাস্তা আটকে ব্যবসা করছে।

ময়লাপোতা মোড়ে সরেজমিনে দেখা যায়, গল্লামারি-ময়লাপোতা রাস্তায় জ্যাম-জট লেগেই থাকে। অন্যদিকে,রাস্তা দখল করে ময়লাপোতা মোড়ের আহসানউল্লাহ কলেজের সামনে যাতায়াতের রাস্তা দখল করে সিরিয়াল দিয়ে এম্বুলেন্স ষ্ট্যান্ড করা হয়েছে। ময়লাপোতা-রুপসা রুটেও ঠিক মোড়েই ঘন্টার পর ঘন্টা ইজিবাইক দাড়িয়ে থাকে। ফলে যাতায়াতে তীব্র কষ্টে পড়তে হয় নগরবাসীকে।

ময়লাপোতা মোড় থেকে প্রতিদিন যাতায়াতকারী আব্দুল্লাহ আল মইন বলেন, প্রতিদিন ব্যবসায়িক কাজে এ পথ থেকে যাতায়াত করি। কিন্তু সব সময়ই জ্যাম জট থাকে। বড় যানবাহন গুলো ময়লাপোতা মোড় থেকে সঠিক নিয়মে কখনোই ইউটার্ন নেয় না। ফলে জাম-জট সৃষ্টিসহ প্রায়সই দূর্ঘটনাও ঘটে। সোনাডাঙ্গা বাস ষ্ট্যান্ড মোড়ে রবিবার সকাল ৯:৩০ মিনিটে গিয়ে দেখা যায়, সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল থাকা সত্বেও বিভিন্ন রুটের বাসগুলো মেইন সড়কে দাড়িয়ে যাত্রী উঠানো-নামানো করে। যার ফলে মোড়টিতে সমসময় তীব্র যানজট তৈরী হয় ।

খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী অহিদুজ্জামান বলেন, প্রতিদিন খুলনা মেডিকেল কলেজে-যাওয়া আসার সময় তীব্র যানযটে ভুগতে হয়। তার প্রতিদিন সোনাডাঙ্গা মোড় থেকে যাতায়াতেই প্রায় ৪০-৪৫ মিনিট সময় নষ্ট হয়ে যায়। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও গুরুত্বপূর্ন কোন পদক্ষেপ নিতে কখনোই দেখা যায় না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নগরীর বয়রা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী নূরতাজ তিনি ফরাজীপাড়া রোডের বাসিন্দা। প্রতিদিন তাকে বাসা থেকে পাবলিক পরিবহনে যাতায়াত করতে হয়। যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তখন কথা হলে তিনি জানান,ফুল মার্কেট থেকে পাওয়ার হাউজ মোড় হয়ে বয়রা যাতায়াত করি রোজ। যাতায়াতের সময় যান- জটের কারনে রোজ ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

পাওয়ার হাউজ মোড়ে গত ১৭ নভেম্বর বেলা ১১টায় গিয়ে দেখা গেছে, মোড়ের উপর পশ্চিম দিকে শিবাবারির দিকে যাওয়ার রাস্তা জুরে মাহেন্দ্রা ষ্ট্যান্ড। সাথে সেখানে অসংখ্য ইজিবাইকের ভীড়। ট্রাফিক পুলিশ থাকলেও পাওয়ার হাউজ মোড়ে জাম-জট নিরসনে কোন গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।

খুলনা মেট্রো ট্রাফিক বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মনিরা সুলতানা জানান, বর্তমানে বিভিন্ন রোডে উন্নয়ন কাজে সাইড রোডগুলো কাটা থাকায় যানবাহনের চাপটি মেইন রোডে পড়ছে।পানির ঢলের মত যানবাহন থাকে মেইন রোডে। এজন্য মেইন রোডসহ গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে অফিস আওয়ারে পর্যাপ্ত জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই যান-জট

নিরসন করতে অনেক সময় দূর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের সকলেরই। এজন্য অফিস শুরু ও ছুটির সময়ে যেসকল পয়েন্টে জানযট বাধে সেসকল জায়গার ক্রসিং রোডগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক স্থানে সঠিক দূরত্বে ইউটার্ন স্থান না থাকায় চাইলেও সকল ক্রসিং রোডগুলো এখনই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, খুলনা মহানগরের বিভিন্ন রোডে ড্রেন ও রাস্তা সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে বলেও জ্যাম তৈরী হচ্ছে বিধায় অনেক সময় মূলক সড়কগুলোর কাজের স্থানেও ট্রাফিক পুলিশদের দায়িত্ব দিয়েছি।

ময়লাপোতা মোড়ে অবৈধভাবে গাড়ি ও এম্বুলেন্স পার্কিং’র প্রশ্নের জবাবে মনিরা সুলতানা বলেন, সিটি মেডিকেল কলেজের সাথে এ বিষয়ে ৪বার মিটিং করেছি। কিন্তু সুফল দেখতে না পেয়ে অনেকবার এম্বুলেন্সগুলোকে তাড়িয়ে দিলেও তারা অলি-গলিতে যেয়ে দাঁড়ায়।  সাময়িক সময়ের জন্য রাস্তায় না দাড়ালেও আবার এসে জড়ো হয়। স্থায়ীভাবে এ সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা খুব শিঘ্রই গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। সেই সাথে খুলনা নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মেনে চলার জন্য অনরোধ করেছেন মনিরা সুলতানা।

মঙ্গলবার নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ ও সার্জেন্টদের সাথে কথা বললে তারা জানান, ট্রাফিক অফিসে যানজটপূর্ন এলাকার তথ্য রয়েছে। মূল অফিস সঠিক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ ও আইন প্রয়োগের মাধ্যমে যানজট নিরসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে সার্জেন্ট ও কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশরা জানান।

প্রীতি / প্রীতি

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত