জনবল সংকট নিয়ে চলছে খুলনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কার্যক্রম

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ে জনবল সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে । ৩৬টি পদের মধ্যে সহকারী পরিচালক পদসহ ১১টি পদ শূন্য রয়েছে। একটি মাত্র আভিযানিক গাড়ি ব্যবহার করে জেলা ও দুইটি সার্কেল অফিসের কাজ চলছে। অভিযান এবং আইন প্রয়োগে জেলার এই দফতরটি সাধ্যমতো চেষ্টা চালালেও সম্পূর্ণতা না থাকায় তুলনামূলক সফলতা কম। জনবল ও যানবাহন সংকটের কারণে মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদকসেবীদের গ্রেপ্তারে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হচ্ছে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের খুলনা জেলা অফিস।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা কার্যালয়ে মঞ্জুরিকৃত ৩৬ টি পদের মধ্যে কর্মরত রয়েছেন ২৫জন। অফিস প্রধান রয়েছেন ১জন, প্রসিকিউটর (ভারপ্রাপ্ত) ১জন রয়েছেন,জেলা কার্যালয়ে পণ্যাগার রয়েছেন ১জন,খুলনার দুইটি সার্কেল অফিসে পরিদর্শক রয়েছেন ২জন, হিসাবরক্ষক রয়েছেন ১জন,উপ পরিদর্শক ১জন ,সহকারী উপ পরিদর্শক ১জন,সিপাই রয়েছেন ৮জন,অফিস সহকারী কাম কম্পিউটর অপারেটর ১জন,গাড়ী চালক ১জন ,অফিস সহায়ক ১জন রয়েছেন এবং আউট সোর্সিং নিয়ে মোট ২৫ জন কর্মরত রয়েছেন। শূন্যপদ রয়েছে সহকারী পরিচালক পদ ০১ জন, সহকারী প্রসিকিউটর পদ ০২ জন, এস আই পদ ১ জন, এএসআই পদ পদ ০৩ জন এবং সিপাই পদ ৪ জন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মচারী বলেন, খুলনা জেলায় মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু দপ্তরে জনবল কম থাকায় মাদকের বিরুদ্ধে ঠিকমতো অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। প্রয়োজন অনুসারে জনবল ও যানবাহন না থাকায় অভিযান পরিচালনা করেও মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের ধরা কঠিন হয়ে পড়েছে। ২৪ ঘন্টা আমাদের অন ডিউটি থাকতে হয়। যানবাহন সংকটের কারনে অনেক সময় তথ্য পেয়েও সঠিক সময়ে স্পটে পেীছাতে কালক্ষেপন হওয়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের ধরতে ব্যর্থ হতে হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের খুলনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো: মিজানুর রহমান লোকবল সংকটের কারণে কাজে অসুবিধা হওয়ার কথা স্বীকার করে দৈনিক সকালের সময়কে বলেন, জনবল সংকটের কারণে দাপ্তরিক কাজ ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। জনবল সংকট ও পর্যাপ্ত পরিমানে যানবাহন না থাকায় অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। অনেক সময় গাড়ি ভাড়া করে অভিযান পরিচালনা করতে হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে কোনো শাখা অফিস না থাকায় খুলনা থেকেই অভিযানে যেতে হয়। একটি মাত্র আভিযানিক গাড়ি নিয়ে একই সময়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করতে সমস্যা হচ্ছে। খুলনা জেলার মধ্যে দূরে অভিযান পরিচালনা করতেও সমস্যা হচ্ছে। তথ্য পেয়ে দূরে গেলেও সঠিক সময়ে পেীছাতে না পারায় অনেক সময় আসামী ধরা দুস্কর হয়ে পড়ে।
তিনি আরো বলেন, খুলনা জেলায় দুইটি সার্কেল অফিস আছে। ১১টি পদ শূন্য থাকায় আমাদের সকল দাপ্তরিক কাজ ও যানবাহন সংকটের কারনে আভিযানিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে। এসকল সমস্যা হেড অফিসে জানানো হয়েছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য,খুলনা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক অক্টোবর/২০২২ মাসে ১৬৫ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ও ৩১ টি মামলা হয়েছে এবং নভেম্বর/২০২২ মাসে ১৮৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ও ৩৭টি মামলা করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান

ভূরুঙ্গামারীতে নদীর বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

নরসিংদীতে সম্মানজনক বেতন ও এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ
