ঢাকা শনিবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৫

শ্রীপুরে প্রতিবন্ধী শিশুর হাতে আগুনের ছ্যাঁকা দিলেন প্রধান শিক্ষক


নাঈম মেহেদী, শ্রীপুর photo নাঈম মেহেদী, শ্রীপুর
প্রকাশিত: ১৫-৭-২০২১ দুপুর ১২:৩৪

গাজীপুরের শ্রীপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন এক শিশুকে জ্বলন্ত চুলা থেকে লাকড়ি দিয়ে ডান হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার নিজ মাওনা গ্রামে গত সোমবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত মাইন উদ্দিন শ্রীপুর উপজেলার নগরহাওলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি নিজ মাওনা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেন মিলন (১০) নিজ মাওনা গ্রামের বুলবুলের ছেলে। সে ছোটকাল থেকেই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারে না।

ভুক্তভোগীর মা নাছিমা আক্তার জানান, গত সোমবার দুপুরে বাড়ির নির্মাণকাজ করছিলেন শিক্ষক মাইন উদ্দিন। এ সময় শিক্ষকের প্রতিবেশী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেন, তার নির্মাণকাজ দেখতে যান। একপর্যায়ে শিক্ষকের বাড়ির পাশে রাখা বালির উপরে ওঠে শিশু মিলন খেলতে শুরু করে। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে শিশুটিকে মোড়ের রফিজ উদ্দিনের চায়ের দোকানের সামনে নিয়ে জ্বলন্ত লাকড়ি দিয়ে তার হাত ঝলসে দেন। শিশুটির কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠলে স্থানীয়রা এসে লবণ ও পানি ক্ষতস্থানে লাগিয়ে শিশুটিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।

ঘটনার সময় পাশের ওই দোকানে বসে চা পান করছিলেন জুলহাস উদ্দিন ও আব্দুল করিম। তারা জানান, শিক্ষক এই শিশুটিকে নিয়ে দোকানের সামনে চুলার কাছে আসেন। তারা কিছু বুঝে ওঠার আগেই জ্বলন্ত চুলা থেকে আগুনযুক্ত লাকড়ি দিয়ে শিশুটির ডান হাতে ছ্যাঁকা দিয়ে দেন শিক্ষক মাইন উদ্দিন। একজন শিক্ষকের এমন অমানবিক কাজে আমরা তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ করলে শিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত চলে যান।

অভিযুক্ত শিক্ষক মাইন উদ্দিন মাস্টারের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। 

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কামরুল হাসান বলেন, তিনি বিষয়টি জানতেন না। তবে এ খবর শোনামাত্রই সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন্নাহারকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করে জানাবেন।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন্নাহার জানান, ওই শিশুর বাড়িতে গিয়ে তার মা, বাবা, প্রতিবেশী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। প্রধান শিক্ষক মাইন উদ্দিনকে তার বক্তব্য লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষকদের দায়িত্বই হচ্ছে কোমলমতি শিশুদের আদর ভালোবাসার মাধ্যমে শিক্ষা দেয়া। তবে একজন শিক্ষক যদি শিশুকে হাতে আগুনের ছেঁকা দিয়ে থাকেন তাহলে তা নিন্দনীয় ঘটনা। এ ঘটনার সাথে যদি তার কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, তিনি এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।

এমএসএম / জামান

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত

শেরপুরে বন্যহাতির তান্ডবে আমন খেত নষ্ট: দিশেহারা কৃষকেরা

মাদকমুক্ত সমাজ গড়ি" শীর্ষক প্রতিবাদকে সামনে রেখে স্থানীয় গ্রামবাসী ও যুবসমাজের উদ্যোগে আলোচনা

বাউফলে স্প্রেইড হিউম্যানিটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন,স্বৈরাচারের বিচার দৃশ্যমানকরে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবেঃ এটি এম মাসুম

তানোরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম

সীতাকুণ্ডে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল সাইকেল আরোহীর

ঝামায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুকসুদপুর প্রেসক্লাব ৩ সদস্যকে ত্রুেস্ট ও পরিচয়পত্র প্রদান

নাগরপুরে পাকুটিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতাকর্মীদের লিফলেট বিতরণ

পাটগ্রামে পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু