ছাত্রলীগ নেত্রীকে গরু চুরির মামলায় ফাসানোর অভিযোগ

ছাত্রলীগ নেত্রীর আলোচিত-সমালোচিত গরু চুরি ইস্যুতে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। পক্ষে-বিপক্ষে হয়েছে নানা তর্ক-বিতর্ক।
এই অবস্থায় জামিনে মুক্তি পেয়ে ঘটনার সাথে যুক্ত না থেকেও মামলার আসামী হওয়ার কথা জানিয়ে ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলী আক্তার রবিবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে আবেগঘন পোস্ট দিয়েছেন। গরু চুরি ও বিক্রি ইস্যু নিয়ে নিজের ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়ে বাবলী আক্তার যেন ন্যায় বিচার পান সেই দাবী জানিয়েছেন। তাকে এই মামলায় প্রতিপক্ষের ইন্ধনে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি করেন। সেই সাথে তার সুন্দর জীবনের প্রার্থনা করলেন বাবলী আক্তার।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে বাবলী আক্তার যা লিখেছেন তা পাঠকদের কাছে হুবহু তুলে ধরা হলো, হতভাগ্য এতিম আমি, কথিত অভিযোগে অভিযুক্ত।"দুঃখের রাজ্যে আমি এক হতভাগ্য এতিম। মা ছাড়া এই পৃথিবীতে আসলেই আপন কেও হয়না। তবুও পৃথিবীর কিছু মানুষ এখনও আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত। এটা নিয়েই সান্ত্বনা পেতে হয় আমাকে।এদিকে এই মানুষের রাজ্যেই আমাকে হতে হয়েছে কথিত গরু চুরির মামলার আসামি। এত মিথ্যাচারের যাঁতাকলে আমাকে পড়তে হবে কোনদিন কল্পনাও করিনি।"
"সম্প্রতি লক্ষ্য করেছেন আমাকে ধামরাই মডেল থানার একটি গরু চুরির মামলায় ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতার করা হয়। এর আগে কোনদিন এমন অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। আর হবেই বা কেনো.? জানা সত্ত্বে কোন অপরাধের সাথে তো আমি যুক্ত নই। তবে রাজনৈতিক কারণে আমার কিছু প্রতিপক্ষ তৈরি হয়েছিল।"
"আপনারা সকলেই নিশ্চই দেখেছেন আমাকে গ্রেফতারের পর জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের কাছে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে জাতির কাছে আমাকে বানানো হয়েছে অপরাধী। হয়তো আপনি নিজেও ভাবছেন আমি কিভাবে এ ঘটনায় জড়িয়েছি। আসলে আমি এই মিথ্যার রাজ্যে অসহায় হয়েছি।"
"ঘটনার সাথে যুক্ত না থেকেও পুলিশের খাতায় আমি একজন আসামি। সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার জন্মভূমি রাষ্ট্রের কাছেই শিখেছি কোন ঘটনার সাথে যদি কোন অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হয় সে কখনোই অপরাধী হতে পারে না। কিন্তু এত কিছু যাচাই বাছাই না করেই আমাকে বানানো হয়েছে গরু চোর চক্রের সদস্য ও অপরাধী।"
"আমি ঢাকা জেলার সাভার পৌরসভার নয়া বাড়ি এলাকার বাসিন্দা । আমার বাবা মো: বাদশা মিয়া। আমি সাভার সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা জেলা উত্তর শাখার ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলাম।"
"ষড়যন্ত্রের এক পর্যায়ে আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হলেও আমাকে সেই দায়িত্ব থেকেও বহিষ্কার করাতে সক্ষম হয়েছেন ষড়যন্ত্রকারীরা।"
"অন্য নারীদের তুলনায় আমাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে আমি নাকি সবার থেকেই ব্যতিক্রম। আসলে আমি নিজেও এটা স্বীকার করি আমি অনেক ব্যতিক্রম। আল্লাহ আমার জীবনে অনেক পরীক্ষা নিয়েছেন। তার মধ্যে এই পৃথিবীর সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত শব্দটি হচ্ছে মা। আর তাকেই আমাকে হারাতে হয়েছে অকালে। এভাবেই আমি ব্যতিক্রম। অন্য সবাই যেমন মায়ের আদর ভালোবাসা পেয়ে বড় হচ্ছে সে দিক থেকে আমি অনেকটাই বঞ্চিত।"
"প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা একমাত্র আপনারাই আমার ভরসাস্থল। বিশ্বাস করুন এই ঘটনার সাথে আমার বিন্দু পরিমাণ সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাকে ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে। তবে আমি কি এমন কার ক্ষতি করেছি যে আমার মত এমন এতিমের বিরুদ্ধে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। অনুসন্ধান করুন প্লিজ।"
"এত নিখুত মিথ্যা সহ্য না করতে না পেরে একপর্যায়ে আত্মহত্যার মতো সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছিলাম। কিন্তু বিবেক দিয়ে ভেবে নিজেকে সামলে নিয়েছি। আমার জায়গায় একবার এসে ভাবুন। দেখুন কত বড় অন্যায় হয়েছে আমার উপর।"
"ধামরাই থানায় আব্দুল লতিফ নামের এক ব্যক্তি তার গরু হারিয়েছে মর্মে মামলা করেন। মামলা নং-৪৩ । অভিযোগ পত্রের কোন জায়গায় তিনি আমার নামটি দেননি। তবুও অনুমান নির্ভর হয়ে এবং শত্রুপক্ষের প্ররোচনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে এই মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ।"
"অভিযোগ সূত্রে জেনেছি গরু হারিয়েছে ২৯ আগস্ট রাত ৩ টা ৩০ মিনিটে। মামলা হয়েছে অক্টোবর মাসের ৩০ তারিখ। সেদিনই ২৯ তারিখই হাবুল সরদার নামের এক ব্যাক্তি হাতে নাতে গ্রেফতার হয়। অথচ তার সাথে কখনোই আমার পরিচয় ছিল না। কোনদিন দেখাও হয়নি।"
"আমাকে বাসা থেকে ১ নভেম্বর রাত ১০ টায় ডেকে নিলেন ধামরাই থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম। ৩ দিন থানায় আটকে রেখে গ্রেফতার করে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি মূলক ভিডিও ধারণ করা হলো। আমি কোনমতেই যখন রাজি হচ্ছিলাম না, যে পরিমাণ ভয়-ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে আমার উপর তা ইতিপূর্বে কখনো আমার এমন ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নেই। শেষ পর্যন্ত আমাকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলা হলেও সংবাদ প্রকাশ হয়েছে এমন অভিযোগ এনে আর ছাড়া যাবে না এবং ছেড়েও দেওয়া হয়নি। আদালতেও তোলা হয়নি আমাকে সরাসরি জেলে পাঠিয়েছেন মহান ঐ পুলিশ কর্মকর্তা।"
"পুলিশ নাকি সন্ধান করে পেয়েছে আমি তাদের গরু গুলো বিক্রি করেছি। হয়তো ওই পুলিশ অফিসার জিতে গেছে। আমি যদি অন্যায় করতাম আমার মধ্যে ভয় কাজ করত। আমি বরং ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করার সর্বাত্মক অঙ্গীকার করেছিলাম। আমার কাছে ৩ লক্ষ্য টাকা দাবি করে বসেন ধামরাই থানার এসআই আশরাফুল ইসলাম। হয়তো ওই টাকা না দিতে পারায় আমাকে হতে হয়েছে কথিত চুরির মামলার আসামি এবং অপরাধী।"
এই বিষয়ে ধামরাই থানার এস আই আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করলে দৈনিক সকালের সময়কে বলেন টাকা চাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা।
আমাকে বিশ্বাস করে এই মিথ্যা অভিযোগ থেকে মুক্তি দিন প্লিজ। পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ, জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা এবং আমার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা কর্মীরা ও আমার অত্যাচারী স্বর্গীয় রাজ্যের বিবেকবান মানুষ অনুগ্রহপূর্বক আমার পাশে এসে দাঁড়ান। আমি অসহায় হয়ে পড়েছি। আমার শক্তি ও সামর্থ্যের বাহিরে অনেক শক্তিশালী এক পাহাড়ের সাথে আমাকে লড়তে হচ্ছে।"
উল্লেখ্য, ঢাকার ধামরাইয়ের কুল্লা ইউনিয়নের মো: আব্দুল লতিফ নামে এক কৃষকের দুইটি গরু চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে
এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied