হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও
পাইকগাছা মধুমিতা পার্কের জমি থেকে উচ্ছেদে হয়নি ৩০টি দোকান

খুলনার পাইকগাছায় হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পৌরসভার প্রানকেন্দ্রে অবস্হিত মধুমিতা পার্কের জায়গায় অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে উচ্ছেদ হয়নি ৩০টি দোকান ঘর। এছাড়াও পার্কের মধ্যে একটি মিঠাপুকুর থাকায় পাশ্ববর্তী এলাকার জনসাধারণের পানি পানসহ বাসাবাড়ি,হোটেল ও রেস্তরায় ঐ পুকুরের পানি পান করে ও ব্যবহার করে। সেই সাথে বিশ্রামের জন্য গেট সীমানা প্রাচীর সহ চারিপাশে বসার জন্য বেঞ্চ তৈরি করা হয়। পরিবেশবান্ধব করতে লাগানো হয় ফুল বাগান। পৌরবাসির বিনোদনের একমাত্র স্হান এই মধুমিতা পার্ক। কিন্তু ভূমিখেকো,রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও ব্যবসায়ীদের দখল করে পার্কের উত্তর ও পূর্ব পাশে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে ৩০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যবসা বা কেউ কেউ অগ্রিম ও মাসিক টাকা নিয়ে দিয়েছেন ভাড়া। ফলে ধ্বংশ হয়েছে মধুমিতা পার্কের সীমানা প্রাচীর,বসার জায়গা ও চারিধারের রাস্তা। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পিছনে যত্রতত্র প্রস্বাব,পায়খানা সহ রাতের আধারে চলে অনৈতিক কর্মকান্ড। সঙ্গে সঙ্গে নষ্ট হয় পৌরবাসির ব্যবহার যোগ্য মিষ্টি পানি। তারা পার্কের বাতিখালি মৌজার ৪,১৪ ও ৯১ খতিয়ানের ১৭১,১৭২ দাগ ভুক্ত ১.৪৫ একর জমি উদ্ধার এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করার জন্য আদালতে মামলা করেন। ২০০৫সালের মামলার চলমান প্রক্রিয়ায় নালিশি মধুমিতা পার্কের জমির উপর ষ্টে দেন আদালত। পরবর্তীতে অবৈধ দখলদাররা মহামন্য সুপ্রিম কোর্টের আপিল ডিভিশন ৫১০/৯ নম্বর লিভ টু আপিল মামলায় গত ১৫ফেব্রুয়ারি ২০১৫ অবৈধ দখলদারদের আবেদন না মঞ্জুর করেন। তবে এরপর ও অবৈধ দখলদাররা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় আজও দখলে আছে। অবৈধ দখলদাররা উচ্ছেদ হয়নি। দীর্ঘদিন পর গত ইং ১০নভেম্বর তারিখে অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য মানববন্ধন করেন মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটি। এরপর অবৈধ দখলদাররা মহামান্য হাইকের্টের আদেশ অমান্য করায় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটির পক্ষে কন্টেম অফ কোর্ট পিটিশন ১০২/২২ দাখিল করেন। তখন আদালতের আদেশ কেন দীর্ঘদিনেও মধুমিতা পার্কের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করা হয়নি মর্মে খুলনা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট মহামান্য হাইকোর্ট জানতে চান। এরপরও মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। উচ্ছেদের নামে চলতি মাসের ১০ তারিখে কিছু ইট,বালু ও খোয়া তুলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সলিসিটর উইং সহ সহকারি এটর্নি জেনারেলকে অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান মর্মে জানানো হয়। বাস্তবে কোন উচ্ছেদ কার্যক্রম করা হয়নি। মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের আদেশ বাস্তবায়নে টালবাহনা সচেতন মানুষকে হতবাক করেছে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বিশিষ্ট আইনজীবি এড.এফ,এম,এ রাজ্জাক স্হানীয় প্রশাসনকে যথা শীঘ্রই মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক মধুমিতা পার্কের অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য ১৯৮০ সালে তৎকালিন খুলনার জেলা প্রশাসক নূরুল ইসলাম উদ্বোধন করে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন।সচেতন মহলের দাবি মধুমিতা পার্ক সংরক্ষন কমিটি গঠন করে উন্মুক্ত করা হোক জনসাধারণের জন্য।
এমএসএম / এমএসএম

কুতুবদিয়ায় শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

বোয়ালমারীতে প্রধান শিক্ষকদের যাতায়াত ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নাঙ্গলকোটে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্ততি সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁয় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় মাসব্যাপী মশক নিধন ও পরিষ্কার -পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি

টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইনসিওরেন্সের গ্রাহক পরিবারকে মৃত্যুদাবী প্রদান ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত

সিরাতুল মুস্তাকিম সংস্থা দুবাই'র আরব আমিরাত কমিটি গঠন

হাটহাজারীতে মাদক বিরোধী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল

বোদায় যৌথবাহিনীর অভিযানে জাল টাকা সহ ১ জুয়ারী আটক

ধামরাইয়ে চুরি হওয়া দুই মোটর সাইকেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার-৪

পটুয়াখালী জেলা বিএনপি’র কঠোর নির্দেশনা; সালিশ-দাঙ্গায় সম্পৃক্ত না থাকার আহ্বান

খেলার মাঠ দখলমুক্ত ও সংস্কারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
