ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ফুলছড়িতে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ২৭-১২-২০২২ দুপুর ৪:৫৭

ভোর থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও মৃদু শৈত্য প্রবাহে গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তীব্র শীতে সবথেকে বেশি দুর্ভোগে পরেছে শিশু, বয়স্ক ও কর্মজীবী মানুষ। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় কাজে যোগ দিতে পারছে না। চরাঞ্চলে বসবাসকারী লোকজন খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সারাদিন সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। এদিকে শীত বাড়লেও শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র বরাদ্দ মেলেনি।

ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চলে পৌষের শুরু থেকে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার ভোররাত থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর কনকনে ঠান্ডা বাতাসে জবুথবু অবস্থা সবার। বিশেষ করে উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী, ফুলছড়ি ও ফজলুপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলে বেলা গড়ালেও ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে পথঘাট। তীব্র শীতে শ্রমজীবী আর অতিদরিদ্র মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। হাঁড় কাঁপানো শীত আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে শ্রমজীবীরা কাজের সন্ধানে বের হয়েছেন।

অটোবাইক চালক মনু মিয়া বলেন, ‘কুয়াশা ও শীতের তীব্রতার কারণে সকালে গাড়ি নিয়ে বের হতে কষ্ট হয়। হাতে পা ঠান্ডায় জমে যায়। পেটের দায়ে ভোরে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডার কারণে যাত্রী তেমন পাওয়া যায় না। আয় অর্ধেকে নেমে এসেছে। ভাড়া না থাকায় আমরা চরম কষ্টে দিনযাপন করছি।’ প্রায় একই কথা বলছেন ভ্যানচালক সাজু মিয়া, আবু হানিফ ও অটোচালক বাবলু মিয়া সহ অনেকেই।

উড়িয়া ইউনিয়নের রতনুপুর গ্রামের দিনমজুর এখলাছ মোল্লা বলেন, ‘টাউন-বন্দরত গেলে ঠান্ডা মনে হয় না। হামার এই এলাকার বালুচরের মধ্যে খুবই বাতাস আর ঠান্ডা। এই দুপুরে বেলা চাদ্দর, সুইটার গাওত দিয়া থাকা নাগে। এবার অনেক শীত। তিনি বলেন, শীতের জন্যে সকালে বের হওয়া যায় না, আবার বিক্যাল হলেই ঘরত ঢুকা নাগে।’ উড়িয়া ইউনিয়নের কাবিলপুর চরের স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস ছালাম খাঁ বলেন,‘চরাঞ্চলে যেভাবে শীত পড়েছে তাতে গরম কাপড়ের খুবই দরকার। প্রয়োজনের তুলনায় সরকারি বরাদ্দ অনেক কম। সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়ানোর অনুরোধ করছি।’

ফুলছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহীদুজ্জামান শামীম বলেন, ‘সরকারিভাবে এপর্যন্ত ৩ হাজার ৪৩০টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যেগুলো ৭টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গরীব ও অসহায় মানুষের মাঝে বিতরণ
করা হচ্ছে। তিনি বলেন, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে আরও কম্বল বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।’

 

প্রীতি / প্রীতি

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন

লন্ডনে তারেক রহমানের সাথে বিএনপি নেতাদের সাক্ষাৎ