আমি প্রবাসে, পরানটা রয়ে গেছে দেশেই : মনজুর কাদের
মনজুর কাদের মুলত শিশু সাহিত্যিক ও ছড়াকার। গদ্য রচনা করে ও কলাম লিখেও পরিচিতি পেয়েছেন। ছিলেন পদার্থ বিজ্ঞানের ছাত্র। বিজ্ঞান মনস্ক ও সংস্কার মুক্ত মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
২০০৭ সালে সরকারি চাকরি নিয়ে নিউ ইয়র্কে যান এবং ২০১১ সালে বদলী হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন। বর্তমানে মার্কিন সরকারের একজন সিভিল সারভেন্ট। থাকেন নিউ ইয়র্কে। আমেরিকার শিল্প সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক জগতে তিনি পরিচিত। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর দুটি ছড়ার বই- 'গোলাপ বাগান আগলে রাখি' ও 'খুকু হলো পরি'।
প্রবাসে জন্ম নেয়া ও বেড়ে ওঠা শিশু কিশোরদের বাংলা ভাষা ও শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় নিয়োজিত রাখতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী শিশু সংগঠন " আমরা শিশুদের সঙ্গী- আ.শি.স " এর আহ্বায়ক। তিনি বাংলাদেশ বেতার, ঢাকার অনুষ্ঠান উপস্হাপক ও প্রথম শ্রেণীর সংবাদ পাঠক। সকালের সময়ের কাছে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর জীবনের ছোটগল্প। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- ফয়েজ রেজা
সকালের সময়ঃ প্রবাসে বাংলা ছড়া লিখে কেমন আনন্দ অনুভব করেন?
মনজুর কাদেরঃ ছড়া লেখার আসল মজাই কিন্তু প্রবাসে। এখানে জন্ম নেয়া শিশুরা কিন্তু ইংরেজির মহাসমুদ্রে ডুবে থাকে। এদের মুখে বাংলা তুলে দেয়া কঠিন। সেজন্য আমরা আনন্দদায়ক শিক্ষামুলক ও স্বদেশপ্রেমী ছোট ছড়া ওদের মুখে তুলে দেই। আমরা এখানে নিয়মিত সম্মিলিতভাবে মঞ্চে শিশুদের ছড়া প্রতিযোগিতা, বৃন্দ আবৃত্তি এসব আয়োজন করি যাতে ওরা বাংলা ভাষার সাথে থাকে। এই আমাদের অপার আনন্দ।
সকালের সময়ঃ দেশের প্রতি টান কেমন অনুভব করেন?
মনজুর কাদেরঃ দেশেই তো দেশের মানুষের রয়ে গেছেন, যাঁদের সাথে শৈশব কৈশোর তারুন্য কেটেছে। সেই পথ সেই ঘাট সেই ঘাস সেই পাখি - সবই তো সেখানে রয়ে গেছে। তাই পরানটাও সেখানেই থেকে গেছে।
'শ্বাস নিতে বোলো আর কার কাছে যাবো
জননী জন্মভুমি মা'র কাছে যাবো।'
সকালের সময়ঃ আমেরিকার নতুন প্রজন্ম আপনার ছড়া পড়ে কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়?
মনজুর কাদেরঃ এখানে বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা প্রতিযোগিতা হয়। সেখানে চেনে অচেনা শিশুরা আমার ছড়া আবৃত্তি করে প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।
কখনোবা বিভন্ন রাজ্যে আমিও বিচারক হয়ে যাই, তখন দেখি কেউ কেউ আমার ছড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় হাজির হয়।
তাছাড়া এখানকার সব শিশুদের আমি মামা। শুধু ওদের জন্য ছড়া লিখি বলেই আমার এই অর্জন। এর চেয়ে আর আনন্দের কী হতে পারে।
সকালের সময়ঃ কতদিন ধরে আছেন আমেরিকায় আর কি কাজ করছেন?
মনজুর কাদেরঃ আমি ২০০৭ সালে একটা সরকারি পোস্টিং নিয়ে নিউ ইয়র্কে আসি। এরপর বদলি হয়ে ঢাকায় যাই। পরে পরিবার সহ ছেলের পড়াশোনার জন্য চলে আসি। এখনো আছি। বর্তমানে। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনেই মার্কিন সরকারের সিভিল সার্ভেন্ট। আমার স্ত্রী সুলতানা পারভীন লাভ্লীও বাংলাদেশ বেতার ঢাকার অনুষ্ঠান ঘোষক ও উপস্থাপক ছিলেন।
সকালের সময়ঃ আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মনজুর কাদেরঃ আপনাকে ও সকালের সময় এর পাঠকদের অনেক ধন্যবাদ। বিশেষ করে আমার মতো প্রবাসে যারা আছেন, তাঁদের জন্য ভালবাসা৷
এমএসএম / এমএসএম
জেদ্দায় উদ্বোধন হলো ৩য় সৌদি ফ্যাশন এন্ড টেক্স এক্সপো
কাতার মাইজারে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত
কাতারে লক্ষ্মীপুর জেলা সমিতি উদ্যোগে বিনামূল্যের স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করা হয়েছে
সৌদিআরবের ফ্যাশন এক্সপোতে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে বাড়ছে ব্যানিজ্য সম্পর্কের সম্ভাবনা
জেদ্দায় নবনিযুক্ত কনসাল জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন এর সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়
প্রথমবারের মতো সৌদিতে একক "মেইড ইন বাংলাদেশ " এক্সপো মেলা ডিসেম্বরে
বাংলাদেশি প্রকৌশলীদের মর্যাদা ও স্বীকৃতি সংক্রান্ত স্মারকলিপি প্রদান
মরহুম হারিছ চৌধুরীর ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কাতারে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল
কাতার যুবদলের সাথে কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার মতবিনিময়
কাতারে ইসলামী আন্দোলনের আয়োজনে কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও নবীন সদস্য সম্মেলন
পূর্বের কমিটি নিয়ে অসন্তোষ, শরিয়তপুর সমিতির নতুন কমিটি গঠনের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা
আমিরাতে লটারিতে ৬৬ কোটি জিতলেন এক বাংলাদেশি, আরেকজন পেলেন রেঞ্জ রোভার
কাতারে লক্ষীপুর জেলা ঐক্য পরিষদ গঠনকল্পে এক সভা অনুষ্ঠিত
Link Copied