কুমিল্লা থেকে ছদ্মবেশি সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে আটক করেছে খুলশী থানা

নাম পরিচয় গোপন করে ভিন্ন ধর্মের পরিচয় দিয়ে ছদ্মবেশি এক জাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীকে কুমিল্লা তেকে গ্রেফতার করেছে সিএমপির খুলশী থানা পুলিশ। গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ছাতিপট্টি এলাকার একটি সোনার দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের খুলশী থানা-পুলিশ। তার আসল নাম সুপন চন্দ্র দেবনাথ (২৫)। তাঁর বাবার নাম রাধা কৃষ্ণ দেবনাথ। বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার হেসাখাল গ্রামে। তবে সে কখনো নিজের পরিচয় দিয়েছেন সবুজ নামে, কখনোবা নারায়ণ। এমনকি ধর্ষণচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারের পরও পুলিশকে নিজের আসল পরিচয় জানাননি।
কুলশী থানা সুত্রে জানা যায়, সাজা পরোয়ানাভূক্ত আসামীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে খুলশী থানা পুলিশ বর্তমান ঠিকানা এলাকায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করিয়া ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে আসামীর প্রদত্ত স্থায়ী ঠিকানা ফেনী দাগনভূঞা থানায় যোগাযোগ করলে জানা যায় যে উক্ত আসামীর নাম-ঠিকানা সঠিক নাই। তখন খুলশী থানার এসআই আনোয়ার হোসেন, এএসআই জাকির হোসেন, রিগান চাকমা, কামাল হোসেনদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ গ্রেফতারি অভিযান টিম গোপন তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর সম্ভাব্য নাম-ঠিকানা ও এনআইডি সংগ্রহ করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীর সম্ভাব্য অবস্থান সনাক্ত করিতে সক্ষম হন। পরবর্তীতে কুমিল্লা কোতোয়ালী থানা পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকালীন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মো. সবুজ নামে সূত্রোক্ত মামলায় তিনি অনুমান ছয় মাস জেল খানায় ছিলেন এবং মহামান্য হাইকোর্ট হইতে জামিন প্রাপ্ত হন। আসামী তাহার কর্মস্থলে প্রকৃত নাম সুপন চন্দ্র দেবনাথ গোপন করে নারায়ণ পরিচয় দিয়া চাকুরি নেয়। স্বর্ণের দোকানের মালিক জনৈক সাধন বাবু তাকে নারায়ণ নামে চিনেন। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে তার প্রকৃত নাম-ঠিকানা সম্বলিত এনআইডি কার্ডের ছায়াকপি উপস্থাপন করেন।
গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, সাজা পরোয়ানা পাওয়ার পর লালখান বাজার ও ফেনীর ঠিকানায় যোগাযোগ করলে, তা সঠিক নয় বলে জানা যায়। পরে লালখান বাজারে তিনি যেখানে ছিলেন, সেখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, সবুজের বাড়ি কুমিল্লায়। একপর্যায়ে তাঁর একটি জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করি। সেটির সূত্র ধরে কুমিল্লা থেকে বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কুমিল্লায় যে স্বর্ণের দোকানে সুপন কাজ করছিলেন, সেখানে নিজেকে নারায়ণ নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য নিজের নাম-ঠিকানা গোপন রেখেছিলেন। আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উল্লেখ্য বিগত ২০২০ সালের ২৯ জুন জহুরা বেগম (৩৪), বাদী হয়ে বিবাদী মো. সবুজ (২২), পিতা-মৃত মো. আক্কাস, মাতা-শেফালী বেগম, স্থায়ী ঠিকানা-দাগনভূঞা বাজারের পশ্চিম পাশে, মুন্সি বাড়ী, থানা- দাগনভূঞা, জেলা-ফেনী, বর্তমান ঠিকানা-লালখান বাজার, টাংকির পাহাড়, সোহেল এর ভাড়াঘর, থানা-খুলশী, জেলা-চট্টগ্রাম কর্তৃক তাহার মেয়ে ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস (১৪) ধর্ষণের শিকার হয়েছে মর্মে এজাহার দায়ের করিলে খুলশী থানার মামলা নং-২৮, রুজু হয়। পরে এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী মামলাটির তদন্ত করে আসামী মো. সবুজকে গ্রেফতার পূর্বক প্রতিবেদন সহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন। পরবর্তীতে আসামী হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসে আত্মগোপনে চলে যান। মামলার বিচারকার্য সম্পূর্ণ হওয়ার পর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৬ এর বিচারক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত ঘোষণা করে গত বছরের ১৬ অক্টোবর সাজা পরোয়ানা খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবরে প্রেরণ করেন।
এমএসএম / এমএসএম

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু
