পাইকগাছায় নারী হত্যার ঘটনায় আদালতে শহীদুলের স্বীকারোক্তি
খুলনার পাইকগাছায় তাজমীরা হত্যা মামলার পূরো মোটিভ সহ হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত চাঁদখালী ইউপি'র ধামরাইল গ্রামের শহীদুল ( মাষ্টার) সুন্দরবনে পালানোর চেষ্টাকালে শনিবার বিকেলে কুমখালী থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৩ ব্যক্তির গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে ওসি মোঃ জিয়াউর রহমান বলেন, শহীদুল (মাষ্টার) হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা বলে শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩০ জানুয়ারি রাতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে চাঁদখালীর ধামরাইলের ওবায়দুল্লাহ মীরের স্ত্রী ৩ কন্যা সন্তানের মা তাজমীরা (৩৮) কে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে চায়ের দোকানে ফেলে হত্যা করে বাড়ীর ৫০ গজ দুরে বোরো ধান ক্ষেতে লাশ ফেলে দুর্বত্তরা রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ ও আদালতে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে শহীদুল ( মাষ্টার) এ হত্যাকান্ড সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। ২০১৮ সালে নিহতের স্বামী ওবায়দুল্লাহ মীরের সাথে তার বড় ভাই মৃতঃ সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মীরের ছেলে খুলনার বাসিন্দা ইমন ও মেয়ে মৌসুমীর মধ্যে ৭ শতক জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। এক পর্যায়ে ইমন-মৌসুমী বাড়ীর চচা কামরুল মীরের কাছে এ জমি বিক্রয় করলে ত্রিমুখি বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বহুবার সালিশী সভায় মিমাংশা না হলে সর্বশেষ ওবায়দুল্লাহ ও কামরুল মীর পাইকগাছার নির্বাহী কোর্টে পাল্টা-পাল্টি ১৪৪ ধারার মামলা করলে পুলিশ দু'পক্ষকে নোটিশ করে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়। এদিকে জমির বিরোধকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে ফাঁয়দা নিতে কামরুল মীর ও ইমন-মৌসুমীকে শায়েস্তা করতে ওবায়দুল্লাহ'র সেঝভাই চা দোকানদার জেলহাজতে আটক শহীদুল্লাহ মীর ও শহীদুল (মাষ্টার) সহ ২/৪ জন খুঁনের পরিকল্পনা করে। টার্গেট করে আপন ভাই ওবায়দুল্লাহ'র স্ত্রী তাজমিরাকে। পরিকল্পনা মতে ৩০ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জমি বুঝে দেবার কথা বলে সেঝ ভাসুর শহীদুল্লাহ মীরের চায়ের দোকানে তাজমিরাকে ডাকা হয়। ঐদিন রাতের খাবার খেয়ে স্বামী ওবায়দুল্লাহ এক রুমে ও মেয়ে তামান্নাকে নিয়ে অন্যরুমে তাজমিরা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২ দিকে তাজমিরাকে শহীদুল্লাহ মীরের চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে শহীদুল্লাহ ও শহীদুল ( মাষ্টার) ৪/৫ জন তাজমিরার গলায় গামছা পেচিয়ে টান দেয়। এক পর্যায়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে ৩/৪ জন লাশ ঘাড়ে করে ওয়াপদার ভিতরে বোরো ধান ক্ষেত ফেলে রেখে নিহতের গলায় ছুরির টান মেরে পালিয়ে যায়। পরের দিন ৩১ জানুয়ারি পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খুমেক হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মৌখালীর আলমগীর গাজী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন,যার নং-৩২।
এমএসএম / এমএসএম
কোন লুটেরা, চাঁদাবাজ ও বল প্রয়োগকারীকে ভোট দেবেন না; গণসংযোগে রাশেদ খান
খানসামা টিটিসিতে ধর্মীয় বৈষম্য–নির্যাতনের অভিযোগ: জেলা প্রশাসকের দৃষ্টিতে তদন্ত আবেদন
কেরুজ ভোটের দাবীতে আন্দোলনের শুরুর দিনেই দুপক্ষের মারামারি
নওগাঁয় মনোনয়ন প্রত্যাশী ধলু’র উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিল
কালিগঞ্জ থেকে ভেটখালী পর্যন্ত রাস্তা ৩৪ ফুট প্রশস্ত করার দাবিতে মানববন্ধন
নৈয়াইর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় নিয়োগ অনিয়মের অভিযোগ প্রত্যাহার
রামগঞ্জে যুবদল কর্মীর ছুরিকাঘাতে বিএনপি কর্মী খুন
ঠাকুরগাঁওয়ের ফকিরপাড়া থেকে মটরসাইকেল চুরি : মামলা
কলাবাড়িয়া ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগে সরব জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার
কর্ণফুলী'তে হত্যা'সহ একাধিক মামলার এজাহার ভূক্ত আসামি সাজু হাসান গ্রেপ্তার
শীতের আগমনে লেপ তোষকের ব্যস্ততা; পলাশবাড়ীতে জমে উঠেছে ধুনকরদের শীতের বাজার
কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান