অভিযানেও থামছে না পাহাড় কাটার মহোৎসব!
পৃথিবীর লৌহ দণ্ড বলা হয় পাহাড়কে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় যার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। এর ওপর ভর করেই প্রকৃতি তার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। অথচ এক শ্রেণির ভূমিদস্যুরা নিজেদের স্বার্থ হাসিলে সেই পাহাড়গুলোকে সাবাড় করছে। চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় ছোট-বড় অর্ধশতাধিক পাহাড় রয়েছে। তবে সেসব পাহাড়গুলোতে পড়েছে ভূমি খোকোদের থাবা। নিজস্ব ফায়দা লুটতে পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রি, আবাস্থল গড়ে তোলাসহ নানা স্বার্থে এসব পাহাড়গুলোকে নির্বিচারে বিলীন করে দিচ্ছে।
সকাল থেকে রাত সমান তালে চলে পাহাড় কাটার কাজ। তবে বেশিরভাগ সময়ে নিঝুম রাতে চলে বনাঞ্চলের আবৃতে ঘেরা পাহাড় কাটার ধুম। বিগত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের কিছু পাহাড় ও টিলা কেটে সমতল করা হয়েছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না। প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আধাঁরে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে।
সরেজমিন উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, উঁচু পাহাড়ের মাটি কেটে করা হয়েছে সমতল। পাশেই অবস্থিত হারানোর পাহাড়ের ক্ষত চিহ্ন। কোথাও কোথাও পাহাড়ের বুক চিরে করা হয়েছে রাস্তা। যেন পাহাড় কাটার উৎসবে নেমেছে তারা। সে সঙ্গে পাহাড়ের চূড়ায় থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করে ফেলছে। প্রকৃতির বুকে মানুষের এমন থাবায় জীববৈচিত্র্য এখন হুমকির মুখে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাহাড়ের মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্কেভেটর। যার মাধ্যমে দ্রুততার সঙ্গে পাহাড়ের মাটিগুলোকে কেটে সেগুলোকে ডাম্পার ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। আবার অনেকেই গর্ত বা জমি ভরাট করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, বিনা বাঁধায় মাইলের পর মাইল পাহাড় সাবাড় করা হয়েছে। যদি প্রশাসন কোনো উদ্যোগ না নেয় তাহলে আর কিছুদিন পর এখানে আর কোন পাহাড় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার প্রবীণ এক বাসিন্দা বলেন, আমাদের বাপ-দাদা আমল থেকে দেখে আসছি এ পাহাড়গুলো। শত শত বছরের এ পাহাড়ের সৌন্দর্য দেখে আমরা বড় হয়েছি। অথচ একটি ভূমিদস্যু মহল এ পাহাড়গুলো অবাধে কেটে ফেলছে।
এদিকে, খবর পেয়ে মাঝে মধ্যেই অভিযান চালায় স্থানীয় প্রশাসন। হয় জরিমানা কিংবা কারাদণ্ড, তবুও থেমে থাকেনা এই পাহাড় খেকোরা। স্থানীয় সচেতন মহল জানান, যেভাবে নির্বিচারে ও অপরিকল্পিতভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে তা জনজীবনে হুমকি স্বরূপ।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি রবিবার বিকালে পাহাড় কাটার দায়ে ফরহাদুল ইসলাম নামের একজনকে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা করে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসন। উপজেলার বাজালিয়া ইউনিয়নের মাহালিয়া এলাকায় এ অভিযান চালায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি উপজেলার এওচিয়ার ছনখোলা এলাকায় পাহাড় কাটার অপরাধে আবদুর রহিম নামের এক ইটভাটা মালিককে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ বিষয়ে সাতকানিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকী বলেন, ‘পাহাড় কাটা সম্পূর্ণ একটি বেআইনি কাজ। এটি কোনোভাবে গ্রহণ যোগ্য নয়। সার্বক্ষণিক বিষয়টি মনিটরিং করা হচ্ছে। যারা এ কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি’।
এমএসএম / এমএসএম
আদমদীঘির কাঞ্চনপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
চট্টগ্রাম ৯ আসনে শামসুল আলমকে বিএনপি’র মনোনয়নের দাবি ১৫ সংগঠনের
গোপালগঞ্জে গ্রাম আদালত উন্নয়নে ডিএমআইই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
সিরাজদিখানে প্রবাসীর স্ত্রী শিউলি আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যু
ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে সাবেক ছাত্রনেতাদের মতবিনিময়
নরসিংদীর চরাঞ্চলে খেয়াঘাটে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০
ভোলায় ৬৭৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ
মহেশপুরে আলমসাধুর ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র নিহত
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান
সংবাদ প্রকাশের পর ডালারপাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসনসহ নৌপুলিশ
হাতিয়ায় ৬ হাজার ৪০০ কেজি জাটকা জব্দ করেছে কোস্টগার্ড
আল্লাহ ও রাসূলকে নিয়ে কটুক্তি করায় চাঁদপুরের পুরাণবাজারে বিক্ষোভ মিছিল
রায়গঞ্জে সেতুর অভাবে প্রতিদিনের যাতায়াত দুর্ভোগ, অর্ধলাখ মানুষের দুর্দশা
Link Copied