তালায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়াই ইরি-বোরো চাষীরা হতাশ

সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় এবার ইরি ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে । তবে এবার অনাবৃষ্টির কারণে কিছু এলাকায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ পাম্পে চাহিদা মত পানি উঠছে না । ফলে চলতি মৌসুমে ইরি বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যাহত ঘটার আশঙ্কা করা হচ্ছে । একই সাথে ডাঙা শ্রেণীর জমিতে ধান আবাদকারী প্রান্তিক চাষীরা বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তালা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,মৎস্যঘের অধৃষ্যিত উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে এ বছর ১৯ হাজার ৫ শত ৫৫ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সরকারী প্রণোদনা হিসেবে তিন হাজার ৬ শত সাধারণ কৃষকের মধ্যে উপসী জাতের ব্রি-৬৭, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮১, ব্রি-৮৮, ব্রি-৮৯, ব্রি-৯২ ধানের বীজ, ১০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার ও তিন হাজার প্রান্তিক চাষীদের মাঝে ২ কেজি করে হাইব্রিড জাতের ধানের বীজ প্রদান করা হয়েছে । উপজেলার যুগীপুকুরিয়া গ্রামের মাছ ও ধান চাষী আব্দুর রউফ সরদার (৪৫)জানান,এ বছর সেভাবে বৃষ্টি না হয় মাছ বড় হয়নি,ঘেরে লোসকান হয়ে গেছে ।
কয়েক বিঘা জমিতে ইরি ধানের চাষাবাদ করেছি ,কিন্তু পানি লেয়ার অত্যন্ত নিচে নেমে যাওয়ায় মেশিনে ঠিকমতন পানি উঠছে না । এ বছর ধানের অবস্থা কি হবে বলা যাচ্ছে না । একই গ্রামের ক্ষুদ্র ধান চাষী ফারুক হোসেন সরদার ( ৩৮ ) জানান , এনজিওর কিস্তির ঋণের টাকা নিয়ে চার বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি । স্যার ওষুধ জন মজুরির যা দাম তাতে করে ধান যদি হয় তা বাড়ি পর্যন্ত আনতে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মত খরচ দাড়াবে । এ বছর পানির যা অবস্থা, কোন কারনে যদি ধান না হয় তাহলে ঋণ তো দিতে পারব না ,সংসার চালানো ও মুশকিল হয়ে যাবে । এমন অভিযোগ উপজেলার বহু কৃষকের বলে জানা যায় ।
তবে বেশি সমস্যায় পড়েছেন এই এলাকায় ডাঙা শ্রেণীর জমিতে ধান আবাদকারী প্রান্তিক চাষিরা । কারণ শেচ পাম্পে পানি কম উঠাই ডিজেল খরচ বেড়ে গেছে । ফলে বছরের একমাত্র ধান ফসল উৎপাদন শেষে খোরাকি ঘরে তুলতে তারা রীতি মতো হতাশা গ্রস্থ্য হয়ে পড়েছেন । তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা বেগম জানান, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ধান উৎপাদনের জন্য সরকারি প্রণোদনার আওতায় ৬ হাজার ৬শত কৃষককে উন্নত জাতের বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। তবে আবহওয়া অনুকূলে থাকলে এবং অন্য কোন রোগ বালাইয়ের প্রাদূর্ভাব দেখা না দিলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে।
একই সাথে কৃষকদের পরামর্শ প্রদানের জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিটি ইউনিয়নে মাঠ পর্যায়ে গিয়ে দেখা শোনা সহ কৃষকদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার বিষয়ে বলা হয়েছে । কিন্তু উপজেলায় কতগুলো সেচ পাম্পে পানি উঠছে না সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি । তবে এই উপজেলায় বছরের একমাত্র ব্যয়বহুল ধান ফসল সুস্থ ভাবে কৃষকরা ঘরে তুলতে না পারলে ঋণ গ্রস্থ্য দরিদ্র চাষিরা এ পেশা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া সহ সাংসারিক জীবনে দারুন অভাব কষ্ট দেখা দেবে । এমন অভিযোগ উপজেলার বহু কৃষকের । সর্বোপরি,উর্ধ্বমুখী চালের বাজারে এখানকার মানুষের পাঁচটি মৌলিক চাহিদার মধ্যে প্রধান খাদ্য চাহিদা নিশ্চিত করতে হলে । সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তা দ্বয়কে ধান চাষের উপর আরো বেশি নজরদারি বাড়াতে হবে বলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের ধারণা।
এমএসএম / এমএসএম

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন
