দেশে প্রথম ইলিশ ও টুনা মাছের কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করল শেকৃবি

বাংলাদেশে প্রথম বারের মত ইলিশ ও টুনা মাছের ক্যানিং বা কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর গবেষকবৃন্দ। শেকৃবিতে উদ্ভাবিত এই প্রযুক্তিতে কৌটাজাতকৃত ইলিশের বিশেষত্ব হচ্ছে এই ইলিশের কাটা নরম হয়ে মাংসের সাথে এমনভাবে মিশে যায় যে, এতে কাটা বেছে খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উপরন্তু নরম কাটা দেহে ক্যালসিয়ামের উৎস হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
বৃহস্পতিবার(২মার্চ২০২৩) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ, একোয়াকাচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের কনফারেন্স রুমে এই প্রযুক্তিতে তৈরি ইলিশ ও টুনা মাছের ক্যানের মুখ উন্মোচনের মাধ্যমে প্রযুক্তিটি উদ্বোধন করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শহীদুর রশিদ ভুঁইয়া।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডীন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ।এই গবেষণার নেতৃত্ব দেন ফিশারিজ, একোয়াকাচার এন্ড মেরিন সায়েন্স অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব এবং গবেষণা সহযোগী হিসেবে ছিলেন উক্ত অনুষদের সহকারী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা।
এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য পরিচালিত গবেষণায় অর্থায়ন করেছে বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ সাস্টেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প।প্রধান গবেষক ড. আহসান হাবীব বলেন, 'বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে এবং সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। উৎপাদিত ইলিশ শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই ইলিশ যদি কৌটাজাত করে দেশের অভ্যন্তরে ও বিদেশে রপ্তানি করা যায় তবে এখাত থেকে আরো বেশি টাকা আয় করা সম্ভব, যার সুফল প্রান্তিক জেলেরা পর্যন্ত পাবে।
অপরদিকে বাংলাদেশে টুনা মাছ ততটা জনপ্রিয় নয়। এই দেশের উপকূলীয় সামুদ্রিক এলাকায় প্রচুর টুনা ধরা পড়ে যা বাজারে খুব কম দামে বিক্রয় হয়। অনেক সময় ক্রেতার অভাবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে অযত্নে পড়ে থাকতে দেখা যায়। অথচ কৌটাজাতকৃত টুনা মাছ বিদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়। জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশ কৌটাজাতকৃত টুনা ও অন্যান্য সামুদ্রিক মাছ নিজের দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করে। এই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে আমাদের দেশের এই টুনাও কৌটাজাত করণের একটা সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে আমরা আশা করছি।' তিনি আরো জানান , প্রযুক্তিটি স্বল্প ব্যয়ে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এই প্রযুক্তি গ্রহনের মাধ্যমে আয় বাড়াতে পারেন।
এছাড়াও তিনি উল্লেখ করেন,দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তার সাথে মানুষও ব্যস্ত থেকে ব্যস্ততর হচ্ছে। তাই বর্তমানে রেডি-টু-ইট এবং রেডি-টু-কুক খাদ্যের চাহিদা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এক্ষেত্রে শেকৃবি কর্তৃক উদ্ভাবিত কৌটাজাতকরণ প্রযুক্তিটির এই চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছেন প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী আহসান হাবীব।
সহযোগী গবেষক মোঃ মাসুদ রানা জানিয়েছেন যে, শেকৃবি এর ফিশ নিউট্রিশনাল বায়োলজি ল্যাবরেটরিতে উদ্ভাবিত কৌটাজাতকৃত ইলিশ ও টুনা মাছের স্বাদ, মান, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য গবেষণা চলমান রয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

মাতামুহুরি নদীতে গোসলে নেমে সাবেক চবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু

রাজনৈতিক দুষ্টচক্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দখলে নিয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা

শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় এনটিআরসিএর বড় সিদ্ধান্ত

সাইবার বুলিং ও নিরাপত্তাহীনতায় চাকসু নির্বাচনে সীমিত নারী প্রার্থীর অংশগ্রহণ

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর লক্ষাধিক টাকার টাইলস আত্মসাত

পিডি নিয়োগে প্রথম হয়েও বাদ শেকৃবি অধ্যাপক , নিয়ম ভেঙে প্রকল্প পেলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পবিপ্রবির নতুন উদ্যোগে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য স্থায়ী নামাজ রুম

ডিআইইউতে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সম্পন্ন

গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তিপূর্ণ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি মৃদুল, জিএস রায়হান

আইএফপিআরআই ও সার্ক কৃষি কেন্দ্রের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর

ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি'তে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক সম্মেলন BIM 2025

চাকসু নির্বাচনে ব্যালট নম্বর প্রকাশ, আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু
