আতংকে রয়েছে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মকর্তারা
আবু নাসের হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট সুধাংশু শেখর দম্পত্তির’ বিরুদ্ধে দুদকে মামলা,

খুলনা শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়ীত হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট সুধাংশু শেখর বাড়ই ও তার স্ত্রী তুলসীরানী বাড়ই এর বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে। ২ কোটি ৮১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ফার্মাসিস্ট সুধাংশু শেখর বাড়ই ও তার স্ত্রী তুলসীরানী বাড়ইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। গতকাল সোমবার দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক তরুন কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২০১৭ সালে আবু নাসের হাসপাতালের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার ওষুধ চুরি করেন তিনি। এ সকল ওষুধ বিক্রি করার জন্য খুলনা হেরাজ মার্কেটে আনার সময় গোয়ালখালি মোড়ে নগর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সে মামলায় তিনিসহ অপর দুই ফার্মাসিস্ট গৌতম কুমার ও দেব প্রসাদ ৬ মাস জেল খেটেছেন। টাকার ওষুধ পাচারের অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। জনশ্রুতিতে রয়েছে তিন ফার্মাসিস্ট জেলা খাটলেও, কর্মকর্তারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সে যাত্রায় বেচেঁ যান। এদিকে দুদকের দেয়া তথ্যমতে, আসামিদের বিরুদ্ধে ২ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৮২৩ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন ও ১ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের অবৈধ সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজ নামে খুলনায় ০.০৮৯০ একর জমির ওপর নির্মিত তিনতলা ভবন ও স্ত্রীর নামে খুলনা সদরে চারতলা ভবনসহ অস্থাবর সম্পত্তি। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, আসামি সুধাংশু শেখর বাড়ই তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে স্থাবর-অস্থাবরসহ ৭৯ লাখ ২২ হাজার ৬০১ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন। কিন্তু সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার নামে স্থাবর ও অস্থাবরের প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ১ কোটি ৯৯ লাখ ৩৫ হাজার ৪২৪ টাকা। অর্থাৎ তিনি ১ কোটি ২৯ লাখ ১২ হাজার ৮২৩ টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ১ কোটি ৫২ লাখ ৮০ হাজার ৬৭৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। অপরদিকে হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, সুধাংশু শেখর বাড়ই শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়ীত হাসপাতালের ফার্মসিস্ট থাকা কালিন, ওষুধ পাচার করে বাইরে বিক্রি, আউটসোর্সিং স্টাফদের হাজিরা কর্তন, ওয়ার্ড মাস্টারদের মাধ্যমে ওষুধ পাচার করতেন। এছাড়া কাজ ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। হাসপাতালের ওষুধ চুরির ঘটনায় তিনি ৬ মাস জেল খেটেছেন। তারপর থেকে তাকে আর হাসপাতালে দেখা যায়নি।
এমএসএম / এমএসএম

কুষ্টিয়ায় জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভাঙ্গণে ঝুঁকিতে হাজারো পরিবার, দ্রুত সংস্কারের দাবি স্থানীয়রা

ধামরাই প্রেস ক্লাবের নির্বাচন : সভাপতি তুষার, সম্পাদক আহাদ

সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ, রফিকুল আলমের চাকরিচ্যুতি দাবিতে মানববন্ধন

তাড়াশে বিয়ে বাড়িতে চুরির ঘটনা

টুঙ্গিপাড়ায় শুরু হয়েছে টাইফয়েড ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচি

তেঁতুলিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পর্যটন কেন্দ্র এখন মোহনগঞ্জের গলার কাঁটা

অভয়নগরে শ্রমিক ইউনিয়নের নব-নির্বাচিতদের শপথ গ্রহণ

রাঙামাটিতে টাইফয়েড টিকাদান শুরু

শিবচরে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন ২০২৫ এর শুভ উদ্বোধন

শান্তিগঞ্জে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন এর শুভ উদ্বোধন
