দৃষ্টিনন্দন ফেরিঘাট কাজে আসছে না, উদ্যোগ না নিলে রাজস্ব হারাবে সরকার

গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলা বালাশীতে ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন ফেরিঘাট টার্মিনাল নির্মিত হলেও এখানে ভিড়ছে না কোন ধরণের নৌযান। ফেরিঘাট থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে অস্থায়ী ঘাটে পায়ে হেটে, ঘোড়ার গাড়িতে অথবা অটো-ভ্যানে বালুময় পথ অতিক্রম করে পৌঁছাতে হচ্ছে যাত্রীদের। ফলে চরম ভোগান্তির সাথে সাথে ক্ষতি গুণতে হচ্ছে অধিক অর্থ ও সময়ের।
১৯৩৮ সালে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঢাকা জেলার সঙ্গে বৃহত্তর রংপুর জেলার গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে যাত্রী মালামাল পারাপারের জন্য যোগাযোগ গড়ে তুলতে চালু করে এই ফেরি সার্ভিসটি। ১৯৯০ সালের পর যমুনা নদীর নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি ঘাটটি ফুলছড়ির তিস্তামুখ ঘাট থেকে একই উপজেলার কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের বালাশী ঘাটে স্থানান্তর করা হয়। তবে এই ঘাট দিয়ে উত্তরাঞ্চলের সাথে ঢাকা ও নৌপথে স্বল্পব্যয়ে, অল্প সময়ে যাত্রী পারাপার, কৃষিপণ্য, জ্বালানি তেল, সার সরবরাহসহ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহন করা হতো এর সুফলও পেতো মানুষজন। কিন্তু নাবা সংকটের কারণে ২০০০ সালে এই কর্তৃপক্ষ। কটটি বন্ধ ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ ২২ বছর বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের ৯ এপ্রিল গাইবান্ধার বালাশী থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট নৌরুটে পরীক্ষামূলকভাবে লঞ্চ সার্ভিস চালু করে বাংলাদেশে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ। সেইসাথে নৌরুটটি সচল রাখতে উভয় পাশে দুটি আধুনিক দৃষ্টিনন্দন টার্মিনাল নির্মাণ করে কর্তৃপক্ষ। এদিকে, পরীক্ষামূলকভাবে দেওয়ানগঞ্জ স্টেশনে কয়েকটি ট্রেনের সাথে সংযোগ হিসেবে এই রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন এই রুটে চারটি ছোট লঞ্চ
যাত্রী পারাপার করে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত। তবে এই ফেরি চলাচলও এখন বন্ধ। নাব্যতা আনান। সংকটের ফলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ যাত্রীবাহী ফেরি চলাচল। প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা খরচ করে এই রুটে বড় লঞ্চ তো দূরের কথা, ছোট ল চলাচলও করতে পারছে না নৌ-ঘাট থেকে পায়ে হেটে, ঘোড়ার গাড়িতে করে এবং ছোট ছোট নৌকা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন। যাত্রীরা। এতে করে দুর্ভোগের সাথে যুক্ত হয়েছে সময় ও অর্থের।
কাজিপাড়ার ইউনুস আলী সকালের সময় কে জানান, এই ঘাটের সাথে সম্পৃক্ত প্রায় সহাস্রাধিক মানুষের জীবন জীবিকা। কিন্তু পানি না থাকায় ঘাটে ভিড়ছে না নৌযান। যার কারণে বেকার হয়েছে এসব ও মানুষজন। উদ্যোগ না নেওয়া হলে পরবর্তীতে সরকার রাজস্বও হারাবে বলেন তিনি।
ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ সকালের সময় কে বলেন, নদীতে হঠাৎ করে চর জেগে ওঠায় অনেক সময় নিয়মিত লঞ্চ চলাচল করতে পারছে না। আবার যে উদ্দেশ্য নিয়ে দৃষ্টিনন্দন ফেরিঘাট চালু করা হয়েছে সেটিও কোন কাজে আসছে না। একারণে জানান, সঠিক পরিকল্পনার তিনি মাধ্যমে নদীর নাব্যতা দূর করে এই রুটে ফেরিসহ অন্যান্য নৌযান চাল করা হলেও জনগণ ব্যাপক উন্নয়ন সুবিধা পাবে।
গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক মো. অলিউর রহমান সকালের সময় কে জানান, বালাশী ফেরিঘাট এই অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ মাধ্যম। নাব্য সংকটে আপাতত এই রুটে নৌযান চলাল বন্ধ রয়েছে, তবে পানি বাড়লে শীঘ্রই এটি চালু হবে। নাব্য সংকট নিরসনে ছাত্রী পরিকল্পনা সরকারের
বালাশীঘাটের ইজারাদার মো. হাসু মিয়া জানান, কোটি টাকা দিয়ে এই ঘাট ইজারা নেয়া হয়, কিন্তু নৌকা না আসায় চরম ক্ষতি গুণতে হচ্ছে। এভাবে চললে এবং ঘাটটি চালুর রয়েছে বলে তিনি জানান।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
