পার্বত্য জেলায় উপজাতী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজী

পার্বত্য জেলায় উপজাতী সন্ত্রাসীর কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজী। উপজাতি সন্ত্রাসী বাহিনীগুলোর আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজী এবং অন্তকোন্দলকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে একের পর কে হত্যাকান্ডা চলছেই। পাহাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষ জিম্মি সশস্ত্র উপজাতী সন্ত্রাসী ক্যাডারদের হাতে। সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকা দিয়ে খুব সহজেই উপজাতী সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র আসছে। তাদের কাছে অত্যাধুনিক স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র রয়েছে । স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও র্যাবের বিভিন্ন সময়ে পরিচালিত অভিযানে রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলায় উপজাতী সন্ত্রাসীদের থেকে একে ৪৭, একে ৫৭, একে ২২, এম ১৬, মার্ক ২ রাইফেল, চায়না রাইফেল, নাইন এমএম পিস্তল, এসএলআর, এসএমজি, বিমান বিধ্বংসী রিমোর্ট কন্টোল বোমা, গ্রেনেড, রাইফেল গ্রেনেডসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, সামরিক সরঞ্জাম উদ্ধার এবং উপজাতী সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত এইসব উপজাতী সন্ত্রাসীদের দেয়া একাধিক তথ্য থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ভারত এবং মিয়ানমার উপজাতী সন্ত্রাসীদের দিচ্ছে বিশাল অস্ত্রের ভান্ডার এবং প্রশিক্ষণ।
পার্বত্য অঞ্চলের সীমান্তে ভারত ও মিয়ানমারের সাথে ৪৪ কিলোমিটার পথ অরক্ষিত রয়েছে। বিশাল সীমান্ত এলাকা পাহারায় নেই কোনো পর্যবেক্ষণ পোস্ট। এমনকি টহল দেয়ার জন্য পায়ে হাটা পথও নেই। দুর্গম জঙ্গল ও পাহাড়ি এলাকাটি থাকছে অরক্ষিত। কিছুসংখ্যক বর্ডার অভজারভেশন পোস্ট (বিওপি) থাকলেও সেগুলোর অবস্থা অত্যন্ত করুণ। ফলে ভারত ও মিয়ানমার থেকে অবাধে অস্ত্র ও মাদক ঢুকছে পার্বত্য অঞ্চলে। টেকনাফে কড়াকড়ির পর মাদক ও অস্ত্র চেরাচালানে এ পথে ব্যবহার করছে মাদক চোরাকারবারী ও সন্ত্রাসীরা।
এছাড়াও হাটবাজার, কাঠ বোঝাই ট্রাক ও যাত্রাবাহী গাড়ি, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গা জমি থেকে চাঁদা হিসাবে হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল পরিমান টাকা। বিভিন্ন সংগঠনের নামে টোকেন ব্যবহার করে থাকে এই উপজাতী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। যা দেখেও না দেখার ভান করছে স্থানীয় প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অকাশে অনিচ্ছুক খাগড়াছড়ির এক কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, গাড়িতে কাঠ বোঝাই করতে ও রাস্তায় গাড়ি চলাচল করতে হলে মোটা অংকের চাঁদা দিতে হয়। এই সকল উপজাতীয় সন্ত্রাসী সংগঠনের কারনে ব্যবসা বানিজ্য করা এক প্রকার কষ্ট সাদ্য হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, পাহাড়ে বিবদমান সংগঠন জেএসএস ও ইউপিডিএফ প্রতিপক্ষ হলেও এবার তারা এক হয়ে নিরীহ বাঙালির উপর সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। ক্ষমতাশীন দলের নেতারা কিছু গণমাধ্যমের সমালোচনা করে বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে কারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হলেও বারবার বলা হচ্ছে এটা দুর্বৃত্তদের কাজ। কেন জেএসএস ও ইউপিডিএফ-এর নাম লেখা হচ্ছে না?
‘পার্বত্য অঞ্চলে এই সব সন্ত্রাসীদের খুঁজে বের করে নিষ্কিয় করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই’ পুলিশের পক্ষ থেকে একই কথা বলা হয়েছে। একাধিক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী একই কথা বলেছে। তাদের অভিমত, সন্ত্রাসীদের হাতে অস্ত্র থাকলে পাহাড়ে লাশ পড়া বন্ধ হবে না।
ওই সকল বাহিনীর কর্মকর্তারা বলেন, ৪৪ কিলোমিটার যে অরক্ষিত সীমান্ত আছে সেখানে রাস্তা তৈরি করে ২৪ ঘণ্টা টহলের ব্যবস্থা এবং কাঁটাতারের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব না করলে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আসা বন্ধ হবে না। পাহাড়ে সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মী থাকবে। অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।
এমএসএম / এমএসএম

ভোলাহাটে বিএনপি'র ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ

আন্তর্জাতিক স্বর্ণপদকজয়ী জিহাদের পাশে বিএনপি পরিবার’

ধামইরহাটে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে বিএনপির উঠান বৈঠক

মোরেলগঞ্জে মহিলা দলের নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

সলঙ্গায় নারী গ্রাম পুলিশের লাশ উদ্ধার

আত্রাইয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

নবীনগরে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন

চৌগাছার কাকুড়িয়া গ্রামের মহাকালি মন্দির চৌত্রিশ বছরেও লাগেনি উন্নয়নের

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৬ আসনে মোহনকে সমর্থন দিলো দেলদুয়ার উপজেলা বিএনপি

মেহেরপুরে জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে মৃত শ্রমিকদের মৃত ভাতা প্রদান

ভূরুঙ্গামারীতে নদীর বাঁধ নির্মাণের দাবীতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

নরসিংদীতে সম্মানজনক বেতন ও এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষকদের বিক্ষোভ
