ভুট্টার বাম্পার ফলন, দাম নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে।চরাঞ্চলের ধু-ধু বালির বুকের দৃশ্য বদলে দিয়েছে ভুট্টা চাষ। ব্রক্ষপুত্র নদের দু-পাড়ের যে দিকে চোখ যাবে সেদিকে দেখা মিলছে ভুট্টা গাছের সবুজসমারোহ।প্রাকৃতিকভাবে শহনশীল, অল্প খরচ, রোগবালাই কম এবং অধিক ফলনের কারণে রবি মৌসুমে ভুট্টার চাষ বেশি হয়ে থাকে। অতীতের চেয়ে এবার ভুট্টা উৎপাদন অনেক বেশি হলেও ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা। চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ভুট্টার সবুজ খেত। এখানকার জমি উর্বর পলিময়। ফলে প্রতিবছরই বাম্পার ফলন হয় ভুট্টার। এবারও হয়েছে। তারপরও শঙ্কিত কৃষক। ভয় ন্যায্য মূল্য না পাবার।কৃষি বিভাগের মতে, বাম্পার ফলন হলেও ফড়িয়া, দালাল আর মহাজনদের কারণে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবার আশঙ্কা করছেন গাইবান্ধার ভুট্টা চাষিরা। এ অবস্থায় তাদের দাবি, সরকারিভাবে ভুট্টার দাম নির্ধারণ করে দেয়ার পাশাপাশি ক্রয়কেন্দ্র খুলে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ভুট্টা কেনার ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ৫ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করা হয়। এবার উৎপাদনে ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭০ হাজার ৬৮০ মেট্রিক টন।
ভুট্টা চাষিরা জানান, জমি থেকে ভুট্টা তুলতে শ্রমিকদের খরচ বহন করতে হিমশিম খেতে হয়েছে এবার। এছাড়া উপজেলার বাইরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় স্থানীয় মধ্যস্বত্ব ভোগীদের কাছে ভুট্টা বিক্রয় করতে হয়। ফলে কৃষকের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্ব ভোগী ভুট্টা ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের হারোডাংগা গ্রামের ভুট্টা চাষি মিলন মিয়া জানান- আমি সাত বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি ভুট্টার গাছ ভালো হয়েছে ফলন ভালো তবে বাজারের যে অবস্থা ভুট্টার দর নিয়ে চিন্তায় আছি।
উড়িয়া ইউনিয়নের মধ্য উড়িয়া গ্রামের ভুট্টা চাষি হাবিবুর রহমান বলেন, আমি প্রায় ১৫ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি ভাল ফলনো হয়েছে কিন্তু? বর্তমান বাজার মূল্য মোতাবেক দর থাকলে উৎপাদন খরচ তোলাই মুশকিল হয়ে যাবে । গত দুই সপ্তাহে ১০ মণ ভুট্টা বিক্রি করেছি ১৩০০ টাকা দরে । বর্তমানে সেই ভুট্টার দর কমে ৮০০ হতে ৮৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । দুই সপ্তাহ ব্যবধানে মণ প্রতি দাম কমেছে ৪০০ হতে ৪৫০ টাকা , এ ভাবে দর কমতে থাকলে, ভালো ফলন হয়েও খরচের টাকা ওঠবে না।
এরেন্ডাবাড়ির ভুট্টা চাষী হাসেম তরফদার সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করেন। এ অবস্থায় পরিবহন সমস্যার সমাধানসহ সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দিলে চাষিরা ভুট্টা চাষে আগ্রহী হবেন বলে অভিমত কৃষক দের।
ফুলছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মিন্টু মিয়া বলেন, সিন্ডিকেট ভুট্টার দাম কমিয়ে দেয়। যার ফলে কৃষক ভাইয়েরা ভুট্টার দাম পায় না। পরবর্তীতে আবার দেখা যায় যখন কৃষকদের কাছে কোন ভুট্টা থাকেনা, আড়ৎদারের হাতে যখন ভুট্টা চলে যায় তখন ভুট্টার দাম বেড়ে যায়। কৃষকদের কাছ থেকে ভুট্টা কেনা গেলে কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম পেত এবং ভুট্টা চাষেরও সম্প্রসারণ ঘটতো।চলতি বছর জেলায় ৫৮৯০ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে ভুট্টার। এ থেকে ৭০ হাজার ৬৮০ টন ভুট্টা উৎপাদন হবে বলে আশা করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগের।
এমএসএম / এমএসএম

আশুলিয়ার জামগড়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

পাপ্পীর কানাডা ও আমেরিকার ভিসা বাতিলের আবেদন

চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত মদে ছয়জনের প্রাণহানি

মধুখালী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে প্রেসক্লাবের সভাপতি সহ তিনজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

বারহাট্টায় আন্তর্জাতিক দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নোয়াখালী সুবর্ণচরে রাস্তায় প্রকাশ্যে যুবককে গলা কেটে হত্যা

টাঙ্গাইলকে ঢাকা বিভাগে রাখার দাবিতে উত্তাল যমুনা সেতু মহাসড়ক

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে জয়পুরহাটে আলোচনা সভা

মাগুরায় আসন্ন কাবাডি ও ক্রিকেট লীগ উপলক্ষে মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠিত

পঞ্চগড়ে ঘরে ঘরে জনে জনে কর্মসূচি নিয়ে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির

বিরামপুরে দূর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

নাচোলে তে-ভাগা আন্দোলনের বীরাঙ্গনা নেত্রী ইলামিত্রের ২৩ তম মৃত্যু বাষিকী পালিত
