খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়রপদসহ মোট মনোয়ন জমা ১৯৫

খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষদিন পর্যন্ত সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকসহ মোট মেয়র প্রার্থী ০৭ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত খুলনার বয়রাস্থ নির্বাচন কার্যালয়ে সাত মেয়র প্রার্থীসহ মোট ১৯৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ২৩৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এরমধ্যে মঙ্গলবার শেষ দিন পর্যন্ত ১৯৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে, মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও বিদায়ী মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা আব্দুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র এস এম মুশফিকুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আগুয়ান-৭১ এর আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সাম্যবাদী দলের সাবেক নেতা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম। নগরীর ৩১ টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৯ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া, মেয়র পদে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফফার বিশ্বাস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও দলীয় সিদ্ধান্তে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে কেসিসি নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।
মঙ্গলবার সকাল সোয়া ১০টায় নূরনগর নির্বাচন অফিস কার্যালয়ে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিনের নিকট আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেসিসি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহবায়ক ও খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি কাজী আমিনুল হক, সদস্য সচিব ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী এবং নগর শাখার দপ্তর সম্পাদক মুন্সী মাহাবুব আলম সোহাগ।
এরপর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক, আগুয়ান-৭১ এর কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী এবং জাকের পার্টি নেতা এস এম সাব্বির হোসেন। এর আগে মেয়র পদে আরও তিন জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরা হলেন, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী জেলা শাখার সভাপতি মো. শফিকুল আলম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আবদুল আওয়াল এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল ইসলাম।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, 'একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য খুলনা সিটি করপোরেশনের ভোটাররা অধীর আগ্রহে আছেন। সকলের সহযোগিতায় একটি ভালো নির্বাচন হবে বলে আমি আশাবাদী।' তিনি আরো বলেন, এই নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করে তাদের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা উচিত ছিল। মেয়র পদে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের কাউকেই আমি দুর্বল প্রার্থী মনে করছি না। নগরবাসী আবার আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে তিনি আশা করেন।
অপরদিকে, মনোনয়পত্র জমা দিতে আসা কাউন্সিলর প্রার্থীরা জানান, এখনও পর্যন্ত একটি ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য পরিবেশগত সকল ব্যবস্থা রয়েছে। ভোটাররাও অধিক আগ্রহে আছেন ভোট দিয়ে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করার জন্য। তবে এক প্রার্থী যেন অপর প্রার্থীর প্রতি কাদা ছোড়াছুড়ি না করে সে বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখার পারামর্শ দিয়েছেন অনেকে।
এদিকে, দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হননি মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এছাড়া, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফফার বিশ্বাস।
বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, দলের নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, বিএনপি নির্বাচনে যাবে না। এ ছাড়া তাকে প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
মহানগর জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবদুল গফফার বিশ্বাস সোমবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলছেন, জাপার প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ তাকে সিটি নির্বাচনে অংশ না নিতে অনুরোধ করেছেন।।
কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান শেষ হয়েছে। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র জমাদানের সময় প্রার্থীসহ ৫ জনকে আসতে বলা হয়েছে। প্রত্যেকে সে অনুযায়ী আচরণবিধি মেনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের প্রচার-প্রচারণা সামগ্রী অপসারণের কথা বলা হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চাই। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।
কেসিসি নির্বাচনের সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারাজী বেনজির আহমেদ বলেন, মেয়র পদে সাত জন ছাড়াও, সাধারণ কাউন্সিলর পদে শেষ পর্যন্ত ১৪৯ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি জানান, মেয়র পদে শুধুমাত্র জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা আব্দুল গফফার বিশ্বাস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেননি।
নিবার্চন কমিশন ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে কেসিসি নির্বাচন। আর ১৮ মে মনোনয়নপত্র বাছাই, ২৫ মে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ২৬ মে প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। এবারের নির্বাচনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি। নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডে ৩১ জন কাউন্সিলর ছাড়াও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ জন নারী কাউন্সিলর প্রার্থী বিজয়ী হবেন।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়ায় সরকারি রাস্তা দখল, ঘরবন্দি শিরিনা খাতুন

সান্তাহারে ইয়াবা ট্যাবলেট ও প্রাইভেট কারসহ দুইজন গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে গরুর গাড়ি মার্কা প্রার্থীর সমর্থনে সভা

কাউনিয়ায় এইচএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা নেওয়ার অভিযোগে

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে গাজীপুরে গাছের চারা বিতরণ

দুই সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালিত

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জন করে চটের ব্যাগ ব্যবহার করুন- কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সোনাগাজীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গরু চোরসহ গ্রেফতার-০৪, চোরাই গরু উদ্ধার

সীমান্তে বিপুল পরিমান অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

ভূরুঙ্গামারীতে বিএনপির নেতাদের নামে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে

রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এভাবেই নষ্ট হচ্ছে পৌরসভার অর্ধ কোটি টাকার সম্পদ

টাকার বিনিময়ে সনদ বিক্রি, শিক্ষার্থী নেই তবুও চলছে এমপিওভুক্ত কলেজ
