কেশবপুরে অতিবৃষ্টিতে ভেসে গেছে ঘের
যশোরের কেশবপুরে দুই দিনের টানা বৃষ্টিতে উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের নিচু এলাকার মানুষের বাড়িতে পানি উঠে এসেছে। এছাড়া মাছের ঘের ভেসে, অবকাঠামো নষ্ট ও কৃষি ফসল আক্রান্ত হয়ে চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার ভায়না বিলসংলগ্ন স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইরুফা সুলতানা অতিবৃষ্টির কারণে নিন্মঞ্চাল প্লাবিত ঠেকাতে উপজেলার বেলকাটি এলাকার স্লুইসগেটের মুখে অবৈধভাবে দেয়া বাঁশের বেড়া (পাটা) ও লোহার কপাট অপসারণ করেছেন।
উপজেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের বুখারি জোয়ার্দার, খলিল জোয়ার্দার, শহিদুল বিশ্বাস ও আজিজ জোয়ার্দারের গোয়াল ভেঙে পড়েছে। এছাড়া কয়েক ব্যক্তির ঘেরও তলিয়ে গেছে। ওই গ্রামের বুখারি জোয়ার্দার বলেন, বিশ্বাসপাড়া ও জোয়ার্দারপাড়ার ৩০-৩৫টি বাড়ির উঠানে পানি উঠে এসেছে। একই গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, তার শিম, বরবটি, শসা, ঢেঁড়স, লাউসহ অন্যান্য সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার সজীব সাহা বলেন, উপজেলার ভায়না বিলসহ তৎসংলগ্ন এলাকার প্রায় ৮০০ মাছের ঘের টানা বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্ত হয়ে ভেসে গেছে। এতে মাছ ভেসে ও অবকাঠামো নষ্ট হয়ে চাষিদের প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মনির হোসেন বলেন, বৃষ্টিতে ১৯৫ হেক্টর আমন, আউশ, পান ও সবজি ক্ষেত আক্রান্ত হয়েছে। পানি নেমে গেলে কৃষিতে সবজির ক্ষতির সম্ভাবনা খুবই কম।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এমএম আরাফাত হোসেন বলেন, পানি উন্নয়নের বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে দ্রুত ভায়না স্লুইসগেটের পলি অপসারণ করে বিলের পানি নিষ্কাশনের জন্য বলা হয়েছে।
এমএসএম / জামান