মান্দায় মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ
নওগাঁর মান্দায় মা-মেয়েকে গোপনাঙ্গ দেখিয়ে মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নাসিমা বেগম। প্রতিপক্ষের বেগুন গাছ ছাগলে খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মা ও মেয়েকে পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নূরুল্লাবাদ ইউপির গোয়ালমান্দা গ্রামে। এ ঘটনায় আহত নাছিমা বেগম শনিবার (৩১ জুলাই) মান্দা থানায় ৬ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আহতরা হলেন- গোয়ালমান্দা গ্রামের মোজাফফর হোসেনের স্ত্রী নাসিমা বেগম (৩৭) এবং তার মেয়ে রিক্তা খাতুন (২০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আহত নাসিমা বেগমের ছাগলে প্রতিপক্ষের বেগুন গাছ খাওয়ার ঘটনায় তাদের মারপিট করে আহত করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- একই এলাকার প্রতিবেশী একরাম আলী (২৫), জেহের আলী (৬৫), রশিদা বেগম (৫৭), আছির আলী মণ্ডল (৭০), ফিরোজ আলী (৩৫) ও কুদ্দুস আলী (৩৬)। ঘটনার দিন প্রতিপক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে আহত নাসিমার বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার মেয়েকে মারপিট করে আহত করে। মারপিটের পর তারা অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে এবং অভিযুক্ত ফিরোজ পরনের লুঙ্গি উঠিয়ে মা-মেয়েকে গোপনাঙ্গ দেখিয়ে তাদের সম্মানহানি করে। পরে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
ঘটনার উলঙ্গ ভিডিও সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনার পর নাসিমা বেগম মান্দা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ঘটনার পর থেকে মা ও মেয়ে লোকলজ্জায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না বলে তারা জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী নাসিমার সাথে কথা বললে তিনি জানান, স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ও আকবর মহুরির ইন্ধনে অভিযুক্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। লুঙ্গি খুলে গোপনাঙ্গ মা ও মেয়েকে দেখানোর ঘটনায় অভিযুক্ত ফিরোজ আলীর সাথে কথা হলে তিনি ভুল স্বীকার করে বলেন, আমার ভুল হয়ে গেছে। রাগ সামলাতে না পেরে এমন ঘৃণ্য কাজ করেছি।
এ ব্যাপারে আকবর মহুরির সাথে মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
অপরদিকে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় তারা যত মামলা করে তা দেখে নেব।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান