রাতের অন্ধকারে গুইমারায় এস্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কাটার মহোৎসব

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় রাতের অন্ধকারে চলছে দেদারসে পাহাড় কাঠার মহোৎসব। রাতে হতে না হতেই পাহাড় খেকোরা মাটি কেটে করছে বিক্রি। চাক্রটি থামছেনা কোন কিছুতেই। প্রশাসনের নজর দারীর অভাবে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটলেও অদৃশ্য কারনে আইন প্রযোগকারী প্রশাসন নীরব বলে মনে করছে৷ স্থানীয়রা।
এসব মাটি দিয়ে ইট ভাটার ইট তৈরী করাসহ গভীর খাদ ভরাটসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান একাদিক সূত্র। গত এক বছরে গুইমারা উপজেলায় অর্ধশতাধিক পাহাড় কাটা হয়েছে বলে বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ধারা ৬ এর (খ) ধারায় স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কতৃর্ক সরকারী বা আধা—সরকারী বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন বা দখলাধীন বা ব্যক্তি মালিকানাধীন পাহাড় ও টিলা কর্তন বা মোচন করা যাবে না। আইনের তোয়াক্কা না করেই পাহাড়খেকো চক্র প্রশাসনকে ম্যানেজ করে পাহাড় কাটছে। এমন অভিযোগ, সাধারণ মানুষের।
৮ জুন বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বড়পিলাক গ্রামের ৫ নং এলাকায় রাতের অন্ধকারে পাহাড় কাটছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় এস্কেভেটর দিয়ে পাহার কাটছে। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে চালক ও লোকজন পালিয়ে যায়। সাংবাদকরা চলে আসলে আবারও পাহাড় কাটা শুরু হয়।জানা যায়, বড়পিলাক এলাকার ইমতিয়াজ কোম্পানি নামের এক ব্যাবসায়ীর সাথে গুইমারা এলাকার পাহাড় কাটা সিন্ডিকেট ঘন্টায় ১৭শত টাকা হারে পাহাড়ের মাটি কেটে দিবে বলে চুক্তি করে।
পাহাড় কাটার পর এসব মাটি বিক্রি হয় বিভিন্ন জনের কাছে। সাম্প্রতিককালে গুইমারাতে পাহাড় কাটার প্রবনতা বাড়ছে। অতিসম্প্রতি, গুইমারা সরকারি মডেল হাই স্কুলের পাহাড় ও বাইল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালের পাশের পাহাড়সহ বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় পাহাড় কাটা হচ্ছে দেদারসে। আর পাহাড়ের মাটি বিক্রি করা হচ্ছে প্রতি গাড়ি পনেরশত টাকা থেকে দুই হাজার টাকায়।পাহাড় কাটার সাথে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ নিধন করা হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে পরিবেশের । প্রতিদিন পঞ্চাশ থেকে আশি গাড়ী মাটি বিভিন্ন ইট ভাটার ইট তৈরী ও স্থাপনা ভরাটের কাজে এ মাটি বিক্রি করা হয়।
গুইমারাতে ইটভাটার সংখ্যা ৫টি। এসব ভাটার ইট তৈরিতে প্রয়োজন মাটির আর এসব মাটির যোগান দেয় পাহাড় ও ফসলি জমি থেকে কেটে আনা মাটি। পাহাড় কাটা নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রভাবশালীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও পারছেন না। প্রভাবশালী মহলটি ক্ষমতার দাপট ও প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাহাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে ফেলছে। ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।সাধারণ জনগনের অভিযোগ, পাহাড় কাটার তথ্য প্রশাষনকে দিলেও অদৃশ্য কারনে পাহাড় কাটা বন্ধ হয়না।
খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের আন্দোলনের সভাপতি সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী বলেন, পাহাড় কাটার বিষয়ে আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার কারনে প্রতিদিন পাহাড় কাটার প্রবনতা বাড়ছে। গুইমারা উপজেলা ঘোষনা হওয়ার পর পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে আইনের প্রয়োগ, মামলা বা মোবাইল কোর্ট হয়েছে কিনা আমার জানা নেই। আইনের প্রয়োগ না হলে পাহাড় কাটা বন্ধ করা যাবেনা। গুইমারা থানার ওসি রাজিব কর বলেন, মাটি কাটা রোধে স্থানীয় প্রশাসনকে সহযোগীতা করা পুলিশের কাজ। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।
গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রক্তিম চৌধুরী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, আইন অমান্য করে পাহাড় কাটা হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো: শহিদুজ্জামান বলেন, পাহাড় কাটা বন্ধে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছি। বিভিন্ন যায়গায় জেল জরিমানা করা হয়েছে।
এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত
Link Copied