প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ চেয়ে নিজের দুর্নীতিকে আড়াল করতে পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ওয়ারপো’র উপসচিব

পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ওয়ারপোর উপসচিব ডিএস (ডেপুটি সেক্রেটারি)-নন ক্যাডার, পদমর্যাদার এবিএম গোলাম ফারুকের বিষয়ে গত ৬ জুন দৈনিক সকালের সময় “পানি সম্পদ পরিকল্পনা সংস্থায় নিয়োগ বাণিজ্য ও স্বেচ্ছাচারিতা” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবিএম গোলাম ফারুক। তিনি উক্ত সংস্থার উপ-সচিব ও ওয়ারপো নিয়োগ ও পদোন্নিত সংক্রান্ত বাছাই কমিটি-২ এর সদস্য সচিব। তিনি প্রকাশিত সংবাদকে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে বলেছেন কর্মচারী নিয়োগের জন্য যে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠানে যাছাই বাছাই পূর্বক নিয়োগের সুপারিশের জন্য ১ (এক)টি কমিটি থাকে। ওয়ারপোতেও কর্মচারী নিয়োগের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি বাছাই কমিটি আছে।
কমিটির প্রধান সংস্থার পরিচালক (কারিগরি) কেএম আবুল কালাম আজাদ, যিনি বাছাই কমিটির আহবায়ক। অন্যদের মধ্যে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একজন উপসচিব (বহি সদস্য) এবং অত্র সংস্থার ২ জন সদস্য এবং আমি সদস্য-সচিব। কমিটির আহবায়ককে বাদ দিয়ে কোন সদস্যের একক সিদ্ধান্তে প্রার্থী বাছাই করে সুপারিশ প্রণয়ন করার সুযোগ নেই। অথচ আপনার পত্রিকাতে সদস্য সচিবকে জড়িয়ে হীনস্বার্থে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করাসহ কর্মস্থলে ক্ষতিগ্রস্থ এবং মানসিক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে এ সংবাদ ছাপানো হয়েছে। সংস্থায় একটি কুচক্রি ও স্বার্থাম্বেষীমহল নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য অফিসের নিয়মতান্ত্রিক কার্যক্রমকে বিতর্কিত করে নিয়োগের কাল্পনিক বাণিজ্যের মুখরোচক ধোঁয়া তুলে দাপ্তরিক কর্মপরিবেশকে অস্থির করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। ওয়ারপোতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন অনিয়ম হলে তার জন্য কমিটির আহবায়ককে প্রশ্ন না করে অথবা সংস্থার প্রধানকে পাশ কাটিয়ে এ ধরনের সত্যবিবর্জিত সংবাদ পরিবেশন বিধিসম্মত নয় এজন্য আমি শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
প্রকাশিত সংবাদটিকে তিনি ঢালাওভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করেছেন। তিনি শুধু নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু অবৈধ পথে অর্জিত তার পাহাড়সম সম্পদের যে সচিত্র বিবরণ প্রকাশিত হয়েছে সে ব্যাপারে তিনি একটি শব্দও উল্লেখ করেননি। তা হলে তো ধরে নিতে হয় তার ধন-সম্পদ-সম্পর্কে যে সব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ সত্য। শুধু তাই নয় প্রতিবাদ লিপিতে তিনি ওয়ারপো’র মনোগ্রামযুক্ত প্যাড এবং একিটি স্মারক নম্বর (৪২.০২.০০০০.০০৩.১৮.০৪৩.১৯-৮৪২) ব্যবহার করেছেন এতে বোঝা যায় এই প্রতিবাদ পত্রটি সংস্থার নিজস্ব। অথচ আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, প্রতিবাদ পত্রটি পাঠিয়েছেন তিনি এককভাবে। করেছেন তিনি একাই। সংস্থার ডিজিসহ অন্যকোন কর্মকর্তা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। প্রতিবাদে তিনি কমিটির কথা উল্লেখ করেছেন। অথচ কমিটির অন্য কোন সদস্যের কোন স্বাক্ষর কাগজপত্রে নেই। এসবের সব প্রমাণ সকালের সময় এর কাছে সংরক্ষিত আছে।
উল্লেখ্য যে, সম্পাদক বরাবর লিখিত চিঠি প্রদানে এবিএম গোলাম ফারুক নিজেই নিজেকে দোষী মনে করছে। তাই এবিএম গোলাম ফারুক উক্ত প্যাডে সহস্তে স্বাক্ষর করে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দাবি করেছেন। কিন্তুু এবিএম গোলাম ফারুক সম্পাদক বরাবর চিঠিতে আরো অনেক কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করেছে, তবে উল্লেখিত চিঠিতে প্রকাশিত সংবাদের বিরুদ্ধে (চাহিদা) উল্লেখিত কর্মকর্তাদের কোন স্বাক্ষর নেই। যেখানে এবিএম গোলাম ফারুক নিজে নিজেই তার পদমর্যাদা ক্ষমতার অপব্যবহারযোগ্য চেষ্টাতে উক্ত চিঠি সম্পাদক বরাবর প্রদান করেছে। এদিকে সরেজমিনে পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা ওয়ারপোর প্রধান কার্যালয়ে এবিএম গোলাম ফারুকের বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে তথ্য পাওয়া যায়, প্রধান কার্যালয়ের দুর্নীতির অনেক শাখার গোপন নথির খবর। যেমন-এবিএম গোলাম ফারুক ৬ষ্ঠ গ্রেড ভুক্ত কর্মকর্তা হলেও তাহার অলৌকিক ক্ষমতার দাপটে একক সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে। অনেক সময়ের নজির আছে এবিএম গোলাম ফারুক তাঁর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরাতে যাওয়ার জন্য দপ্তরের লোগোযুক্ত গাড়ি ব্যবহার করে। কয়েক বছরের লগ বই যাচাই-বাছাইয়ে বিষয়গুলোর তথ্য পাওয়া গেছে। গার্ড শেডের তেমন প্রয়োজন না থাকলেও ওয়ারপো ভবনের প্রবেশ দ্বারে গার্ডদের জন্য শেড নির্মাণ করা হয়, যাহাতে বাস্তব খরচের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। এই ব্যয় (খরচ) পূর্ত কাজের কোন বিধি-বিধান অনুসরণ করা হয়নি। কর্মকর্তাদের রুম সংস্কার বা রূপান্তরের জন্য যে বসার স্থান ছিল সেগুলো সংস্কার করে কাচে ঘেরা বেশ কিছু রুম বানানোর জন্য বিল গ্রহণ করা হলেও রুম করা হয়েছে মাত্র তিনটি। হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার একটি টয়লেট তৈরির জন্য কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই কাজ শুরু করা হয় এবং বিল গ্রহণ করা হয়েছে তবে সরেজমিনে গিয়ে কাজ সমাপ্তির প্রমাণ মিলেনি। এসি টেলিভিশন সোফা সেট ক্রয় করা মর্মে খরচ দেখানো হয়েছে অথচ বাস্তবে মালামালের কোন অস্তিত্ব নেই। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই লক্ষ লক্ষ টাকার বিল করা হয়েছে যানবাহন মেরামত ও যন্ত্রপাতি ক্রয়ে, যাহা কোন প্রকার টেন্ডার করা হয়নি ইচ্ছেমতো দেখিয়ে বিল উত্তোলন করা হয়েছে। জেলা কার্যালয়ে নিম্নমানের আসবাবপত্র ক্রয় করেছে অথচ দেখানো হয়েছে অতিরিক্ত (উচ্চমানের আসবাবপত্রের বিল)। কোন টেন্ডার ছাড়াই এগুলো এবিএম গোলাম ফারুক নিজেই ক্রয় করেছেন এর মাধ্যমে ব্যাপক দুর্নীতির তথ্য পাওয়া গেছে। এবিএম গোলাম ফারুক বিধি-বিধান যথাযথ ভাবে অনুসরণ না করে কেনাকাটা করেছেন অফিসের জন্য। শুধুমাত্র ডিপিএম পদ্ধতিতে ২৫,০০০/=(পঁচিশ হাজার) টাকা করে ভাউচার জমা দিয়ে কেনাকাটা করেন, এর-ই মধ্যে নগদ ক্রয়ের বাৎসরিক সিলিং ১০ লক্ষ টাকা হলেও ৪০ থেকে ৪৫ লক্ষ টাকা মূল্য ক্রয় দেখিয়েছেন। এটি একটি গুরুতর আর্থিক অনিয়ম হলে যাহা ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের অডিটে-অডিট টিম প্রমাণ পেয়ে যায়। এবিএম গোলাম ফারুকের এ দুর্নীতির বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অডিট টিমকে ৩ লক্ষ টাকা প্রদান করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেয়। এবিএম গোলাম ফারুক নিয়োগ কার্যক্রমের জন্য, সকল নিয়োগ কার্যক্রম নিজেরমত রাখার জন্য ইতিপূর্বে বাছাই কমিটি বাতিল করে অনুগত কর্মকর্তাদের দিয়ে বাছাই কমিটি গঠন করেছিলেন। যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবিএম গোলাম ফারুকের অবৈধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সহমত পোষণ না করেন তাদের বিরুদ্ধে নিয়েছেন বিভিন্ন ধরনের হয়রানিমূলক শাস্তির ব্যবস্থা, যেমন-বিভাগীয় মন্ত্রণালয়ের কারণ দর্শানো এমনকি বরখাস্তোয়ো করা হয়েছে। সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী এ নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে সরোজমিনে। যে সকল টিএনপি ভুক্ত মালামাল ক্রয় দেখানো হয় তা যথাযথ রেজিস্টারে এন্ট্রি করা হয় না যিনি ক্রয় করেন তিনিই তাই এন্ট্রি করেন। শুধু তাই নয় এবিএম গোলাম ফারুক বিভাগীয় আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে যথাযথভাবে এফআর (ফিন্যান্সিয়াল রেসিপি) অনুসরণ করে না। কোন প্রকার প্রাক যাচাই-বাছাই ছাড়াই শ্বেত প্রদান করেন এম গোলাম ফারুক, এক্ষেত্রে হিসাব শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনেকটা জিম্মি করে উক্ত কাজে বাধ্য করেন এবিএম গোলাম ফারুক।
এমএসএম / এমএসএম

কৃষক লীগ নেতা মোজাজ্জেল ঢালী এখন স্বেচ্ছাসেবক দলে পদ পেতে মরিয়া

আশুলিয়াকে "উচ্চ শিক্ষা নগরী" গড়তে পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের একসাথে পথচলা

কোতোয়ালী থানা প্রেসক্লাবের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধন: সাংবাদিক সমাজে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস

মেহনতী ও শ্রমজীবী মানুষের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা

ইসলামী ক্যাটাগরিতে সেরা অভিনেতার সম্মাননা পেলেন শিশু শিল্পী নাহিদুল ইসলাম

গঠনতন্ত্র ও আরপিও অনুযায়ী কাউন্সিলে নির্বাচিত বৈধ নেতৃত্ব লাঙ্গল প্রতীকের মালিক

মাদকবিরোধী অভিযান, ব্যাপক পরিবর্তন গেন্ডারিয়া এলাকায়

জেএসএস এর নবনির্বাচিত যুগ্ম মহাসচিব শোয়েব রহমান

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

রুহুল আমিন গাজীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মন্দির পরিদর্শনে ঢাকা গেন্ডারিয়া থানার ওসি, পূজাকে ঘিরে কড়া নিরাপত্তার আশ্বাস
