ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বিপৎসীমার ওপরে তিস্তা-ধরলার পানি

নদীতীরবর্তী এলাকায় বন্যা, নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছে মানুষ


জামাল বাদশা, লালমনিরহাট photo জামাল বাদশা, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১৪-৭-২০২৩ দুপুর ৪:৪৬
উজানের ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বেড়েছে। এরমধ্যে তিস্তার পানি দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্টে আজ সকালে(১৪জুলাই) বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার এবং ধরলার পানি শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।বর্তমানে তিস্তার পানি দোয়ানী ব্যারাজ পয়েন্ট বিপদসীমার ৭ সেঃমিঃ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টের ভাটি অঞ্চল লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় পানি প্রবেশ করে সৃষ্টি হয়েছে বন্যার। এতে দুর্ভোগে পড়া প্রায় ১০ হাজার পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটছেন।
 
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছিল ৫২ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার ওপরে ছিলো। রাতারাতি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পানি ঢুকে পড়ে জেলার পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোতে।
 
তিস্তার পানি বাড়ায় জেলার পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান ইউনিয়নের নিজ শেখ সুন্দর, বাঘের চর, ফকিরপাড়া ইউপির রমনীগঞ্জ, সিংঙ্গীমারি ইউনিয়নের ধুবনী, সিন্দুর্না ইউপির পাটিকাপাড়া, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, কালমাটি, পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারীর চর, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, বড়বাড়ি, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ডুবে গেছে চলাচলের রাস্তা। দুর্ভোগ বেড়েছে বানভাসি মানুষের।
 
হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারি ইউনিয়নের দোয়ানি গ্রামের বাসিন্দা আক্কাস আলী বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল থেকে ঘরবাড়িতে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করে। শুক্রবার সকাল নাগাদ ঘরের ভেতর হাঁটু পানি। রান্নাবান্না বন্ধ। সবাই শুকনো খাবার খেয়ে আছি। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ভারত থেকে আসা ঢলের পানির তোড়ে দহগ্রামের গুচ্ছগ্রাম যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে গিয়ে প্রায় হাজারখানেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার কালমাটি এলাকার বাসিন্দা খয়বর আলী বলেন,তিস্তার পানি বেশ কয়েকদিন থেকে বাড়াকমার মধ্যে রয়েছে। গতকাল থেকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুনেছি ব্যারাজ পয়েন্ট পানি কমেছে। কিন্তু আমাদের এলাকার ভিতরে পানি এখনো ঢুকছে।বর্তমানে ঘুম বিহীন রাত কাটছে তিনিসহ তীরবর্তী বাসিন্দাদের বলে জানিয়েছেন খয়বর আলী।
 
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ছেড়ে দেওয়ায় তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তাপাড়ের মানুষকে সতর্ক করা হয়েছে।
 
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ্  বলেন, জেলার পাঁচটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের বানভাসি মানুষের সার্বিক খোঁজখবর রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এমএসএম / এমএসএম

বালু খে‌কোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হ‌বে নাঃ ইউএনও ত‌রিকুল ইসলাম

‎বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

‎সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কাজ শেষে না করেই লাশ হলো দুই বন্ধু, ট্রাকের ধাক্কায় দুই তরুণের মৃত্যুতে চলছে শোক