ঢাকা শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি; কমেনি দূর্ভোগ, বেড়েছে ভাঙ্গন আতংক


জামাল বাদশা, লালমনিরহাট photo জামাল বাদশা, লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১৭-৭-২০২৩ রাত ৯:৬
তিস্তা ও ধরলার নদী বেষ্টিত লালমনিরহাটের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিস্তার পানি ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্ট বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি কমলেও প্লাবিত এলাকা থেকে পানি নেমে গেলেও ভোগান্ত কমেনি তীরবর্তী মানুষের। সেই সাথে নদীর ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় হুমকিতে পড়েছে কয়েক শতধিক বসতভিটাসহ নানা স্থপনা। নদীর ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের বেড়েছে ভাঙ্গন আতংক।
 
সোমবার(১৭ জুলাই) বিকেল জেলার হাতিবান্ধায় অবস্থিত ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে সন্ধ্যা ৬ টায় তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৮.২৬ সেন্টিমিটার যা বিপদসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচে।এর আগে গত শুক্রবার (১৪ জুলাই) ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছিলো। ফলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে স্বল্পমেয়াদী বন্যারা সৃষ্টি করেছিলো।
 
তিস্তা পাড়ে খোজ নিয়ে জানা গেছে, স্বল্প মেয়াদী বন্যার পানিতে প্লাবিত এসব এলাকা থেকে পানি নেমেও গেলেও ভোগান্তি কমেনি বানভাসীদের। বন্যা পরবর্তী দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বন্যার্ত মানুষ। প্লাবিত এলাকায় বাড়িঘর ও আশেপাশে দেখা দিয়েছে পচা দুর্গন্ধ। জিনিসপত্র পরিস্কার করে নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর চেস্টা করছেন তারা। 
এছাড়াও পানি কমে যাওয়ায় নদীর তীরে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন।
 
তিস্তার পানি কমা বাড়ার ফলে লালমনিরহাটের সদর উপজেলার কালমাটি, চোংগাডারা ,গোকুন্ডা আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, হাতীবান্ধা উপজেলার, গড্ডিমারী ও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামসহ জেলার প্রায় ১২টি পয়েন্টের দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। এসব এলাকায় তিস্তার ভাঙ্গন হুমকিতে রয়েছে বসতভিটা, ঘরবাড়ি,ফসলী জমিসসহ বিভিন্ন স্মৃতিবিজড়িত স্থাপনা।
 
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের চোংগাডারা গ্রামের শফিকুল মিয়া বলেন, গত তিনদিন ধরে বন্যার পানিতে কষ্ট ভোগ করলাম। এখন নদীর পানি নেমে যাচ্ছে তাই ভাঙ্গনের আতঙ্কে পড়ছি। একই এলাকার বাসিন্দা আবু হোসেন জানান, কিছুদিন আগে বাড়ি সড়িয়ে অন্যের জমিতে ঠাই নিয়েছি।এবারসহ প্রায় ১১ বার বাড়ি সড়িয়ে নিলাম। আমার সকল সম্পতি এখন নদীতে। আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা চন্ডিমারীর বাসিন্দা খয়বর জানান,হঠাৎ বন্যা আসায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য চর্ম রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নদীর পাশাপাশি বাড়ী হওয়ায় ভাঙ্গন আতংকে রয়েছি।পার্শ্ববর্তী বাহাদুর পাড়ার বাসিন্দা মোফা মিয়া জানান, গতবছর নদী ভাঙ্গনে বাড়ি সড়িয়ে নিয়ছি।এবারেও নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। হয়ত আবার বাড়ি সড়িয়ে নিতে হবে। একই রকম মন্তব্য করেন ঐ এলাকার প্রায় অর্ধশত পরিবারের লোকজন।সকলের দাবি বন্যার সময় ত্রাণ বা অর্থ সহায়তা না দিয়ে নদীতে স্থায়ী বাধ নির্মাণ বা নদী খননের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের।
 
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, এই এলাকায় গত বছরের মত এবারেও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করছে। তাছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সাধ্যমত চেষ্টা করা হচ্ছে।
 
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, উজানের ঢল ও ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা ও ধরলার নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমায় বেশকিছু পয়েন্ট নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন শুরু হওয়ায় ঐসব পয়েন্টে জরুরি আপদকালীন কাজ হিসেবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন ঠেকাতে কাজ করছে।

এমএসএম / এমএসএম

বালু খে‌কোরা যত বড় হোক কাউকে ছাড় দেয়া হ‌বে নাঃ ইউএনও ত‌রিকুল ইসলাম

‎বন্দরবান জেলা পরিষদের প্রকল্প বাতিল, পিছিয়ে পরার ভয় ১৩ জনগোষ্ঠীর

পারিবারিক কলহের জেরে পিতার হাতে পুত্র খুন

চিলমারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

কুড়িগ্রামে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে জেলা পরিষদের শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান

ডায়াগণস্টিকে স্বাক্ষর জালিয়াতি : খাবারে নেই মেয়াদ, দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

সাতক্ষীরা বাইপাস সড়কে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা, অভিযোগের তীর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

‎সাঘাটা খাদ্য বান্ধব ডিলার এসোসিয়েশনের কার্য্যনির্বাহী কমিটি গঠন

পঞ্চগড়ে প্রাঃ শিক্ষা অফিসারের অর্থ কেলেঙ্কারি ব্যবস্থা নিতে গড়িমসি কতৃপক্ষের

সাতক্ষীরা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের ওএমএস ডিলারের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ

গোদাগাড়ীতে উন্নত জাতের মাসকলাই বীজ ও সার বিতরণ

কাজ শেষে না করেই লাশ হলো দুই বন্ধু, ট্রাকের ধাক্কায় দুই তরুণের মৃত্যুতে চলছে শোক