নিলামের নাটক সাজিয়ে সরকারি গাছ বিক্রি সাতকানিয়ায়, দোষ চাপাচ্ছেন একে অন্যের ঘাঁড়ে

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় নিলাম ছাড়া লাখ টাকার সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ ও সংস্কারের জন্য গাছগুলো কাটার সিদ্ধান্ত নেয় উপজেলা প্রশাসন।
সিদ্ধান্তনুযায়ী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরাকে আহ্বায়ক, তৎকালীন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবুল কালাম আজাদ, সহকারী প্রোগ্রামার আনোয়ার পলাশ, উপসহকারী (জনস্বাস্থ্য) ও মাদার্শার রেঞ্জারকে সদস্য করে নিলাম কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু নিলাম প্রক্রিয়া অনুযায়ী পেপার ডিক্লারেশন, নিলাম ফরম বিক্রি না করে ৭ দিনের মাথায় তিনজনকে ক্রেতা সাজিয়ে নাটকীয় নিলাম সারে কমিটি।
সেই অলৌকিক কমিটির তথ্যানুযায়ী, ৫টি গাছের সর্বোচ্চ নিলাম ডাক ছিল মাত্র ২৫ হাজার টাকা, যেখানে ডালপালা বিক্রি করলেও ৩০ হাজার টাকার বেশি আসে। স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ীরাও বলছেন পাঁচটি গাছের দাম অন্তত দুই লাখ টাকা।
পরবর্তীতে গোপন কমিটির গোপন নিলামে কারা অংশগ্রহণ করেছিলো সাতকানিয়ার প্রশ্ন ওঠলে তারা সাতকানিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়াজার পাড়ার মনোয়ারা নামে এক মহিলাকেও গাছ ক্রয়ের জন্য ৮ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের নিলামগ্রহীতা বানিয়ে গাছকাটাসহ গত ১৫ই নভেম্বর সকল কার্যক্রম শেষ করেন।
নানামূখী অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিলামের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠলে নিলাম কমিটির আহবায়ক ও সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, আপনি এই বিষয়ে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সাতকানিয়ার সাথে কথা বললে সব পাবেন, তখন ইউএনও এর কথানুযায়ী যোগাযোগ করা হলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সাতকানিয়ার আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসলে আমি এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে চাইনা তবে নিলাম কার্যক্রমটা ছোট করে করা হয়েছে সব সেটা ঠিক আছে।তবে কেন ওপেন নিলাম দেয়া হয়নি সেটা ইউএনও মহোদয় ভালো জানবে।
অন্যদিকে একই নিলাম কমিটির সদস্য সচিব রেঞ্জার মামুন মিয়ারও বক্তব্য প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদের মত, আপনি ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলাপ করেন।
দীর্ঘ ৮মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো সেই আলাপের ফলাফল পাওয়া যায়নি।
আর সেই নিলামের চূড়ান্ত ফলাফল না জানিয়েই চলে গেলেন প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ এবং চলতি সপ্তাহে প্রমোশন নিয়ে সাতকানিয়া ছেড়ে যাচ্ছেন সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরাও।
তবে সাতকানিয়া উপজেলা প্রশাসনের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন ছোটখাটো এসব নিলাম কমিটির সদস্য সহকারী প্রোগ্রামার তথ্য ও প্রযুক্তি কর্মকর্তা সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বিশ্বস্ত হওয়ায় তার দাপট বেশি। ইউএনও স্যার চলে গেলেও তিনি এই বিষয়ে সব তথ্য দিতে পারবেন। কারণ ইউএনও স্যার কমিটি করলেও পুরো কমিটিতে স্যারের পরে নিয়ন্ত্রণ থাকে আনোয়ার পলাশ সাহেবের।
আইনের বিধিমালা অনুয়ায়ী সরকারি জায়গায় গাছ লাগানোর এক বছরের বেশি বয়স হলে সেক্ষেত্রে প্রকাশ্যে নিলাম বা টেন্ডার দিয়ে গাছ কাটতে হবে।
শুধু তাই নয়, ব্যক্তি মালিকানা গাছও অনুমোদন ছাড়া কাটা যাবে না। তবে মানুষ যাতে সহজে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে গাছ কাটার জন্য অনলাইনে অনুমোদন নিতে পারে সে বিষয়ে বলা হয়েছে।’
এমএসএম / এমএসএম

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে সিএসও
