সাতকানিয়ায় সহঃ প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সহকর্মীদের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে ঘুষ আদায় ও নারী সহকর্মীদেরকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মীর কাশেদুল হকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত ২৯ মে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর ডাকযোগে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ। যার অনুলিপি প্রেরণ করা হয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষকরা উল্লেখ করেন, মীর কাশেদুল হক সাতকানিয়া উপজেলায় নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনৈতিক উপায়ে ঘুষ আদায়, শিক্ষকদেরকে জনসম্মুখে হেনস্তা ও নারী শিক্ষিকাদের ছবি তুলে বিভিন্ন সময় সেই ছবিকে পূজি করে শোকজসহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বিদ্যালয় পরিদর্শণকালে টাকা আদায়, বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে ৫-২০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় ও অনলাইনে শিক্ষকদের বদলি আবেদন ফরোয়ার্ডের নামে ৩-৫ হাজার টাকা আদায় করছেন বলেও অভিযোগ করা হয়।
এছাড়াও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষা উপকরণ তার মনোনীত একটি কোম্পানি থেকে ক্রয় করতে বাধ্য করছেন। যার ফলে শিক্ষকদের অতিরিক্ত দাম পরিশোধ করতে হচ্ছে। এমনকি তার এসব কর্মকান্ডে প্রধান শিক্ষকরা অপারগতা প্রকাশ করলে তাদেরকে অধিনস্থ সহকর্মীদের সামনে অশালীন আচরন ও শোকজের নামে শিক্ষকদেরকে ঘন্টার পর ঘন্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসে এনে বসিয়ে রাখার অভিযোগও করা হয়।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষক বলেন, শিক্ষা খাতে দূর্নীতির কথাটি শুনতেও খারাপ লাগে। কিন্তু কাশেদুল হক দূর্নীতিকে প্রতিষ্টিত করছেন বলা যায়। তাছাড়া শিক্ষকরা জাতির মেরুদন্ড। তাদেরকে অনৈতিকভাবে অর্থ প্রদানের জন্য তাদের সাথে বাজে আচরন করা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
এক মহিলা শিক্ষিকা বলেন, সারাদিন ক্লাস করার পর শারীরিক অসুস্থতার কারনে প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়ে একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এমন সময় মীর কাশেদুল হক আমার অজান্তে আমাকে ছবি উঠিয়ে পরবর্তী সেই ছবি পাঠিয়ে আমাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন। তিনি বিশ্রামের বিষয়টি ন্যায় বহির্ভূত বললেও আমার অজান্তে আমার ছবি উঠানো কতটা ন্যায় সঙ্গত আমার জানা ছিলনা। বিষয়টি আমার কাছে মানবিক বলে মনে হয়নি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে মীর কাশেদুল হক বলেন, মূলত বিভিন্ন স্কুলের বরাদ্দের হিসাব ও উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। স্কুলের উন্নয়নের জন্য সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত টাকা উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করতে বাধ্য করায় কিছু প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। কারন এতে করে সরকারের যেসব টাকা তারা আত্মসাৎ করত আমার কারনে তা পারছেনা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলায় একটি সাংস্কৃতিক কমিটিকে কেন্দ্র করে শিক্ষক সমিতির সাথে মত বিরোধ হয়েছে। যার কারনে শিক্ষক সমিতিও আমার পেছনে লেগেছে। এখন যেহেতু অভিযোগ দিয়েছে, সুতরাং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যা নির্দেশ দিবে সে মোতাবেক কাজ করব।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মাহবুব বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি আসে আমি আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। যদি তার দোষ থাকে কর্তৃপক্ষ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ আমার কাছে এখনো আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

ডাকসুর নির্বাচনে শামসুন্নাহার হলের জিএস নির্বাচিত হয়েছেন নরসিংদীর সামিয়া

জুড়ীতে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

জয়পুরহাটে কারাতে প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান

বাকেরগঞ্জে দূর্গোৎসব উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে কোস্টগার্ডের যৌথ অভিযানে ১৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ

মাতৃভূমি আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে বিজ্ঞান উৎসব ২০২৫ অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রাম সীমান্তে বিজিবির অভিযান, সাত দিনে ২ কোটি ১১ লাখ টাকার মাদকসহ অবৈধ মালামাল জব্দ

ঢাকা ভাংঙা এক্সপ্রেসওয়েতে ২য় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ, বিকল্প পথে সড়কে বেড়েছে যানজট

চিতলমারীতে ৪৮ ঘণ্টার হরতাল: সড়ক অবরোধে অচল জনজীবন

রায়পুরে নিরক্ষরদের হাতে কলম তুলে দিল শিবির

ঠাকুরগাঁওয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রামদাড়া সেতুতে জীবন বিপন্নের আশংকা

জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষায় কাজ করবে সিএসও
