ঢাকা বুধবার, ১২ মার্চ, ২০২৫

লিটন মন্ডল থেকে চিলা-জয়মনির মানুষ মুক্তি পাবে কবে


হাফিজুর রহমান, মোংলা photo হাফিজুর রহমান, মোংলা
প্রকাশিত: ৫-৮-২০২৩ বিকাল ৫:২৮

বনবিভাগের এক মামলায় জেলে খেটে বের হয়েছেন ২০ দিন হলো। আরও দুটির মামলা ঘাড়ে ঝুলছে। এরপর প্রতারণা করে নিরীহ মানুষের কাছ থেকে টাকা আতœসাৎ করা এক প্রকার নেশায় পরিনত হয়েছে তার। সরকারি চাকরী, ভিজিডি কার্ড, আবাসনে সরকারী ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে এখন পলাতক আছেন গুনধর এই ব্যক্তি। তার নাম লিটন মন্ডল (৪০)। মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের জয়মনি গ্রামের মৃত অতুল মন্ডলের ছেলে সে।

এই লিটনের বিরুদ্ধে তার এলাকায় সাধারণ মানুষের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ভুক্তভোগিরা বলছেন, কখনো সে মানবাধিকার কর্মি, কখনো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স আবার কখনো উর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার ঘনিষ্ট আতœীয়ের পরিচয় দিয়ে থাকেন। প্রতারণার হাতিয়ার হিসেবে এসব তকমা লাগিয়েই মানুষকে বোকা বানায় সে। চতুর লিটন এতটাই কৌশলী, সহজে ধরার উপায় নেই। কিন্তু লিটনের সব প্রতারণা একে একে ধরা পড়লে একজোট বেঁধেছে তার প্রতারণরা শিকার কয়েক’শ মানুষ। আর তা বুঝেই ততক্ষণে আতœগোপনে চলে গেছেন লিটন। কোথায় আছেন সে খবর কেউ জানেনা।

শনিবার (৫ আগষ্ট) বেলা ১১টায় তার বিচার চেয়ে চিলা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে শত শত মানুষ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে এসময় যোগ দেয় স্থানীয় আওয়ালীগের নেতৃবৃন্দ, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বরা। লিটনের বিচার চাইতে এসে মিনাল কান্তি রায় নামে এক ভূক্তভোগী বলেন, তার জমির কাগজ ঠিক করে দিবে বলে দুই মাস আগে এক লাখ ৪০ হাজার টাকা নিয়ে কোন ফয়সালা দেয়নি। এখন টাকাও দিচ্ছেনা। বাড়িতে গিয়েও না পেয়ে ফোন করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। চিলার কাটাখালী গ্রামের বলয় রায় ও আলম গাজী বলেন, ভিজিডি কার্ড পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তাদের দু’জনের কাছ থেক ৬০ হাজার টাকা নিয়ে এখন উধাও হয়ে গেছে। সরকারী আবাসনের ঘর দেওয়ার কথা বলে, জয়মনি গ্রামের অজিত রায়, সুরঞ্জন রায়, বিকাশ রায়, মানিক শিকদার ও আলম ফকিরের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন লিটন। এখন লিটনের হদিস মিলছেনা। সবির কুমার বাড়ৈ নামে গ্রাম পুলিশ বলেন, তার ছেলেকে উপজেলায় চাকরী দেওয়ার কথা বলে প্রথমে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে। এরপর সরকারী ঘর দেওয়ার কথা বলে আরও ১০ হাজার টাকা নেয় সে। কিন্তু ঘর কিংবা চাকরী কোনটাই কপালে জোটেনি সবিরের কপালে। এখন প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিটনের বিচার চান তিনি।

ইউপি চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, চিলা ইউনিয়নে মাদকের প্রথম ব্যবসা নিয়ে আসেন এই লিটন মন্ডল। এলাকায় যুবককে মাদক ধরিয়ে দিয়ে ধ্বংস করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে আটকও করে। জামিনে বের হয়ে এলাকার বিভিন্ন লোকদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সরকারি ঘর, পানির ট্যাংক ও ভিজিডি কার্ড দিয়ে বেড়ায় বলে শুনেছি। তার ফাঁদে পা দিয়ে টাকা দিয়েছেন ঠিকই, কিন্তু এসব সুবিধা পাইনি। প্রতারণা করে এই এলাকার নিরীহ মানুষের নিঃস্ব করেছে সে। তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। এসময় চিলা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি মিহির ভান্ডারি ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল হাওলাদারও লিটন মন্ডলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন এবং শাস্তি চান।

জানতে চাইলে লিটন মন্ডলকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তার বিষয়ে খোঁজ নিতে তার এলাকায় গেলে লিটন ঢাকায় আতœগোপনে আছে বলে তার প্রতিবেশিরা জানায়।  

এ প্রসঙ্গে মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ বলেন, লিটন মন্ডলের বিরুদ্ধে মৌখিক অনেক অভিযোগ শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

শ্রীপুরে টুরিস্ট পুলিশ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের মতবিনিময় সভা

আক্কেলপুরে বাজার মনিটরিংয়ে ইউএনও

নবীনগর তিতাস নদীতে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ভাসমান মরদেহ উদ্ধার

৭ দফা দাবিতে সারাদেশে ইট বিক্রি বন্ধ ঘোষনা বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান

খালিয়াজুরীতে স্কুল ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আটক ২

দাউদকান্দিতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে রিফাত হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

জাফলংয়ে অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলনে বাধা

কুমিল্লায় প্রবাসীদের গাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৪

খরস্রোতা তিস্তা এখন মরা খাল ভাঙ্গনে দুই যুগে লক্ষ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি

ঠাকুরগাঁওয়ে হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া নবজাতক গাজীপুর থেকে উদ্ধার

জয়পুরহাটে প্রতারণা মামলায় শিক্ষকসহ তিনজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার

ঘাঁস কাটতে গিয়ে দেখলো জঙ্গলে পড়ে আছে তরুণের অর্ধগলিত লাশ

শিক্ষা কর্মকর্তার অনিয়ম-দুর্নীতির পুন:রায় তদন্ত শুরু করেছে অধিদপ্তর