ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

অনুমোদন ছাড়ায় চলছে মেহেরপুরে একমাত্র ডায়মন্ড আটো রাইস মিল


আতাউর রহমান, মেহেরপুর  photo আতাউর রহমান, মেহেরপুর
প্রকাশিত: ৬-৮-২০২৩ দুপুর ২:২

ইতিহাস ঐতিহ্যের স্মৃতিগাঁথা ঐতিহাসিক মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর জেলার একমাত্র ডায়মন্ড অটো রাইস মিলটি শুরু থেকেই অদ্যবদি কোন ধরণের অনুমোদন ছাড়াই চলছে! মেহেরপুর - চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়ক সংলগ্ন ব্রিটিশ আমেরিকা টোবাকো কোম্পানির ২য় প্রতিষ্ঠানের অপরদিকে অবস্থিত। স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে জানা যায়, এই মিলটির সত্বাধীকারী সাবেক সেনাবাহীর সৈনিক হাবিবুর রহমান হাবিব তার নামে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। জেলার একমাত্র ডায়মন্ড নামে অটো রাইস মিলটি শুরু থেকেই প্রতারণা করে চলেছে। প্রথমত এই কোম্পানিটি পরিবেশ বান্ধব নিয়মনীতির মধ্যে তৈরি হয়নি। এই কোম্পানির কোন ধরণের অনুমোদন নেই। মেহেরপুর পৌরসভা একাধিকবার নোটিশ করা শর্তেও ট্রেড লাইসেন্স করে নাই। পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। যেখানে প্রতিষ্ঠান করেছে আশে-পাশের উর্বর চাষ যোগ্য জমি গুলো ব্যাপক ক্ষতি সাধন হচ্ছে। জানা যায় খুলনা থেকে পরির্দশনে লোকবল আসলে তার প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেইনি। এরপর মেহেরপুর পাট বীজ অফিসের কর্মকর্তা ও ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট সহ একটি টিম প্রতিষ্ঠানে গেলে প্রথমত তাদের প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে দেইনি। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানে ঢুকে দেখে এই মিলে নানা অনিয়ম। পরিদর্শন টিম তাদের কাছে কোম্পানির বৈধ্য কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে পারেনি। সেখানে দেখা যায় ইন্ডিয়ান পলিব্যাগ নুরজাহান অবৈধ ব্যাগ ব্যবহার করে মোটা চাল চিকন করে মিনিকেট নামে মার্কেটে ছাড়ছে। এছাড়াও তারা শতভাগ পাটের বস্তা ব্যবহার না করে, উল্টো পলিব্যাগ ব্যবহার করছে। যে সব পাটের ব্যাগ ব্যবহার করছে ২৫ কেজি চালের বস্তা সঠিক মাপ দিচ্ছে না। তেমনি লক্ষ লক্ষ টাকা পৌর কর ও কাস্টমস্ ভাট ট্যাক্স দিচ্ছে না। ডায়মন্ড অটো রাইস মিলকে ১০,০০০/- টাকা জরিমানা করা হয় এবং দ্রুত বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে যেতে বলে। তখন এই হাবিব মুঠো ফোনে পাট কর্মকর্তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ভৎষনা করে। আরো ডিসি অফিসের ম্যাজিস্ট্রেট সহ ছোট নাজিরকে অপমানজনক কথা বলে। ডিসি বরাবর দুটি অভিযোগ দায়ের পরিদর্শনকারীরা। এই মিলের সত্বাধীকারী হাবিব বেশি লাভ ও লোভ দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাল কিনে পরে আর টাকা দেয় নাই। বরং বছর পর বছর ঘুরিয়ে উল্টো তাদের হুমকি সহ তাদের বিরুদ্ধে কাউন্টার মামলা করে। মেহেরপুরের রফিকুল নামে এক ব্যবসায়ী প্রায় দুবছর ঘুরছে সে কোম্পানির কাছে ১৫ লক্ষ ২১ হাজার টাকা পাবে। নওগাঁর এক ব্যবসায়ী  আবদুস সালাম টেডার্স ৫২ লক্ষ টাকা পাবে। মেহেরপুর সদরের রাজনগরের এক ব্যবসায়ী কালু ন২৪ লক্ষ টাকা পাবে। এই মিলটির নামে বড় অংকের লোন করা আছে বলে জানা যায় যা শুভংকরের ফাঁকির লক্ষণ। হাবিবের প্রতিষ্ঠানের পাশে অন্যান্য জমির মালিকের কথা প্রতারক হাবিব এই অবৈধ মিল কোন ক্ষমতা বলে চালাচ্ছে। মেহেরপুর পৌরসভা, কাস্টমস্, পরিবেশ অধিদপ্তর, পাট ও বীজ অধিদপ্তর, সর্বপরি জেলা প্রশাসন আইনি পদক্ষেপ নিতে পারছে না কেন? শান্তি প্রিয় জনগণ এবং ভুক্ত-ভুগীদের দাবি এই প্রতারক অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে প্রমাণ করতে হবে প্রশাসন সুনীতির জন্য, জনতার জন্য।

এমএসএম / এমএসএম

পাবনা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দুদকের অভিযান

ধামইরহাট পৌরসভার আয়োজনে জলবায়ু কঠিন বর্জ্য ও পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক উন্মুক্ত আলোচনা সভা

মামলা তদন্তকারী শ্রেষ্ঠ অফিসার হলেন এসআই আতাউল মাহমুদ

সিংগাইরে উত্তর বকচরে ডা: জামাল সুপার মার্কেটের যাত্রা শুরু

বড়লেখায় সাবেক ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে দক্ষ কর্মীবাহিনী গড়ে তুলতে হবে: বাউবি উপাচার্য

ঘোড়াঘাটে ১৯২৫হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ, উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২৩ হাজার মেঃটন

শেকৃবিতে আরও ৯ শিক্ষকের একাডেমিক দায়িত্ব সাময়িক স্থগিত

চিলমারীতে যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে ১০ পিস ইয়াবাসহ ১ মাদক কারবারি গ্রেফতার

রায়গঞ্জে ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধার

মানিকগঞ্জে নির্মাণাধীন বিল্ডিংয়ের দেয়ালের মাটি ধসে শ্রমিকের মৃত্যু

রৌমারীতে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নেই, তবুও সরকারি বই বিতরণ

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে