মায়ের আত্মহত্যার পর মেয়ের আত্মহত্যা,থানায় অপমৃত্যু মামলা
যশোরের অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগে ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী মাবিয়া খাতুন (১১) গলায় ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে প্রেমবাগ ইউনিয়নের পাকেরগাতী গ্রামের ভ্যান চালক জাফর গাজীর মেয়ে এবং মহাকাল মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনায় ঐদিন রাতে অভয়নগর থানায় জাফর গাজী নিজে বাদী হয়ে অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে সৎ মায়ের সাথে ঝগড়া বিবাদ হয় মাবিয়া খাতুনের। পরে অভিমানে নিজের বাড়িতে ফুফু শিরিনা বেগমের ঘরে ঢাবার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে । তার পিতা জাফর গাজী ও ফুফু শিরিনা বেগম লাশ উদ্ধার করেন। এর আগে তার মা হীরা বেগম আত্মহত্যা করে মারা গেছেন জানান এলাকাবাসী । মাবিয়ার পিতা জাফরগাজী জানান, আমি ভ্যান চালিয়ে সোমবার রাতে বাড়িতে আসলেই মেয়ে মাবিয়া খাতুন কলম,খাতা কিনে দেয়ার কথা বলে। আমি পরে কিনে দেওয়ার কথা বলি। এ বিষয় নিয়ে তার সৎ মায়ের সাথে কথা কাটাকাটিও ঝগড়া-বিবাদ হয়। পরে দেখি আমার বোন শিরিনার ঘরে যেয়ে মাবিয়া গলায় ওড়না পেচিয়ে ডাবার সাথে ঝুলে আছে। আমি যেয়ে ডাবা থেকে নামিয়ে ফেলি, আমরা পরিবারের সদস্যরা ততক্ষণাৎ অভয়নগর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কতর্ব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার ডাঃমামুউর রশীদ জানান, মাবিয়াকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হযেছে।পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন। অভয়নগর থানা পুলিশের এস আই বিমান তরফদার জানান, লাশ থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। মেয়ের পিতাকে থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের পিতা বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। মামলা নং ৪০। গতকাল মঙ্গলবার লাশ যশোর মর্গে পাঠানোর পর ময়না তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে জানান অভয়নগর থানার এস আই নিয়ামুল হক। অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ জানান,এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম