ঢাকা শনিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৫

চট্টগ্রামে রেলের জমি দখলের মিশনে এডিসি


সেলিম চৌধুরী , চট্টগ্রাম ব্যুরো  photo সেলিম চৌধুরী , চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৭-১০-২০২৩ দুপুর ৪:১৭

 নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের পক্ষ নিয়ে রেলের জমি অবৈধভাবে দখলে নিতে রাতের বেলায় দলবল নিয়ে অভিযান চালিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (সার্বিক) বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের  মহাব্যবস্থাপক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন রেলের একই অঞ্চলের সিনিয়র বাজেট অফিসার সুকেন্দ্র নাথ হালদার। 
অভিযোগ অস্বীকার করে চট্টগ্রামের অতিঃ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাকিব হাসান বলেন, এই অভিযোগ সত্য নয়। আমি এই বিষয়টি জানিনা। তবে যিনি এই অভিযোগ দিয়েছেন তিনিই রেলের বাংলো বাইরের লোকের কাছে ভাড়ায় লাগিয়েছেন। 
রেলের জিএম বরাবরে দেয়া আবেদন সুত্রে জানা গেছে, সিআরবি হাসপাতাল কলোনীর বাংলো নং-এফ/৪ সংলগ্ন দেয়াল ঘেরা জায়গা চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাব কর্তৃক বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত অবৈধভাবে জবর-দখল করার চেষ্টা করা হয়েছে। আবেদনে তিনি বলেছেন, ’উল্লেখিত বাংলোটিতে আমি ২০১১ সাল হতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছি। বাংলোটির উত্তর পার্শ্বে চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাব এর জন্য বহু পূর্বে আনুমানিক ৭-১০ শতাংশ জায়গা ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ ৭/৮ বছর পূর্বে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে স্টীল স্ট্রাকচার দিয়ে ক্লাবটি তিনতলা কমিউনিটি সেন্টারে পরিনত করে ভাড়া প্রদান পূর্বক ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে এবং ক্লাবের পিছনে প্রায় ৭-৮ শতক জায়গা বাউন্ডারী ওয়াল তৈরী করে দখল পূর্বক পাকা রান্নাঘর সহ কিছু স্থাপনা নির্মাণ করে বিয়েসাদি সহ সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করছে। গত ০৭.০৮.২০২৩ তারিখে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে কোন প্রকার নোটিশ প্রদান ছাড়াই রাত সাড়ে ৭ টায় এডিসি (প্রশাসন), চট্টগ্রাম এর নেতৃত্বে কিছু সংখ্যক পুলিশ, আনসার ও ক্লাবের কর্মচারী দিয়ে বাংলোটির পাশের আউটহাউজ ভাংচুর করে এবং রাত ১ টা বা ২ টার দিকে বাংলোর মধ্যে বিপুল পরিমান ইট মজুদ করে। ৮ আগস্ট বাংলোর মূলভবন ঘেঁষেই আউটহাউজ ভেঙ্গে ওয়াল তৈরীর কার্যক্রম শুরু করলে চিফ এস্টেট অফিসার/ পূর্ব (সিইও)  ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম,চট্টগ্রাম) এবং ডিইএন-২(চট্টগ্রাম) সহ সংশ্লিষ্টদেরকে অবহিত করা হলে ওয়াল তৈরীর কাজ বন্ধ রাখার জন্য অফিসার্স ক্লাব কর্তৃপক্ষকে বলা হয়। কিন্তু রেলওয়ে নিরাপত্তা সদস্য সহ কর্মকর্তাগণ চলে আসার পরেই তারা পুনরায় ভাংচুরসহ ওয়াল তৈরীর কাজ অব্যাহত রাখে।’  আবেদনে বলা হয়, ’আবাসিক ভবনের ৩০ ফুটের মধ্যে কোন বাণিজ্যিক স্থাপনা তৈরী/ ইজারা প্রদানের বিধান নেই। তাছাড়া বাংলোটির আলোচ্য জায়গায় ১৫-১৬ টি ফলজ-ভেষজ গাছ ও রেলওয়ের ২টি আউটহাউজ রয়েছে। তাই বাংলোটির ৩০ ফুটের মধ্যে ফলজ-ভেষজ গাছ নিধন করে এবং আউটহাউজ ভেঙ্গে কমিউনিটি ক্লবের ব্যবসা পরিচালনার লক্ষ্যে মূল ভবন সংলগ্ন জায়গা জবর-দখল বন্ধ করে রেলওয়ে সম্পদ রক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি।’ একই সাথে উল্লেখিত স্থানে ক্লাবের ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে বাংলোর পাশেই প্রাচীর নির্মাণ করে ভিতরে বিয়েসাদি সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান পরিচালনা করা হলে বাংলোটিতে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে বলেও তিনি জানান।


আবেদনে আরো বলা হয়, এর আগে  ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট ও ২০২০ সালের ৮ মার্চ বিষয়টি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের তৎকালীন জিএম বরাবরে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল।
সুকেন্দ্র নাথ হালদারের আবেদন ও রেলের আমিন/ কানুনগো’র প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে রেলভূমি অবৈধ জবর দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ থেকে বিরত থাকতে বলছে রেল কর্তৃপক্ষ। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (অঃদাঃ) জিষাণ দত্ত স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের সভাপতি ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে লিখিত চিঠিতে এই অনুরোধ জানিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ’বাৎসরিক ৫ হাজার টাকার প্রকিকি মূল্যে ১৯৯২ সালে চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের অনুকূলে ৯.১১ কাঠা রেলভূমি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত কিছু সংখ্যক আনসার ও ক্লাবের কর্মচারীরা রেল বাংলোর অংশবিশেষ ভেঙ্গে বাংলোর সীমানার অভ্যন্তরে বিপুল পরিমাণ ইট ও নির্মাণ সামগ্রী মজুদ করেন। পরবর্তীতে বাংলোর অভ্যন্তরের প্রায় ১৬ শতাংশ জমি ক্লাবের আওতায় নেওয়ার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কার্যক্রম শুরু করলে প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্ব), বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম), বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ (চট্টগ্রাম) সিনিয়র বাজেট অফিসার (পূর্ব) এবং নিম্নস্বাক্ষরকারী কর্তৃক সংশ্লিষ্টদের নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ক্লাব কর্তৃপক্ষ সকল বাধা উপেক্ষা করে নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে যা আপনাকে মৌখিকভাবে অবহিত করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিষ্ঠান। একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাংলোর অংশ বিশেষ ভেঙ্গে চট্টগ্রাম অফিসার্স ক্লাবের আওতায় নেওয়ার প্রচেষ্টা বিধি সম্মত নয় । ফলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত সীমানা প্রাচীর নির্মাণসহ বর্ণিত লেভূমি জবর দখল বন্ধে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।’ একই চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে, রেল মন্ত্রনালয়ের সচিব, রেলের মহাপরিচালক, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার, রেলের জিএম/পূর্ব, সিএমপি কমিশনার, জেলা প্রশাসক,  প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্ব), চীফ কমান্ড্যান্ট, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী,  বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক, চট্টগ্রাম ও অফিসার ইনচার্জ কোতোয়ালীকে।
এই বিষয়ে জানতে গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম অফিসার ক্লাবের সভাপতি ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের অফিসে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তিনি দেশের বাইরে থাকায় মোবাইলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এমএসএম / এমএসএম

আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ"রফিকুল ইসলাম খান

রায়গঞ্জে হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে সম্পত্তি লিজের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মা-ইলিশ রক্ষায় সুনাম কুড়াচ্ছেন রায়পুর মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান

কুষ্টিয়ায় হাসপাতালের পুকুর থেকে যুবতীর মরদেহ উদ্ধার: দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত হত্যা?

ধামরাইয়ে ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যালামনাই পরিবারের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

আইনের শাসন কাকে বলে, নির্বাচনের মাধ্যমে দেখাতে চাই : সিইসি

পটুয়াখালীতে র‍্যাবের গাড়ি ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে শিশুসহ নিহত ৩

মামুদনগর দারুল উলুম ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসায় সিলিং ফ্যান, কোরআন শরীফ ও ঘড়ি বিতরণ

শিবচরের পদ্মা নদীতে অভিযান, ইলিশ শিকারের দায়ে ২৪ জেলে আটক

ঘোড়াঘাটে আগাম জাতের ধান কাটা মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

লোকগানের নিভৃত চর্চার আতুর ঘর মায়ের তরী

বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ

লাকসামে ডোবা থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার