ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীতা নিয়ে দোড়ঝাপ

কে হবে বান্দরবানের ৩০০নং আসনের মালিক


নুরুল আলম photo নুরুল আলম
প্রকাশিত: ২৫-১০-২০২৩ দুপুর ২:৯

 পার্বত্য জেলা বান্দরবান ৩০০নং আসন আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ১৯৯১ সাল থেকে টানা ছয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে এ দল থেকে। অন্যদিকে দীর্ঘদিন চলমান অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে পাহাড়ের রাজপরিবারের দুই সদস্যের বিরোধের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে বিএনপির রাজনীতি। বান্দরবান বিএনপি দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছে। 

আর পাহাড়ে আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে রয়েছে জনসংহতি সমিতি জেএসএস ও ইউপিডিএফ। তাছাড়া বাঙালিদের উপদল বিলুপ্ত হয়ে বাঙালি নাগরিক পরিষদ নামে তারাও মাঠে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। তবে জাতীয় পার্টির (জাপা) তেমন কোনো সক্রিয়তা চোখে পড়ে না। 

বান্দরবানে আগামী আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ভোটের মাঠে প্রস্তুত রয়েছে। অন্যদিকে বিএনপি দলীয় কর্মসূচি পালন করলেও রাজপথে রাজনৈতিকভাবে তাদের দুই গ্রুপ বিভক্ত হয়ে কোণঠাসা রয়েছে। আর জেএসএস রাজনৈতিকভাবে বিভিন্ন মামলা-হামলা থাকায় দীর্ঘদিন ধরে দলটির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে আছে। তাছাড়া ইউনাইটেড পিপল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) জেলা সভাপতি অসুস্থতাজনিত কারণে দল থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পর দলটির অস্তিত্ব নেই বললেই চলে। 

এ বিষয়ে নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মজিবর রহমানের সমর্থকরা বলেন, গত দুবার আওয়ামী লীগের পক্ষ হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নমিনেশন চেয়েছে। এবারও নমিনেশন চাইতে পারে। আশা করছি এবার নমিনেশন কাজী মজিবুর রহমানকেই দেওয়া হবে। নির্বাচনে অংশ নিতে পারলে তার মূল প্রতিশ্রুতি থাকবে মানব সম্পদের উন্নয়নে কাজ। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩৩টি ইউনিয়ন, ৭ উপজেলা ও ২টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সংসদীয় এই আসন। ৩০০নং আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার। তবে পাহাড়ি ভোটার সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।

সূত্রে জানা যায়, ১৯৯১ সালের পর থেকে আসনটি আওয়ামী লীগের হাতছাড়া হয়নি। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর বাহাদুরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন বিএনপির প্রার্থী সাচিংপ্রু জেরী। বিপুল ভোটে পরাজিত হন বিএনপি প্রার্থী সাচিংপ্রু জেরী। পরবর্তী সময়ে ২০০১ সালে দল থেকে মনোনয়ন পান বিএনপির কেন্দ্রীয় উপজাতীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাম্যাচিং। সেই নির্বাচনে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী হন সাচিংপ্রু জেরী। বিএনপি থেকে দুজনই সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন এবং দুজনই আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুরের কাছে পরাজিত হন। 

আরও জানা যায়, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দলের বহিষ্কৃত সাবেক সভাপতি প্রসন্ন কান্তি তংচঙ্গ্যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু রাজনীতির মাঠে ক্লিন ইমেজের কারণে বীর বাহাদুর পঁঞ্চমবারের মতো তার ধারাবাহিক বিজয় অক্ষুন্ন রাখতে সক্ষম হন। পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর এরপর থেকে তার জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে রাজনীতির মাঠে আরও সময় দিতে থাকেন। শহর থেকে শুরু করে দুর্গম পার্বত্য জেলার এলাকায় আনাচে-কানাচে প্রায় প্রতিটি সেক্টরেই উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দেন। আর শেষ সংসদ নির্বাচনে একের পর এক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে ২০১৮ সালে ষষ্ঠ বারের মতো নির্বাচনে ১৭৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের বীর বাহাদুর উশৈসিং পেয়েছেন ১ লাখ ৪৭ হাজার ২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রাজপুত্র সাচিংপ্রু জেরী পেয়েছেন ৫৮ হাজার ৭১০ ভোট। বীর বাহাদুর ৮৮ হাজার ২৯২ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হন।

সূত্রমতে, ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমে জাতীয় সংসদের ৩০০নং বান্দরবান আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর উশৈসিংকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন দেওয়া হতে পারে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লহ্মীপদ দাস বলেন, বান্দরবানে উন্নয়নের অগ্রগতিতে বীর বাহাদুর ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। এর ফলে মানুষ ফের ৭ম বারের মতো আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে নির্বাচিত করবে। এবারে দ্বাদশ নির্বাচনে দলীয়ভাবে তিনিই একক প্রার্থী।

অন্যদিকে কয়েকজন বিএনপি দলীয় সমর্থক বলেন, বিএনপির যেকোনো কর্মসূচি জেলা বিএনপির সভাপতি রাজ পুত্রবধূ মাম্যাচিংয়ের নেতৃত্বে আর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য রাজপুত্র সাচিংপ্রু জেরীর নেতৃত্বে অর্থাৎ এই দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পালন করে থাকে। এই জনপদে বিএনপির নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক আছে। 

যেহেতু সামনে জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে-কাজেই এ কোন্দল কেন্দ্রীয়ভাবে নিরসন করা দরকার বলে মত দেন তারা। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজা বলেন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া নির্বাচনে যাবে না দলটি। তবে বান্দরবানে বিএনপি আগের তুলনায় মাঠে চাঙ্গা আছে। 

তবে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাচিংপ্রু জেরীর কাছ থেকে তার মন্তব্য জানতে একাধিকবার ফোন করার চেষ্টা করেও তার ফোনের সংযোগ পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের সমর্থিত জেলার সাধারণ সম্পাদক শওকত জামান মিশু বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী বান্দরবান জেলার জাতীয় পার্টির কর্মসূচি নিজস্ব কার্যালয়ে পালন করে আসছি। 

এছাড়াও বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠন ও সতন্ত্র প্রার্থী সহ বেশ কিছু প্রার্থী আগামী জাতীয় দ্বাদশ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।

 

এমএসএম / এমএসএম

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়ার শেরপুরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার চেষ্টা, হাসপাতালে ভর্তি

বোয়ালমারীতে প্রাণি সম্পদ দপ্তরের উদ্যোগে হাঁস বিতরণ কর্মসূচি পালন