ঢাকা বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫

ঘোড়ার পিঠে ভর করে চলে পাঁচ শতাধিক পরিবার


মজিবর রহমান, গাইবান্ধা photo মজিবর রহমান, গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ১২-১১-২০২৩ দুপুর ১:২৪

কিছুদিন  আগেও যেখানে ছিল অথৈ জলরাশি, সেখানে এখন ধুধু বালুচর । স্বচ্ছ পানির পরিবর্তে যতদূর চোখ যায়, শুধু বালু আর বালু । খালের মতো সামান্য পানি থাকা ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নৌকায় পার হয়ে বালু মাড়িয়ে মানুষ যাচ্ছেন গন্তব্যে। কেউ হেঁটে, কেউ ঘোড়ায় টানা বাহনে আবার কেউ মোটরসাইকেলে চলাচল করছেন। ব্রহ্মপুত্র-যমুনার এপার থেকে ওপারে কৃষিপণ্যের বস্তা নিয়ে ছুটছে ঘোড়ার গাড়ি।
ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল এরেন্ডাবাড়ি, ফজলুপুর, ফুলছড়ি, গজারিয়া ও উড়িয়া ইউনিয়নের একাংশ । এ পাঁচ ইউনিয়নে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের বসবাস। আগে সারা বছর পানি থাকলেও এখন কার্তিকেই নাব্য সংকট দেখা দেয়। জেগে ওঠে বিশাল চর। নালায় পরিণত হচ্ছে প্রমত্তা নদ-নদী। এতে নৌযান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

চরে মিষ্টিকুমড়া, মরিচ, ভুট্টা, মিষ্টি আলু, বাদাম, ধান, গমসহ বিভিন্ন ফসল উৎপাদন হয় ফুলছড়ির চরাঞ্চলে। এসব কৃষি পণ্য বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে যান কৃষকরা। ফজলুপুরের খাটিয়ামারী চরের রহমত মিয়া জানান, টাকার বিনিময়ে ঘোড়ার গাড়িতে পণ্য বহন করলে কষ্ট কম হয়। প্রতিবস্তা গুনতে হয় ৩০- ৪০ টাকা।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আমাদের চরাঞ্চলে তেমন রাস্তা নেই। বালুচর পাড়ি দিতে হয়। বর্ষায় সমস্যা না হলেও শুকনো মৌসুমে অনেক বিপদে পড়তে হয় আমাদের। এখন ঘোড়ার গাড়ি ও মোটরসাইকেলে যাতায়াত করায় কিছুটা সহজ হয়েছে। এতে সচ্ছলতা এসেছে পাঁচ শতাধিক পরিবারে যারা ঘোড়ার গাড়ি চালিয়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছেন। তাতে করে চরের উৎপাদিত কৃষিপণ্যও সহজে আনা-নেওয়া করা যাচ্ছে।
আগে কেউ অসুস্থ হলে বেশি সমস্যায় পড়তে হতো। তাঁর চিকিৎসার জন্য জলচৌকিতে ঘাড়ে নিয়ে নৌঘাটে নিয়ে  আসতে হতো। এরপর নৌকা পার হয়ে ফের জলচৌকি। শেষে অটোরিকশা কিংবা ভ্যানে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হতো বলে জানান বাজেফুলছড়ি গ্রামের জাহিদুল ইসলাম।

 হরিচণ্ডি গ্রামের আয়নুল ইসলাম বলছিলেন, নদী শুকিয়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়। ভাড়ায় মোটরসাইকেলে দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া ৫০ থেকে ১৫০ টাকা। প্রতিটি ঘোড়া দিনে ১০০ থেকে ১৫০ টাকার খাবার দিতে হয় জানিয়ে পেপুলিয়া এলাকার মালিক আব্দুস সালাম জানান, দিনে ৯০০ থেকে ১ হাজার টাকা আয় করা যায়। আমাদের চরে প্রায় পাঁচ শতাধিক ঘোড়ার গাড়ি চলে বলে জানান টেংরাকান্দির চালক আনারুল ইসলাম। 

আরেক চালক শুক্কুর আলীর তথ্য অনুযায়ী, ঘোড়ার গাড়ি তৈরিতে খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ঘোড়ার দামও ২০ হাজার টাকার মতো পড়ে যায়।
ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালান টেংরাকান্দির কাদের মিয়া। তিনি জানান, দৈনিক ১২শ থেকে ১৪শ টাকা আয় হয়। এবং চরাঞ্চলের মানুষ সহজেই দুর্গম এলাকায় চলাচল করতে পারছেন।এরেন্ডাবাড়ি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন মন্ডল বলেন, সব ধরনের সামগ্রী পরিবহন হয় ঘোড়ার গাড়িতে। তাতে করে আমাদের এলাকার পণ্য পরিবহনে একটু স্বস্তি এসেছে।

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিএম সেলিম পারভেজ বলেন, সড়ক থেকে হারিয়ে গেলেও চরাঞ্চলে দেখা যায় ঘোড়ার গাড়ি। ঘোড়ার গাড়িগুলো চলাচল করায় চরণচলের দুর্গম পতে কৃষি পণ্য আনানে আয় কৃষকদের মনে স্বস্তি এসেছে। 

এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

মির্জাগঞ্জে মাসিক আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত